এখন বাড়ি থেকে বেরতে ভয় লাগছে। আবার বাইরের কেউ বাড়িতে এলেও ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকছি আমরা। এই বুঝি সংক্রমিত হয়ে পড়লাম! এই অবস্থায় নিজের আর পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখতে এমন খাবার খান, যা আপনাকে সুস্থ রাখবে। আবার এই দুঃসময়ে আপনার শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে তুলবে।
যে কোনও লেবুতেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে। তাই এই লকডাউনের সময় যত দিন বাজারে মিলছে, অবশ্যই লেবু খাবেন। ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম জলে লেবু চিপে নিয়ে খেতে পারেন। অথবা চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন, দুধের পরিবর্তে। কমলা বা মুসাম্বি লেবু নিয়মিত রাখুন আপনার খাদ্যতালিকায়। লেবু আমাদের দেহের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
তবে মুশকিল হচ্ছে, লকডাউন পর্বে কিন্তু বাজারে সব সময় তাজা লেবুর দেখা মিলবে না। ফলে, খেতে পারেন পেয়ারা, পেঁপে, কলা, কিউয়িও।
তবে ওই সব ফলও খুব বেশি দিন বাজারে পাবেন না। তখন ভরসা রাখতে হবে আদা আর হলুদের উপর।
হলুদ, বিশেষ করে কাঁচা হলুদ ‘কারকিউমিন’ নামক একটি যৌগের গুণে সমৃদ্ধ। এটি নানা ধরনের প্রদাহ কমায়। অনেক রকমের ক্রনিক ব্যথাও সারায়। তাই সাধারণ গলা ব্যথা বা কাশি হলে আগে আদা, গোলমরিচ, হলুদ আর মধু এক সঙ্গে ভাল করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন। আদা তো হজমেরও দারুন সহায়ক। আবীর তা নানা ধরনের প্রদাহও কমায়।
প্রতি দিনের রান্নায় এখন রসুনের ব্যবহার বাড়াতে পারেন। বিশ্বের অনেক জায়গাতেই রান্নায় রসুন ব্যবহারের চল রয়েছে অনেক দিনই। কারণ, মানুষ বহু দিন আগেই বুঝেছিল, রসুন নানা রকমের সংক্রমণ খুব ভাল ভাবে রুখতে পারে।
চা খান নিশ্চয়ই? সে ক্ষেত্রে এখন আরও একটু বেশি আস্থা রাখুন ‘গ্রিন টি’-এর উপর। ঘরে যদি আমন্ড বাদাম রাখা থাকে, তা হলে খুব ভাল। আমন্ডও অনেক দিন সংগ্রহ করে রাখা যায় এবং তার থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন- ই। শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখতে যার জুড়ি মেলা ভার।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা