এটি একটি জটিল বিষয়। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশগুলিতে আরো জটিল। আসলে একজন মানুষের যৌনাকাঙ্খা কার প্রতি কেন হয়, এটার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা এখনো বিজ্ঞান জানাতে পারেনি। ছেলের আগ্রহ ছেলের প্রতি কেন, এটা যেমন জানা যায়নি আবার ছেলের আগ্রহ মেয়েদের প্রতি কেন সেটাও জানা যায়নি। সমকামিতা বিষয় নিয়ে এখেনো অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। কোনো কোনো দেশ বা ধর্ম এটাকে মেনে নেয়নি। কোনো কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে এটাতে সরাসরি কোনো সমস্যা হয় না। তাই আগে মানসিক রোগ হিসেবে ধরা হলেও বর্তমান পৃথিবীর অনেক জায়গায় এটাকে আর রোগ হিসেবে দেখা হয়না। দেশ বা আইনের বাইরে আরো অনেক বিষয় এর সাথে জড়িত। যেমন; ধর্ম বা সংস্কৃতি। বেশির ভাগ ধর্মই সরাসরি এর বিরোধী।
তবে, মনে রাখতে হবে সমকামিতা সব সময় কারন ছাড়া নাও হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে সরাসরি কারণ থাকে। যেমন সংগীর সাথে মিশতে মিশতে, সাধারন কৌতুহল থেকেও অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। আবার কাউকে কাউকে একাজে বাধ্য করা হয়, তখনও সেটা অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। এসব সেক্ষেত্রে সমকামিতা নিরাময়যোগ্য। আপনার বন্ধুর ক্ষেত্রে কি ঘটেছে সেটা জানতে হবে। তখন হয়তো বলা যেতে পারে কতটুকু নিরাময় যোগ্য। ভালো থাকবেন।[/vc_message]
ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর। চেম্বার তথ্য – ক্লিক করুন