“সাবিহার (ছদ্মনাম) ৩য় সন্তান সাহামের প্রায় ৪২ মাস বয়স। নিজেকে মা হিসেবে তার অপরাধী মনে হয় যখন সাহামের ২২/২৪ মাসের ভিডিওগুলো দেখেন। কি সুন্দর আধো আধো ছড়া বলত, হাসত, রান্নাঘর থেকে হারিপাতিল নিয়ে সারাবাড়ি ঘুরে ঘুরে খেলত। কিন্তু কি হল! হঠাৎ করেই তার বাচ্চাটা কেমন চুপচাপ হয়ে গেলো। নাম ধরে ডাকলে সারা দেয় না, হাসে না! প্রথম যখন তার দুশ্চিন্তা হচ্ছিল সবাই বলতে লাগলো, ‘আর কয় মাস গেলে এমনিতে আগের মত কথা বলবে। সারাদিন একটা খেলনা নিয়েই আছে, অন্য বাচ্চাদের মত হাজারটা বায়না করেনা, কত লক্ষি ছেলে, শান্ত বাচ্চাই ভাল, তোমার কষ্ট কম হবে ওকে বড় করতে।’ প্রথম যখন শিশু বিশেষজ্ঞ তাকে বললেন, সাহামের বেড়ে উঠা অন্য শিশুদের মত নয়, তাই মা হিসেবে তার পথচলাটাও অন্য মায়েদের মত হবার নয়। সাবিহা মেনে নিতে পারেননি। কেন এমন হবে! কি তার অপরাধ! তিনি তো কোনো দিন কারো ক্ষতি করেননি! সবাই তখন যে যার মত ব্যস্ত হয়ে গেলেও সাহামের বাবা তার পাশে ছিলেন। সাবিহা থেরাপি সেন্টারে বসে ভাবেন আর অপেক্ষা করেন, সাহাম কবে আবার “মা” বলে ডাকবে, দৌড়ে তার কোলে আসবে।”
সাবিহার পথচলাটা কেমন হত যদি তিনি সাহামের বর্ণীল জগত সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন? চলুন আমরা জানতে চেষ্টা করি।
“Autism” শব্দটি এসেছে “Aut” অর্থাৎ আত্না /নিজ-/Self এবং “ism” অর্থাৎ অবস্থা /State থেকে। তাই শব্দগত ভাবে অটিজম বলতে ব্যক্তির অস্বাভাবিক আত্নমগ্ন অবস্থাকে বোঝায়। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি) হল মস্তিষ্কের বিকাশজনিত অবস্থা যার ফলে সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, ভাষা এবং চোখের যোগাযোগ বাঁধাগ্রস্ত হয়। প্রধানত তিন ধরণের অটিস্টিক সমস্যা রয়েছে যেমন: ১। ক্লাসিকাল অটিজম ২। এসপারজার সিনড্রোম, ৩। পারভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার। এছাড়াও আরও ২টি অপ্রচলিত অটিস্টিক ডিজঅর্ডার রয়েছে যেমন, রেট সিনড্রোম, চাইল্ডহুড ডিইসিন্টিগ্রেটিভ ডিজঅর্ডার।
এএসডি সাধারণত শৈশবে প্রায় ২-৩ বছর বয়সেই বেশিরভাগ সুস্পষ্ট লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)-র মতে, অটিজম মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি দেখা যায়। অনুপাতটি ১:৪ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে লক্ষণ কম প্রকাশ পায়।
বৈশিষ্ট্য
অটিজমের লক্ষণগুলোর তীব্রতা প্রতিটি শিশুর মধ্যে আলাদা। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:
১। সামাজিক মিথস্ক্রিয়া: চোখের যোগাযোগ সমস্যা, কথোপকথনে অসুবিধা, মুখের অভিব্যক্তি, আবেগ বা অনুভূতি, শরীরের অঙ্গভঙ্গির মত সামাজিক ইঙ্গিতগুলো বোঝার সমস্যা। সম্পর্কের বিকাশ, বন্ধু বানানোর সমস্যা।
২। পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ: হ্যান্ড-ফ্ল্যাপিং এবং টো-ওয়াকিং, নির্দিষ্ট একটি খেলনা নিয়ে অস্বাভাবিক উপায়ে খেলা। একটি শব্দ-ই বারবার বলা যাকে বলা হয় ইকোলালিয়া।
এছাড়াও, অটিজমে আক্রান্ত অনেকের স্বাভাবিক বুদ্ধি থাকলেও হালকা বা উল্লেখযোগ্যভাবে বিলম্বিত বিকাশ হয়। এরা ঘুমের সমস্যা, খিঁচুনি এবং মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকিতে থাকে।
