“ফাতিহা (৮বছর) (ছদ্মনাম) বাসার সবার সাথে তার বন্ধু নুহার (ছদ্মনাম) জন্মদিনের উৎসবে গিয়েছিল। কেক কাটার তখনও বেশ অনেকটা সময় বাকি। সব বাচ্চারা মিলে অনেক হৈচৈ, আনন্দ করছিল। চোখ বেঁধে কানামাছি খেলছিল বাচ্চারা। ফাতিহাকে ধরে ফেলায় এবার তার পালা চোখ বেঁধে অন্যকে ধরার। কিন্তু বাধ সাধল ছোট্ট তেলাপোকা। কোথা থেকে উড়ে এসে ফাতিহার মাথায় পরল। ফাতিহা এক ঝটকায় চোখ খুলে ফেলে দেখে তেলাপোকা মাথা থেকে তার গায়ে হেটে বেড়াচ্ছে। ভয়ে সে চিৎকার করে উঠে তা দেখে বন্ধুরা হাসাহাসি শুরু করল। তার গলা শুকিয়ে আসতে থাকে, ভীষণ হার্টবিট বেড়ে যায়। হাত-পা আর নাড়াতেই পারছিল না সে। সবার হাসির মাঝে ভয়ে জ্ঞান হারায় ফাতিহা!”
ভয় হচ্ছে সৃষ্টির শুরু থেকে পুরানো একটি অপ্রীতিকর আবেগ। যা হল বিপদ, ব্যথা বা ক্ষতির হুমকির কারণে ঘটে যাওয়া একটি মৌলিক প্রতিক্রিয়া। শিশুদের জন্য ভয় খুবই সাধারণ, স্বাভাবিক অনুভূতি। কিছু ভয় প্রাকৃতিক এবং অনুমানযোগ্য। তবে কখনও কখনও ভয় আরও গভীর এবং সমস্যাযুক্ত হয়ে উঠতে পারে।
ভয়ের প্রতিক্রিয়া শুরু হয় মস্তিষ্কের এমন একটি অঞ্চলে যাকে “অ্যামিগডালা” বলে। মস্তিষ্কের “টেম্পোরাল লোবে” বাদাম-আকৃতির এই সেটটি উদ্দীপনা সনাক্ত করে। উদাহরণস্বরূপ, যখনই আমরা একটি ভয়ের আবেগের সাথে জড়িত অন্য কিছু দেখি তখন এটি সক্রিয় হয় যা “ফাইট অর ফ্লাইট” -মুডের সাথে জড়িত মোটর ফাংশনগুলির অঞ্চলগুলিকে সক্রিয় করে। “হিপোক্যাম্পাস” এবং “প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স” মস্তিষ্ককে অনুভূত হুমকির ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, বনের মধ্যে সিংহকে দেখা একটি তীব্র ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে তবে চিড়িয়াখানায় একই সিংহের প্রতি কৌতূহল এবং সিংহটি সুন্দর বলে মনে করা। এর কারণ “হিপোক্যাম্পাস” এবং “প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স” প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে এবং “অ্যামিগডালা”র ভয় প্রতিক্রিয়া এবং এর প্রবাহিত ফলাফলগুলিকে কমিয়ে দেয়। মূলত, মস্তিষ্ক আমাদের “সংবেদনশীল” ক্ষেত্রগুলিকে আশ্বাস দেয় যে সত্যিকার অর্থে আমরা নিরাপদ আছি।
শিশুর বিকাশে ভয়ের প্রভাব
জীবনের প্রথম ৩বছর বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থাকে যেমন, মস্তিষ্ক সংবেদনশীলতা, ভাষা এবং বিমূর্ত চিন্তা। এ সময় ভয় বা আঘাতজনিত ঘটনাগুলি মস্তিষ্কের কাঠামো এবং এর সংযোগগুলিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সাধারণত শৈশবে শারীরিক বা যৌন নির্যাতন বা পারিবারিক সহিংসতার মতো ট্রমাজনিত ঘটনাগুলি আজীবন প্রভাব ফেলতে পারে। ভয়, হুমকিজনক ঘটনা আচরণের পাশাপাশি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। বাবা-মার মধ্যে দীর্ঘায়িত আগ্রাসনের সম্পর্ক থেকে আলাদা হবার ভয় বাচ্চাদের মানসিক সামঞ্জস্য, উদ্বেগ ও হতাশার জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপুর্ন। যা শিশুর ব্যাক্তিত্ত্ব গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে শিশু বন্ধু নির্বাচন করতে গিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনা, আত্মবিশ্বাস গঠনে সমস্যা, হজমে সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, ভুলে যাওয়া ইত্যাদী হয়।
শিশুর বয়স অনুসারে ভয়গুলি আলাদা। বেড়ে উঠার সাথে সাথে বিকাশের প্রতিটি পর্যায়ে তাদের ভয়ও বদলে যায়। তবে এক বয়সের ভয় অন্য বয়সে আবারও হতে পারে।
১। শৈশবকালীন ভয়
• হঠাৎ জোরে শব্দ বা ভীষণ নড়াচড়া দেখা
• হঠাৎ দৃষ্টিতে ঢুকে পড়া একটি বড় বস্তু দেখা
• অপরিচিত ব্যক্তি কথা বলতে কাছে আসলে, কোলে নিলে
• মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা হওয়া, ঘরে বা আশেপাশের পরিবর্তন, অজানা পরিবেশ
২। টডলার/প্রিস্কুলারদের ভয়
•দুঃস্বপ্ন
• অন্ধকার
• ভূত, রাতে যে কোনও আওয়াজ
• ভয়ঙ্কর বা দানব এবং প্রেতের অদ্ভুত মুখোশ
• কুকুর,বিড়াল কিম্বা অন্য পোষা প্রাণী
৩। স্কুল বছরগুলিতে শিশুদের মধ্যে ভয়
• মাকড়সা, সাপ, বড় পোকামাকড় বা সরীসৃপ
• খারাপ আবহাওয়া, যেমন টর্নেডো এবং ঝড়ো হাওয়া, বজ্র ঝড় থেকে উচ্চতর শব্দ বা ভূমিকম্প
• বাড়িতে একা থাকা, বিশেষত রাতে অন্ধকার এবং শোরগোল
• শিক্ষকের রাগ করা, কোনও পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া
• ভীতিজনক টিভি অনুষ্ঠান বা চরম বিপদের সংবাদ
• আঘাত বা অসুস্থতা, চিকিত্সক, ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া, ইনজেকশন
• অপহরণ সম্পর্কিত, নিরাপত্তাহীনতা
• কাউকে কাছাকাছি অনুভব করা
• অতিরিক্তভাবে নিখুঁত না হতে পারা
৪। কিশোরদের জন্য সাধারণ ভয়
• একটি সড়ক/ড্রাইভিং দুর্ঘটনা
• স্কুল বা কাজে ব্যর্থতা
• আহত হওয়া বা মারা যাওয়া
• মেডিকেল সরবরাহকারী এবং চিকিত্সক বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া
• সামাজিক ভয় যেমন স্কুলে মঞ্চে বক্তৃতা এবং অভিনয় করা
• বাবা-মা, ভাইবোন বা পোষা প্রাণীর অসুস্থ বা আহত হওয়া
• উঁচু দালান, পাহাড়, প্লেনে উঠে নিচে তাকানো
• প্রাপ্তবয়স্ক ইস্যু যেমন অর্থ বা বিবাহ সম্পর্কে উদ্বিগ্নতা
মনোবিজ্ঞানে শৈশব ফোবিয়া হল যে কোনও সত্যিকারের ভয়ের অনুপাতে একটি অতিরঞ্জিত, তীব্র ভয়। যদি কোনও শিশুর ফোবিয়া থাকে তবে ছয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে এই ভয়টি অনুভব হবে। বোস্টন চিলড্রেন হাসপাতালের মতে, “ফোবিয়া হল এক ধরণের উদ্বেগজনিত ব্যাধি, যা বাচ্চাদের সাথে বিভিন্ন কারণে হতে পারে।” এখানে ফোবিয়ার কয়েকটি সাধারণ ধরণ দেয়া হলঃ
১। নির্দিষ্ট ফোবিয়া
শিশু বেশিরভাগ কারণ ছাড়াই একটি অত্যন্ত নির্দিষ্ট সত্তা সম্পর্কে ভয় বোধ করে এটি কোনও নির্দিষ্ট জায়গা যেমন কোনও টয়লেট, বা কোনও বিশেষ ব্যক্তি যেমন শিশুর শিক্ষক, বা ট্যাক্সি ড্রাইভারের মতো এক ধরণের লোক হতে পারে।
লক্ষণ ও উপসর্গ
শিশু ফোবিয়ার সত্তা এড়ানোর চেষ্টা করে বা কারণ ব্যতীত খারাপ কিছু ঘটবে এমন ধারণা শুরু করে। অনেক সময়, যখন ভয়ের বিষয়টি উপস্থিত থাকে, তখন শিশুর প্রতিদিনের রুটিন মাফিক কাজগুলি যেমন, খাওয়া, ঘুম নিয়মের বাইরে চলে যায় এবং ব্যাহত হয়।
২। প্যানিক ডিসঅর্ডার
এই জাতীয় ব্যাধিতে, কোনও বিশেষ ঘটনা বা বস্তু হঠাৎ করে শিশুর মধ্যে আতঙ্ক উদ্দীপ্ত করতে পারে। তাত্ক্ষণিকভাবে কারণ স্পষ্ট নাও হতে পারে, তবে আতঙ্কের পরিণতি শিশুর আচরণে দেখা যায়।
লক্ষণ ও উপসর্গ
যখন আতঙ্কিত হয় তখন হৃদস্পন্দন দ্রুত বাড়তে শুরু করে। কাঁপতে শুরু, ঘাম হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর কিম্বা দ্রুত হয়। বুকে অস্বস্তি হতে পারে। আতঙ্কটি চঞ্চল করে তোলে। শিশু বলে যে সে পাগল হয়ে যাচ্ছে বা কান্নাকাটি, চিৎকার করতে থাকে। এমনকি ঘটনাস্থলে পুরোপুরি জমে এবং অসাড় হয়ে জ্ঞান হারাতে পারে।
৩। অ্যাগ্রো ফোবিয়া
নিজের চেনা জায়গার বাইরে কিম্বা আরামদায়ক অঞ্চলের বাইরে পা রাখার ভয়। শিশু সম্পূর্ণরূপে বাইরের জগত এবং অজানা লোকদের নিয়ে ভয় বোধ করে। অজানা যে কোনও জায়গা বা কোনও অপরিচিত লোক থেকে শিশু আতঙ্কিত হতে পারে।
লক্ষণ ও উপসর্গ
শিশুরা যে কোনও শর্তে বাসা থেকে বের হতে চায় না বা বাড়ির কোনও অপরিচিত বা অতিথির সাথে দেখা বা কথা বলতেও চায় না। যদি তা করতে বাধ্য হয় তবে তারা আতঙ্কিত হতে পারে বা চিৎকার, কান্নাকাটি করতে পারে।
৪। সামাজিক ফোবিয়া
এটিকে প্রধানত বড় পড়িসরে মানুষের সাথে যোগাযোগের ভয় হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
লক্ষণ ও উপসর্গ
যখন শিশুকে অন্য ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় বা শ্রেণিকক্ষে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, মঞ্চে যায়, বা এমনকি উপস্থিত লোকেরা যদি পাবলিক ওয়াশরুমে উঁকি দেয় তখন শিশু মারাত্মক ভয় পায়। পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সে মিথ্যা বলে বা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনা এড়াতে শিশু চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়।
ফোবিয়ার কারণ
দৃশ্যমান কিম্বা অদৃশ্যমান যে কোন উৎসই এর কারণ হতে পারে। বাচ্চাদের আসন্ন বিপদের অনুভূতি তৈরি হয় যা পরিস্থিতির বাস্তবতার অনুপাতের বাইরে থাকে। বিভিন্ন কারণে উদ্বেগজনিত ব্যাধি হতে পারে। যেমনঃ
১। জৈবিক কারণঃ মস্তিষ্কে “নিউরোট্রান্সমিটার” নামে একটি বিশেষ রাসায়নিক রয়েছে যা কোনও ব্যক্তির অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বারবার বার্তা প্রেরণ করে। সেরোটোনিন এবং ডোপামিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার যা “যখন ধাক্কা খায়” তখন উদ্বেগের অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
২। বংশগতি/পারিবারিক কারণঃ উদ্বেগ এবং ভয় উত্তরাধিকার সূত্রে পেতে পারে। একটি শিশু যেমন বাবা-মার বাদামী চুল, সবুজ চোখ এবং দূরদৃষ্টির উত্তরাধিকারী হতে পারে, তেমনি অতিরিক্ত উদ্বেগের প্রতি সেই বাবা-মার প্রবণতার উত্তরাধিকারীও হতে পারে। এছাড়াও পরিবারের সদস্য এবং অন্যদের কাছ থেকে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, যে শিশুটির বাবা-মা মাকড়সা ভয় পায় তা থেকে শিশুও মাকড়সার ভয় শিখতে পারে।
৩।পরিবেশগত কারণঃ আঘাতজনিত অভিজ্ঞতা যেমন, নির্যাতন-নিপীড়ন দেখা বা স্বীকার হওয়া, বাবা-মার বিবাহবিচ্ছেদ, পরিবারে অসুস্থতা বা মৃত্যু, অচেনা পরিবেশ, পরীক্ষা, নিয়মিত ভৌতিক কল্প কাহিনী শোনা বা দেখা, অতি চঞ্চল খেলার সাথী, এমনকি একটি নতুন স্কুলের বছর শুরুর মতো জীবনের একটি বড় ঘটনাও এর কারণ হতে পারে।
শিশুর ভয় কাটিয়ে উঠতে বাবা-মার জন্য পরামর্শ
১। সাধারণীকরণ ও বৈধতা দানঃ প্রত্যেকেই ভয় অনুভব করে এবং আপনার সন্তানের ভয় নিয়ে কথা বলুন। তাকে আশ্বাস প্রদান এবং তারপরে একটি সমাধানের পরামর্শ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভয়ের জন্য শিশুকে লজ্জা দেবেন না।
২। মডেল কোপিং দক্ষতাঃ আপনি সাথেসাথেই আপনার সন্তানের ভয় দূর করতে পারবেন না, তবে আপনি আচরণের মডেল হতে পারেন। ডীপব্রেথ অনুশীলন এবং সেই মুহুর্তটিতে আপনার শিশুকে ভয়ের বিপরীত কোন যুক্তি দিন।
৩। নিজের ভয় নিয়ে আলোচনাঃ আপনার ভয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার অনুভূতি এবং আপনি কি কি উপায়ে ভয় কাটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তা বলুন।
৪। বাইরের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকাঃ যে শিশুদের নতুন বিষয় জানার ঝোঁক থাকে তারা বাইরের জগত সম্পর্কে আগ্রহী হয়। ইউটিউব বা টিভিতে সহিংসতামূলক সংবাদগুলি বন্ধ রাখার বিষয়ে সচেতন হোন।
৫। ভয় প্রকাশঃ উদ্বেগের জন্য অন্যতম কার্যকর চিকিত্সা হল ভয় প্রকাশ করা। যদি ভয়ের অনুভূতি এবং কারণ প্রকাশ করার মত পরিবেশই বাড়িতে না থাকে তবে শিশুর ভয় দূর করা কঠিন।
কীভাবে ফোবিয়াগ্রস্ত শিশুকে চিকিৎসা করা যায়?
শিশুর লক্ষণ, বয়স, সাধারণ স্বাস্থ্য এবং পরিস্থিতি কতটা গুরুতর তার উপর চিকিত্সা নির্ভর করবে। ফোবিয়ার চিকিৎসা করতে প্রয়োজন হতে পারেঃ
১। কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপিঃ এই থেরাপি থেকে উদ্বেগ এবং প্যানিক অ্যাটাক যখন ঘটে একটি শিশু তা নিয়ন্ত্রণের নতুন উপায়গুলি শিখতে পারে। তার চিন্তা, অনুভূতি এবং আচরণকে সমন্বয় করতে শিখে।
২। ফ্যামিলি থেরাপিঃ যে কোনও চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় বাবা-মা কিম্বা পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে থেরাপিস্টের সাহায্যে একটি সমন্বিত চিকিত্সা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
৩। ঔষুধঃ কিছু ঔষুধের সাহায্যে শিশু ভাল অনুভব করতে পারে, যেমন প্যানিক অ্যাটাকের জন্য। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ঔষুধের ব্যবহারের সুবিধা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে অবশ্যই নিশ্চিত হোন।
শিশুর ভয় এবং ফোবিয়া রয়েছে এটি মেনে নেয়া বাবা-মার জন্য কষ্টকর। এমনিতেই এক সময় ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে হতে পারে। অনেক বাবা-মা ভয় দেখিয়ে খাওয়ান, ঘুম পাড়ান। অনেক শিশুরা খেলাচ্ছলে অন্য শিশুদের গায়ে পোকা ছেড়ে দিয়ে, ভূত সেজে ভয় দেখিয়ে মজা পায়। এতে অন্য শিশুটির বিপদও হতে পারে। সঠিক প্যারেন্টিং এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সজাগ থাকা, বাচ্চাদের সাথে খোলামেলা কথোপকথন এবং আস্থার দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলা বাচ্চাদের তাদের ভয় মোকাবেলায় সহায়তা করার দুর্দান্ত উপায়।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন