বিষণ্নতা কিংবা এ জাতীয় মানসিক সমস্যা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি) আছে এমন মানুষদের মধ্যেই বেশি দেখা দেয়। এএসডি’তে ভোগা মানুষদের বিষণ্নতা ও এর কারণ বুঝা খুব জরুরী। এএসডি হলো এমন এক বর্ধনশীল রোগ যা মানুষের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, যোগাযোগ ও আচরণকে প্রভাবিত করে। এটি অ্যাসপারগার সিন্ড্রোম নামেও পরিচিত রোগটি।
জানা গেছে, বুদ্ধিমত্তার অক্ষমতাসহ এএসডিতে ভোগা মানুষদের মধ্যে প্রাপ্তবয়সে হতাশায় ভেঙে পড়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। এসব মানুষ হতাশার কারণ নির্ণয় এবং তার যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করলে জীবনকে আরো উন্নত করতে সক্ষম।
গবেষকরা ২৭ বছর বা তার বেশি বয়সের ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৪২ জন সুইডিশ নাগরিককে নিয়ে এক গবেষণা চালান। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৭৩ জনের মধ্যে এএসডি ধরা পড়ে। বাকি ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৯ জনের মধ্যে এ রোগ পাওয়া যায়নি। গবেষকরা স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়েও ক্লিনিকাল ডায়াগনোসিসে ধরা পড়া বিষণ্নতা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খোঁজ পেয়েছেন।
তবে এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা ছিল। গবেষকরা গবেষণার উদ্দেশে হস্তক্ষেপ করেননি এবং ফলাফল প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রাকৃতিক পার্থক্যসমূহকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারেননি। গবেষণার ক্ষেত্রে হতাশায় ভোগেন অথচ তা নির্ণিত হয়নি এমন অনেক মানুষ বাদও পড়েছেন।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
অনুবাদটি করেছেন তৌহিদ সোহান।