ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন সেই সাথে মেডিটেশন করুন

ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন সেই সাথে মেডিটেশন করুন
ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন সেই সাথে মেডিটেশন করুন

আজ আমরা মাইন্ডফুলনেস ও মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের কথা বলবো। এটা প্রাচীন বৌদ্ধদের ধ্যান থেকে নেয়া হয়েছে। এই চর্চা ইনফরমাল ও ফরমাল দুরকম হতে পারে।
এটা একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা প্রতি মুহুর্ত আপনাকে বর্তমান সম্পর্কে সচেতন থাকতে সাহায্য করে।  আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কাজে মনোসংযোগ করছেন। এখানে কোনো খারাপ বা ভালো ফল নেই। বলতে পারেন MINDFULNESS IS MOMENT TO MOMENT AWARENESS, INTENTIONAL, PURPOSEFUL AND NON-JUDGEMENTAL।
যেমন ধরুন আপনি এখন ড্রয়িং রুমে বসে আছেন। আপনি কোভিড-১৯ নিয়ে খুব শংকিত, আতংকিত। আপনি তিন দিন ধরে ঘরে আছেন। এই মুহুর্তে আশা করা যাচ্ছে আপনার করোনা সংক্রমনের আশংকা তেমন নেই। আপনি মনোযোগ অন্য দিকে দিন। তাকিয়ে দেখলেন সামনের টেবিলে একটা ছোট ক্যাকটাসে লাল ফুল ফুটে  আছে (এই যে রকম স্যুভেনিরের মতো ক্যাকটাস আমাদের সুপারশপ গুলোতে পাওয়া যায়)। আপনি ওটাতে মনোনিবেশ করুন। মনোসংযোগ করে দেখুন সাদা ছোট একটা টব; সাদা ছোট ছোট পাথর; চার ইন্চি লম্বা সবুজ কান্ড; তার ওপরে লাল ফুল। টবটি হাতে নিয়ে ওজন দেখুন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আকৃতি দেখুন (টবের, গাছের, ফুলের, পাথরের)। মাইন্ডফুলি কনসেনট্রেট করুন। অথবা একটি টেবিল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকুন এক মিনিট। প্রতি সেকেন্ড লক্ষ্য করুন সেকেন্ডের কাঁটার দিকে। এগুলো হচ্ছে নফরমাল মাইন্ডফুলনেস।
এবারে আমরা ফরমাল মাইন্ডফুলনেস সম্পর্কে বলি। মাইন্ডফুলনেস ধ্যান ও বলতে পারি-
শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে এই ধ্যান করা যেতে পারে। আপনি সোজা হয়ে DIGNIFIED POSTURE নিয়ে বসুন। আপনার দুই হাত আপনার ট্রাউজারের ওপর রাখুন (মাটিতে বসে ক্রসড্ লেগ করে অথবা এক হাত বুকে আর অন্য হাত পেটের ওপরে রাখতে পারেন)। চোখ বন্ধ করুন। এবারে নিঃশ্বাস প্রঃশ্বাসে মনোযোগ দিন। অনুভব করুন বাতাস আপনার নাকের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে; আপনার ফুসফুসে অক্সিজেন দিচ্ছে; আবার বেরিয়ে আসছে। সেইসাথে আপনার বুক ও পেটের ওঠানামা অনুভব করুন। মন অন্য দিকে চলে গেলে আবার ফিরিয়ে আনুন। শ্বাস নিন শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে পাঁচ মিনিট করুন।
ইনফরমাল মাইন্ডফুলনেস ও মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মনোযোগ বৃদ্ধি করে। স্মৃতিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে। মেডিটেশনের পরে রিলাক্স বোধ হয়। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ব্রেইনের মধ্যকার অনর্থক বক বক কমানো যায়। সেই সাথে
RADICAL ACCEPTANCE বাড়ায় অর্থাৎ যা হচ্ছে সেই বাস্তবতাকে মেনে এগিয়ে চলতে সাহায্য করে। বলা হয় মনকে বিজ্ঞ করতে সহায়তা করে। আবেগী মন ও যৌক্তিক মনকে ব্লেন্ড করে বিজ্ঞ মন তৈরীতে সাহায্য করে।

Previous articleকরোনা: মানসিক চাপ মুক্ত থেকে ঘরে থাকার দিনগুলি হোক আনন্দময়
Next articleলকডাউন অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here