দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলিতে আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায়গুলি চিহ্নিত করতে এবং সক্ষমতা বাড়াতে এই অঞ্চলের বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) আয়োজিত কর্মশালায় মিলিত হন।
গত ১১-১২ সেপ্টেম্বর (দুই দিনব্যাপী) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সেশনে আত্মহত্যা প্রতিরোধের নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে- বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার কারণে প্রতি বছর প্রায় ৮০০,০০০ প্রাণ হারিয়ে যায়, যা ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। যদিও এটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা, তবুও বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার ৯ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ঘটে থাকে, যেখানে প্রাথমিক চিকিত্সা এবং সহায়তার সংস্থান খুব কম।
ডাব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর পুনম ক্ষেত্রপাল সিং এর পক্ষে ডাব্লিউএইচও এর বাংলাদেশ প্রধান ডা. বর্ধন জং রানা কর্মশালার উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা যায় এবং ২০ জনেরও বেশি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। যা খুবই উদ্বেগজনক এবং সময়োপযোগী হস্তক্ষেপের অভাব আত্মহত্যা মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে যার জন্য জরুরি নজর দেওয়া দরকার।
কর্মশালায় জানানো হয় ২০০১ থেকে ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১০০,০০০ লোকের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৬.১।
আত্মহত্যা প্রতিরোধের পদক্ষেপটি জোরদার করার লক্ষ্যে বহু-বিভাগীয় এই আঞ্চলিক কর্মশালায় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং শিক্ষা ও সামাজিক খাত থেকে আগত প্রতিনিধিরা আত্মহত্যার বর্তমান পরিস্থিতি, আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্পর্কিত সহজলভ্য সরঞ্জাম ও গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা করেন।
আত্মহত্যা একটি জটিল সমস্যা হিসাবে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, কৃষি, ব্যবসা, বিচার বিভাগ, আইন, প্রতিরক্ষা এবং মিডিয়া সহ সমাজের একাধিক ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার প্রতি গুরত্বারোপ করেন।