সুসম্পর্কের জন্য আপনার যা করতে হবে

0
112
সুসম্পর্কের জন্য আপনার যা করতে হবে
সঙ্গীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে শুধু একে অপরকে দোষারোপ করলে বা উপদেশ প্রদান করে ক্ষান্ত হলে চলেনা। বরং সহানুভূতিশীল মানসিকতার পরিচয় দিয়ে  নিজ নিজ স্থান থেকে যথাযথ প্রচেষ্টা করতে হয়।

প্রতিটি সম্পর্কে অসন্তোষ একটি অত্যন্ত সুপরিচিত বিষয়। মানসিক অসন্তোষের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করা এবং সু সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে অপরের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া খুবই সহজ। হ্যা এমনটা প্রায়ই হয় যে অপরের কথা, কাজ, চিন্তা ভাবনা, মানসিকতা বা আচার আচরণ অপর সঙ্গীকে হয়তো খারাপ অভিজ্ঞতা এবং মানসিক অসন্তোষের সম্মুখীন করেছে। আর সু সম্পর্ক বজায় না রাখতে পারার কারণ হিসেবে আপনি হয়তো এসব অসন্তোষকেই দায়ী করছেন। তবে এমনটাও হতে পারে হয়তো আপনার মানসিকতা এবং চিন্তাভাবনাই সামনে থাকা মানুষটার আচার আচরণ এবং চিন্তাভাবনাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে এবং হয়তো আপনার সঙ্গীর নয়, বরং আপনার ইতিবাচক মানসিকতা এবং  আচার আচরণই সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।

যদি একটি নিরপেক্ষ দিক থেকে সম্পর্কের মানকে ভালো রাখার কথা বলা হয় তবে পারস্পরিক বোঝাপড়া একটি সুন্দর ও অর্থপূর্ণ সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। অন্য জনকে দোষারোপ করার আগে নিজের মানসিকতা এবং ব্যবহারের উপর যদি দৃষ্টিপাত করা যায় তাহলে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঠিক কোন কোন বিষয় গুলোর প্রতি আপনাকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে সেটি সহজে বুঝতে পারবেন। নিচে কিছু এমন বিষয় উল্লেখ করা হল যেগুলো সু সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর উপর চাপ প্রয়োগের বদলে বরং আপনার নিজের প্রচেষ্টাকে আরও সুগঠিত ও অর্থপূর্ণ করবে।

১) আস্থাহীনতা
আপনার সঙ্গীর আপনার প্রতি বা আপনাদের সম্পর্কের প্রতি অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ এবং মানসিকতার কারণ হতে পারে আপনার প্রতি তার আস্থাহীনতা। এ ধরণের সমস্যায় আপনার সঙ্গী হয়তো আপনাকে ঠিক ততোটা গুরুত্ব প্রদান করছেনা বা সব বিষয়ে আপনাকে সংযুক্ত করছেনা। আর এর কারণ আপনি হয়তো সম্পর্কে ঠিক ততোটা আস্থার যায়গা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখানে তাদের মনে বিভিন্ন সময় ভয়ও কাজ করতে পারে। আর এই সমস্যা সমাধানে আপনার সঙ্গীকে দোষারোপ করে নয় বরং নিজের মানসিকতা এবং আচার আচরণকে আরও আস্থাশীল করার প্রয়াসের মাধ্যমেই সম্পর্ক উন্নয়ন করা সম্ভব।

২) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুধু নিজের মানসিক সন্তোষকে প্রাধান্য দেওয়া
অনেক সময় হতে পারে আপনার কাছে আপনার সঙ্গীর আচার আচরণ ভালো না লাগার কারণ হল তার মানসিক অবস্থাকে বিচার বিবেচনা না করে আপনি ঠিক আপনার সঙ্গীকে নিজের মানসিক অবস্থার দ্বারা বিচার করছেন এবং চাইছেন তিনি ঠিক তেমনভাবেই আপনাকে ভালবাসুক যেভাবে ঠিক আপনি চান বা ভাবেন। এভাবে শুধু নিজের মানসিক সন্তোষকে প্রাধান্য দেওয়ার ফলে আপনার সঙ্গীর প্রতি আপনি যেমন সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না তেমনি সুসম্পর্কের নেপথ্যে আপনার যে ব্যবহারটি করা উচিত সেটিও করতে পারছেন না। আর এর দায় আপনি হয়তো আপনার সঙ্গীর উপরেই বর্তাচ্ছেন যা সঠিক নয়।

৩) অসম্মান
নিজের মানসিক অবস্থা, চাহিদা বা সিদ্ধান্ত প্রকাশ করতে গিয়ে আপনি আপনার সঙ্গীকে অসম্মান করছেননা তো? অনেক সময় নিজের সাথে মতের অমিল হলে সেটি প্রকাশ করতে গিয়ে এমন ব্যবহার করবেন না যা আপনার সঙ্গীকে এবং তার চিন্তা ভাবনাকে অসম্মান করে। এমন হলে আপনার সঙ্গী কখনোই সেটি ভালো ভাবে নেবেনা এবং এটি আপনার সুসম্পর্কের পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে।

তাছাড়া এমন আরও অনেক কিছুই রয়েছে যা হয়তো আপনি নিজের অজান্তেই করে ফেলছেন যা আপনার সুন্দর সম্পর্ককে বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন করছে। তাই আপনার সঙ্গীর প্রতি আঙ্গুল তোলার আগে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রচেষ্টায় আগে নিজেকে প্রস্তুত করুন। এতে আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস এবং ব্যবহারেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

সূত্র: https://www.psychologytoday.com/intl/blog/addiction-and-recovery/202101/signs-you-are-struggling-healthy-relationships

অনুবাদ করেছেন: প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা

মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন ক্রয়ের বিশেষ অফার

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

 

Previous articleটিকা নিতে ভয়: ট্রাইপ্যানোফোবিয়া
Next articleযেকোনো ব্যাপারে একটুতেই খুব নার্ভাস হয়ে যাই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here