মনের মত পুরুষ বা পুরুষের মধ্যে একজন নারী কি খোঁজেন? পুরুষদের কোন বৈশিষ্ট্য নারীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে তা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন একদল ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক।
তাঁরা বলছেন, পুরুষের প্রতি নারীদের আকর্ষণের রহস্য নাকি লুকিয়ে রয়েছে কণ্ঠস্বরের মধ্যে। বৈজ্ঞানিকদের দাবি, কণ্ঠ শুনেই বক্তার চেহারা কল্পনা করে নেন নারীরা।
নিত্য জীবনে প্রতিদিন কখনও সামনা-সামনি, কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা টেলিফোনে অনেকের সঙ্গেই আমাদের আলাপ হয়। অনেকসময় উল্টোদিকের মানুষটির গলার আওয়াজ শুনেই আন্দাজ করতে হয়, মানুষটা কেমন।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, কণ্ঠস্বর আমাদের মনে গভীর রেখাপাত করে। আওয়াজ শুনেই একজন নারী অচেনা পুরুষটির শারীরিক গঠন, উচ্চতা, সেন্স অফ হিউমার- আন্দাজ করার চেষ্টা করেন। এমনকি টেলিফোনের উল্টোদিকের মানুষটি কতটা প্যাশনেট তাও আঁচ করার চেষ্টা করে নারীমন।
গবেষকদের ব্যাখ্যা, শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি বা স্পন্দন এবং কণ্ঠের ওঠানামাই আসল বিষয়। ভাষা, শব্দ, বাক্য এ সব বিষয় নাকি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের গবেষণায় আরও বলা হয়, পুরুষদের কণ্ঠ ভারি এবং নারীদের হাই পিচড হলে সকলে তাঁকে আকর্ষণীয় মনে করে৷ এমন কণ্ঠের শ্রোতা তখন বক্তার শারীরিক গঠন কল্পনা করে নেয় মনে মনে।
শুধু তত্ত্ব নয়, গবেষকরা হাতেনাতে পরীক্ষা করে নিজেদের দাবি প্রমাণ করেছেন। ১০ জন মহিলাকে একটি রেকর্ডেড পুরুষ কণ্ঠ শোনানো হয়েছিল। পুরুষ কন্ঠটি শুনে মহিলাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। দেখা যায়, প্রত্যেকেই গলার আওয়াজ শুনে পুরুষটির শারীরিক গঠন, যৌন আবেদন, এমনকি মুখের গড়নও আঁচ করার চেষ্টা করেছেন।
মহিলাদের উত্তর বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা আরও কিছু প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। যেমন- পুরুষ কণ্ঠে ভারি হলে, কম কাঁপলে নারীরা তা বেশি পছন্দ করে। কনফিডেন্স থাকতে হবে কণ্ঠে। কথা বলার বাচনভঙ্গি থাকতে হবে সাবলীল। অহেতুক বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বেশী কথা বলা ঐ পুরুষের দুর্বলতা প্রকাশ করে।
তাই নারীদের কাছে একজন সুপুরুষ হিসেবে নিজেকে প্রমান করতে চাইলে তা লুকিয়ে আছে আপনার কণ্ঠস্বরে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে