‘সংকটকালীন সাংবাদিকতা : ট্রমা ও সাংবাদিকের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক ওয়েবিনার

0
35
‘সংকটকালীন সাংবাদিকতা : ট্রমা ও সাংবাদিকের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক ওয়েবিনার

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা শুধু শারীরিক নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সহিংসতা, সংঘাত, বিপর্যয় ও ট্র্যাজেডি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য মানসিক আঘাত থেকে সুরক্ষাও জরুরি। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি ওয়েবিনারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তারা।

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা-এর সহযোগিতায় ‘সংকটকালীন সাংবাদিকতা : ট্রমা ও সাংবাদিকের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

ডার্ট সেন্টার এশিয়া প্যাসিফিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কেইট ম্যাকমান ওয়েবিনারের বিশিষ্ট বক্তা ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিক ট্রমাজনিত ঘটনাগুলো কাভার করেন তাদের মধ্যে নানা ধরনের মানসিক প্রতিক্রয়া দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক। যেমন, মেজাজের পরিবর্তন (মুড সুইং), নিদ্রাহীনতা, বিষণ্নতা ও বিভ্রান্তি। যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু সামাজিক ও পেশাগত সাপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং নিজেই নিজের মানসিক যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

ড. কেইট বলেন, সহিংসতা ও ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার এবং নিউজ কাভার করার সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই ট্রমা-সচেতন হতে হবে।

সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে নিউজরুমের উচিত মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য নির্দেশিকা এবং সহায়তার ব্যবস্থা করা। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য সি-ক্যাব ট্রমা সাংবাদিকতা নিয়ে সচেতন করতে নিউজরুমের সঙ্গে কাজ করবে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য ডার্ট সেন্টারের তৈরি ট্রমা রিসোর্সগুলোর আদলে গাইডলাইন তৈরি করেছে সি-ক্যাব।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেড অব মিডিয়া ফ্রান্সেস জ্যাকস, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, প্রথম আলো পত্রিকার ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির এবং ইউনিভারসিটি অব লিবারেল আর্টসের মিডিয়া স্ট্যাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক জুড ডব্লিউ জেনিলো। এ ছাড়া প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনের প্রায় ৯০ জন সাংবাদিক ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন।

সি-ক্যাব গণমাধ্যম ও কৌশলগত যোগাযোগ টুলস (সরঞ্জাম) ব্যবহার করে সময়োপযোগী, নির্ভুল এবং কার্যকরী তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করে। সাংবাদিক ও ডিজিটাল যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে সিসিএবি সংবাদের ইকোসিস্টেমের সরবরাহ ও চাহিদা উভয় দিক নিশ্চিত করতে কাজ করে।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি গ্রাজ্যুয়েট স্কুল অব জার্নালিজমের একটি প্রকল্প ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা। এটি একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র যা ট্রমা, সংঘাত এবং ট্র্যাজেডির মিডিয়া কাভারেজ আরো উন্নত করার চেষ্টা করছে।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন:করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleবিশ্বকাপে চলছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ক্যাম্পেইন
Next articleনারী ক্রীড়াবিদদের সন্তানের দেখাশোনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here