ডায়াগনোসিস
অটিজমের সমস্যাগুলো হ্রাস করতে এবং শিশু ও তার পরিবারের জীবনমান উন্নত করার জন্য প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ। শিশু কীভাবে কথা বলে এবং কাজ করে তা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এটি নির্ণয় করা হয়। প্রশিক্ষিত মনোবিজ্ঞানী, শিশু বিশেষজ্ঞ, পেশাদারগণ সাধারণত অটিজম নির্ণয় করেন। আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (এএপি) সুপারিশ করে যে তিন বছর বয়সের আগে শিশুর বিকাশজনিত স্ক্রিনিং করা উচিত।
- মোডিফাইড চেকলিস্ট ফর অটিজম ইন টডলার (M-CHAT) -২০টি প্রস্ন সম্বলিত স্কেল যা ১৬-৩০ মাস বয়সী শিশুর মা/ যত্নদানকারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মূল্যায়ন করা হয়।
- মুলেন স্কেল অব আর্লি লার্নিং (MSEL), বেইলি স্কেল অব ইনফ্যান্ট ডেভেলপমেন্ট (BSID) – এই দুটি স্কেল দিয়ে ১মাস বয়স থেকেই শিশু বিকাশ মূল্যায়ন সম্ভব হয়। বিভিন্ন খেলনা দিয়ে ভাষা, বাচনিক-অবাচনিক যোগাযোগ, শারীরিক ও বুদ্ধির বিকাশ দেখা হয়।
- অটিজম ডায়াগনোস্টিক অবজারভেশন শিডিউল (ADOS) শিশুর যোগাযোগ, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, এবং পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ সহ অটিজমের মূল সূচকগুলিকে নির্ধারণ করে। অটিজম মূল্যায়নে ব্যবহৃত এটি একটি গোল্ড স্টান্ডার্ড উপায়।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) শিশুর মধ্যে অটিজম চিহ্নিতকরণ কিছু উপায় নির্ধারণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছেঃ
- ১২ মাস বয়সেও নিজের নামে সাড়া না দেওয়া
- ১৪ মাসের মধ্যে কোনো বস্তুর প্রতি আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ না করা। যেমন, আঙ্গুল দিয়ে “ঐটা” দেখানো, “টাটা” দিয়ে হাত নাড়ানো
- ১৮ মাসের মধ্যে “ভান” বা “অনুকরণ” করে খেলা করে না। যেমন, একটি পুতুলকে খাওয়ানো, রান্নাবাটি খেলা ইত্যাদি
- চোখের যোগাযোগ এড়ানো বা একা থাকতে পছন্দ করা
- সামান্য পরিবর্তনে বিচলিত হওয়া। যেমন, স্কুলে বসার জায়গা পরিবর্তন, রুমের কোনো আসবাবপত্র পরিবর্তন, এমনকি নিজের পোশাকের রঙ পরিবর্তন
- শরীর অস্বাভাবিক ভাবে দোলানো
- বস্তুর গন্ধ, স্বাদ, অনুভূতি সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া
এছাড়াও আপনার সন্তানের জ্ঞানীয়, ভাষা এবং সামাজিক দক্ষতায় বিলম্ব রয়েছে কিনা তা সনাক্ত করতে আপনি নিজেই মিলিয়ে নিতে পারেনঃ
- ৬ মাসের মধ্যে “এই যে বাবু” ডাকলে হাসির অভিব্যক্তি দিয়ে সাড়া দেয় না
- ৯ মাসের মধ্যে “ঐযে, বাবা ডাকছে বললে” মুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করে না, ঘাড় ঘুরিরে দেখেনা
- ১২ মাসের মধ্যে বাব্বা, দাদ্দা এরকম শব্দ করে না
- ১৬ মাসের মধ্যে একটি শব্দ-ও বলে না
- ২৪ মাসের মধ্যে দ্বি-শব্দ বাক্যাংশ বলে না যেমন, আমি খাই, মা যায় ইত্যাদি
- স্বাভাবিক বিকাশ হবার পরও যে কোনও বয়সে আবার ভাষা ও সামাজিক দক্ষতা হারায়
আচরণের ধরনগুলো
শিশু বা প্রাপ্তবয়স্কদের আচরণ, আগ্রহ বা কাজে পুনরাবৃত্তিমূলক নিদর্শনগুলো থাকতে পারে যার মধ্যে রয়েছেঃ
- পুনরাবৃত্তিমূলক নড়াচড়া, যেমন বিরতিহীন ভাবে দোলনায় ঝুলা, কোন কিছু ঘুরানো বা হাত নাড়ানো
- নিজের প্রতি এবং অন্যের প্রতি আক্রমনাত্নক আচরণ, যেমন কামড় দেয়া বা দেয়ালে মাথা ঠোকা
- সমন্বয়জনিত সমস্যা যেমন একটি লাইনের উপর দিয়ে হাঁটতে পারেনা, স্বাভাবিক অবস্থায়ও আঙ্গুলের উপর হাঁটা
- কোনও জিনিস ক্রমাগত স্পিন করছে দেখলে মুগ্ধ হয়
- হালকা, শব্দ বা স্পর্শেও কান্নাকাটি করে, কিন্তু ব্যথা, কেটে রক্ত পড়লে বা তাপমাত্রার প্রতি উদাসীন
- নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপে অস্বাভাবিক তীব্রতা বা ঐ একটি কাজে অতিরিক্ত মনোযোগ
- নির্দিষ্ট খাবার পছন্দ বা নির্দিষ্ট খাবারগুলো একদম অপছন্দ
সাধারণত যেসব শিশুদের সবচেয়ে কম সমস্যা রয়েছে, তারা স্বাভাবিক বা প্রায়-স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। অন্যরা, যদিও ভাষা বা সামাজিক দক্ষতা নিয়ে সমস্যায় থাকে এবং কিশোর বয়সে আরও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কারণসমূহ
এর কোনও একক জ্ঞাত কারণ নেই। জটিলতা, লক্ষণ এবং তীব্রতা পরিবর্তনের কারণে, সম্ভবত অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
১। জিনতত্ত্বঃ কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এটি জেনেটিক ডিসঅর্ডার-এর সাথে সম্পর্কিত হতে পারে যেমন রেট সিনড্রোম বা ভঙ্গুর এক্স সিনড্রোম।
২। পারিবারিক ইতিহাসঃ পরিবারে বাবা-মা বা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে কারো অটিজম থাকলে পরবর্তীতে শিশুর অটিজম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। গর্ভধারণের ২৬ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের ঝুঁকি বেশি হতে পারে। বাবা-মা-র বেশী বয়স দায়ি হতে পারে, তবে এর জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
৩। পরিবেশগত কারণসমূহঃ গবেষকরা বর্তমানে সংক্রমণ, ঔষধ, গর্ভাবস্থায় জটিলতা, বায়ু-দূষণ, লেড, খাবারে কেমিকেল এএসডিকে ট্রিগার করতে ভূমিকা রাখে কি না তা গবেষণা করে যাচ্ছেন। ব্যাপক গবেষণা সত্ত্বেও, কোনো নির্ভরযোগ্য অধ্যয়নে ভ্যাকসিনের সাথে যোগসূত্র নেই।
চিকিৎসা
এখনো পর্যন্ত এএসডির সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। গবেষণা দেখায় যে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি নির্নয় শিশুর বিকাশের উন্নতি করতে পারে। নিবিড় ও সঠিক পরিচর্যা অনেক শিশুর জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শিশুদের কথা বলা, হাঁটাচলা এবং অন্যের সাথে ভাব বিনিময় করতে থেরাপি প্রয়োজন। অতএব, আপনি যদি মনে করেন আপনার সন্তানের এএসডি বা অন্যান্য বিকাশজনিত সমস্যা আছে তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। ভাষার বিকাশের জন্য স্পিচ থেরাপির মতো নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রয়োজন হতে পারে অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, ফিজিও থেরাপিস্ট, পুষ্টিবিদ সাথে শিশু মনোবিজ্ঞানী। যদি আপনি উদ্বিগ্ন থাকেন তবে বিশেষজ্ঞের রেফারেল চেয়ে নিন। বিশেষজ্ঞরা যারা আরও গভীরতর মূল্যায়ন করতে পারেন তাদের মধ্যে রয়েছেঃ
- শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ (যাদের শিশু বিকাশ এবং বিশেষ শিশুর উপর প্রশিক্ষণ আছে)
- শিশু নিউরোলজিস্ট (মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং স্নায়ু নিয়ে কাজ করেন এমন চিকিৎসক)
- শিশু মনোবিজ্ঞানী বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসক যারা শিশু বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন)
প্রতিরোধ
এএসডি যেহেতু কোনো রোগ নয় তাই প্রতিরোধের কোনও উপায় নেই। তবে গর্ভকালীন সময়ে মা-এর সঠিক মানসিক ও শারীরিক যত্ন গুরুত্বপূর্ণ।
পিতামাতার জন্য
- অটিজম কোনো অভিশাপ কিম্বা পাপের শাস্তি নয়। এর সম্পর্কে যথাসম্ভব জানুন, প্রশিক্ষণ নিন।
- নিজের এবং শিশুর জন্য খেলা, খাওয়া, ঘুম ইত্যাদি দিয়ে দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচী তৈরি করুন।
- অটিজম রয়েছে এমন অন্যান্য শিশুর পিতামাতার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
- ধৈর্য রাখুন। নিজের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করুন।
- শিশুর জন্য শুধু মা নয়, পরিবারের সকল সদস্য, ভাই-বোন, শিক্ষক, যত্নদানকারীর ভূমিকা নিশ্চিত করুন।
- খেয়াল রাখতে হবে যে বিলম্বিত বিকাশ যেমন, শারীরিক কিম্বা ভাষাগত বিকাশ সমস্যা মানেই তা অটিজম নয়।
- ইউটিউব দেখে বিশেষ শিশু নিয়ে নিজে পরিক্ষা-নিরিক্ষা না করাই ভাল। কুসংস্কারাচ্ছন্য না হয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত মেনে চলুন।
- অটিজম রয়েছে এমন শিশুর-ও এডিএইচডির মত অতি চঞ্চলতা দেখা যেতে পারে। চিকিৎসক সেক্ষেত্রে ঔষধ দিলে অনেকেই ঘুমের ঔষধ মনে করে খাওয়াতে চান না। অনুগ্রহ করে চিকিৎসকের সাথে প্রয়োজনে পুনরায় আলোচনা করুন।
- সঠিক সময়ে সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে আপনার বিশেষ শিশুটিও হতে পারে চিত্র শিল্পি, খেলোয়াড় কিম্বা সুরের যাদুকর।
- অ্যালিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড খ্যাত ল্যুই ক্যারল, চার্লস ডারউইন, শিশু সাহিত্যিক হ্যান্স অ্যান্ডারসন, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো আর হাল আমলের বিল গেটস, স্টিভ জবস-সহ অনেক সফল মানুষই অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার নিয়েও খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছেন। তারা ছিলেন বিশেষ শিশু এবং তাদের বর্ণীল জীবনের রঙ দিয়ে পৃথিবীকে দেখেছেন।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না প্রতিটি বিশেষ শিশুর সাফল্যের পিছনে রয়েছে তার বিশেষ বাবা-মা কিম্বা তার শিক্ষক। এএসডি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ধৈর্যকে আমরা যেন সম্মান জানাতে ভুলে না যাই। এমনিতেই বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তাকে পথভ্রষ্ট না করি। বংশের পাপ কিম্বা এর জন্য তুমিই দায়ি বলা খুব সহজ কিন্তু একজন বিশেষ শিশুর বাবা-মাই শুধু জানেন তাদের পথচলা কতটা আলাদা। তাই চলুন আমরা তাদের পাশে থাকি। ছায়া হয়ে সহায়তা করি, নিজের আত্নার বিকাশকে ত্বরান্বিত করি।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে