সন্তানের উগ্র আচরণ নিয়ে চিন্তিত?

0
121
সন্তানের উগ্র আচরণ নিয়ে চিন্তিত?

অল্পতেই রেগে যায়, আক্রমণাত্মক আচরণ করে, কথায় কথায় তর্ক জুড়ে দেয় – সন্তানের এ ধরনের আচরণ নিয়ে অনেক মা-বাবাই চিন্তিত। এ অবস্থায় কী করণীয় তা বুঝতে পারেন না তারা। তবে আশার কথা হলো, নতুন এক গবেষণায় শিশুদের এ ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রণের কিছু কৌশল বলা হয়েছে।

অভিভাবকত্ব শেখানোর কর্মসূচির দেড় শতাধিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে এ গবেষণা পরিচালনা করে ‘সোস্যাইটি ফর রিসার্চ ইন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ অভিভাবকত্ব শেখানোর কর্মসূচিতে সন্তানদের আক্রমণাত্মক আচরণ নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।
গবেষণায় অত্যন্ত উগ্র/আক্রমণাত্মক আচরণকে অসহযোগিতামূলক ও শত্রুতাপরায়ণ বা হিংসাত্মক আচরণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এছাড়া, দ্রুত রেগে যাওয়া, বড়দের সঙ্গে অহেতুক তর্ক করা এবং অন্যদের বিরক্ত বা বিপর্যস্ত করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অ্যামস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়, কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্বিবিদ্যালয় ও ইউট্রেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি স্যোসাইটি ফর রিসার্চ ইন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট পরিচালিত চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।

গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী প্যাটি লেইজটেন বলেন, “আমরা দেখতে পাই, যেসব শিশুদের আচরণ অত্যন্ত উগ্র, তাদের মা-বাবাকে কেবল ‘আচরণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’ শিক্ষা তেমন কার্যকর ছিল না। এর চেয়ে ‘আচরণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’র পাশাপাশি ‘সম্পর্ক তৈরির কৌশল’ শিক্ষা বেশ কার্যকর প্রভাব ফেলে।”

“তবে, শিশুদের উগ্র আচরণ সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আগে ‘আচরণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’র পাশাপাশি ‘সম্পর্ক তৈরির কৌশল’ বিষয়ে বাবা-মায়েদের প্রশিক্ষণ তেমন সহায়ক ছিল না। বরং এরচেয়ে  কেবল ‘আচরণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’ বেশি কার্যকর ছিল,” বলছেন লেইজটেন।

ইতিবাচক আচরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘আচরণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’গুলোর মধ্যে ছিল মা-বাবাকে সন্তানদের ভালো কাজের প্রশংসা করতে শেখানো। ‘প্রশংসা’ শিশুদের উগ্র মনোভাব কিছুটা হলেও লাঘব করতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, ‘সম্পর্ক তৈরির কৌশল’গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল মা-বাবাকে তাদের সন্তানদের চাহিদা সম্পর্কে সংবেদনশীল হতে উৎসাহিত করা।

এ গবেষণায় ২-১০ বছর বয়সী শিশুদের উগ্র আচরণ নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকত্ব শেখানোর কর্মসূচিগুলোর ফলাফলের ওপর ১৫৬টি গবেষণা পর্যালোচনা করেন গবেষকরা। এসব গবেষণায় ২০টি দেশের ১৫ হাজারেরও অধিক পরিবারের অংশ নিয়েছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleক্রোধ শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির অন্যতম কারণ
Next articleযৌন আচরণে বংশগতির প্রভাব অনেক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here