মনের খবর ডেস্ক : বর্ষামৌসুমে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। বিশেষ করে বন্য কবলিত এলাকায় সাপে কাটার ঝুঁকি অত্যাধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। সাপে কাটায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে অনেক ভ্রান্ত বিশ্বাস ও ভুল চিকিৎসা।
এ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে মনের খবর টিভির এক লাইভ অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিয়েছেন ‘বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটি’ ও ‘এশিয়া-প্যাসিফিক লীগ অব এসোসিয়েশন ফর রিউমাটোলজি’ (APLAR) এর সভাপতি ও গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার এন্ড রিসার্চ এর চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।
তিনি বলেছেন, সাপে কাটলে শুরুতেই সাবান পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ধৌত করতে হবে। এবং এটা বারবার করতে হবে। রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ না বুঝা যায় এটি কোনো বিষাক্ত সাপের ছোবল ছিলো ততক্ষণ ক্ষত জায়গায় বারবার সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে। দেখতে হবে ক্ষতস্থানে কীরকম পরিবর্তন হয়।
শনিবার (২৫ জুন) বিকেল ৫টায় মনের খবর টিভিতে ‘বন্যা ও বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন’ এর লেকচারার ডা. কে এম বায়জিদ আমিন।
এসময় অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক আরো বলেন, বিষাক্ত সাপের ছোবল হলে দ্রুত তাকে এন্টিভেনম টিকা দিতে হবে। সাপের উপদ্রব কবলিত এলাকার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে এটি পাওয়া যায় বলেও জানিয়েছেন ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।
ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, সাপে কাটলে ক্ষতস্থানে চাকু বা ব্লেড দিয়ে কাটাকাটি করা, রশ্মি দিয়ে বেঁধে দেয়া এবং ঝাঁড়ফুঁক করা রোগীর জন্য ঝুঁকির এবং ক্ষতিকর। এসব না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষতস্থানে কেটে রক্ত বের করলে বিষ চলে যাবে বলে যে ধারণা- এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং ভিত্তিহীন। এছাড়া রশ্মি দিয়ে বাঁধাও ক্ষতিকর। এতে করে ওই স্থানে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যা মারাত্মক সমস্যা তৈরী করতে পারে। আর ঝাঁড়ফুঁকের কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়। যা বিষাক্ত সাপের ছোবলে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে।
অনুষ্ঠানের সাইন্টিফিক পার্টনার এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Eskayef Pharmaceuticals Ltd.) পাওর্য়াড বাই : Etorix, Nabumet, Naprox Plus & Tojak. অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার মনের খবর টিভি।
পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে ক্লিক করুন।