হতাশা কাটাতে করণীয়

0
104
ডিপ্রেশনঃ ভুল ধারনা এবং বাস্তব
হতাশা কাটাতে করণীয়

জীবনে চলার বাঁকে আমরা কখনো না কখনো হতাশায় ভুগি। কখনো কাজের চাপে, কখনো চাকরি না পাওয়ার কারণে, কখনো বৈবাহিক জীবনে অশান্তির কারণে, কখনো বা জীবনে উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়া কারণে। হতাশায় ভুগলে আনন্দদায়ক কাজও মাটি হয়ে যায়। কিন্তু বসে থাকলে তো আর চলবে না। দরকার হতাশা থেকে উত্তরণের উপায়। নিচে হতাশা কাটাতে করণীয় কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
মনোযোগিতা : হতাশা সব সময় ভুল ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ভাবায়। আর এই নেতিবাচক ভাবনাগুলো হতাশ ব্যক্তির জন্য ঠিক নয়। মনোযোগী হওয়ার চর্চা এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মনোযোগী হওয়া বলতে বুঝায় নিজের ফোকাস , স্পর্শ , পারিপার্শিক শব্দ, স্বাদ এবং বর্তমান মুহুর্তের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখা। আর এটি এমন একটি দক্ষতা যার জন্য চর্চা থাকতে হয়। এছাড়া নিজের সাথে যুক্ত থাকার ফলে উদ্বেগ দূর হয়।
গান শোনা :  হতাশা কাটানোর আরো একটি উপায় হলো গান শোনা। একটি সুন্দর ও শ্রুতি মধুর গান দ্রুতই একটি পরিবেশ পরিবর্তন করে দিতে পারে। একই সঙ্গে ইতিবাচক মনমানসিকতা তৈরি করে। সঙ্গীত দ্রুতই মুড পরিবর্তন করে এবং হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।
নেতিবাচক আলোচনা পরিত্যাগ : হতাশ ব্যক্তি বিশ্বের সব কিছুকেই নেতিবাচকভাবে দেখার এবং আলোচনা করার ঝোঁক রয়েছে। যদি কোনো কিছু ভুল হয় তবে তারা নিজেদেরকে দোষী করে । আর ঠিক হয় তবে ভাগ্যের উপর ফেলে। নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে কারোই সিরিয়াসলি নেয়া উচিত নয় যাদের অনুভব ক্ষতা অল্প। এ দৃষ্টিকোন থেকে বলা যায় হতাশা দূর করার জন্য নেতিবাচক আলোচনাকে বাদ দিতে হবে।
বিভ্রান্তি দূর : প্রত্যেক ব্যক্তিরই বিভ্রান্তি দূর করতে হবে। কারণ এই বিভ্রান্তি থেকেই অনেক সময় হতাশার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এটা সৃষ্টি হয় সকল নিরর্থক বিষয় ভাবার কারণে। আপনার চিন্তাই আপনার শত্রু এবং এটিই হতাশার পথ তৈরি করে দেয়। বই পড়া বা ধাঁধার বই হতাশা দূরের অনেক বড় একটি উপায়। কারণ বই পড়ার অভ্যাস থাকলে সকল নিরর্থক বিষয় ভাবা থেকে দূরে থাকা যায়। নিজেকে অনেক ব্যস্ত রাখলেও হতাশা দূর হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম : পর্যাপ্ত ঘুম হতাশা দূর করতে অনেকাংশেই সাহায্য করে। এর অভাবে মনের মধ্যে বিরক্তি ও চাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে ঘুম হলে শুধু হতাশাই নয় স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মন এবং মেজাজ দুইটা পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত। এটা প্রমানিত যে ঘুমের অভাব মানুষের মনের মধ্যে বিশাল প্রভাব ফেলে। প্রত্যেক মানুষেরই মানসিক চাপ এবং মেজাজ খিটখিটে ভাব দূর করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
নিয়মিত ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়াম হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। অনুশীলন মুক্ত করে এন্ড্রপিনস যা মন ভালো রাখতে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি এটা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। এছাড়া নিমমিত ব্যয়াম বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং দেহে শক্তি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত আধা ঘণ্টা ব্যয়াম শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখে।
সামাজিক হোন : যখন আপনি হতাশায় ভুগবেন তখন একা বসে বা অন্যদের থেকে আলাদা থাকবেন না। কারণ এতে হতাশা আরো বাড়বে। আপনি বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন বা বিনোদনমূলক কাজ করতে পারেন। এতে বিষন্নতার অনুভূতি অনেকাংশেই দূর হয়। এ সময় আপনার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং এটি আপনার মন মেজাজের উপর ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে।

Previous articleশিশুদের আচরণজনিত সমস্যা (এডিএইচডি) বিষয়ে বিএসএমএমইউ’তে বৈজ্ঞানিক সভা
Next articleসম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অবসাদ কাটাতে করণীয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here