শিশুদের স্ক্রিন টাইম সীমিত করার মাধ্যমে তাদের ব্রেইনের কার্যক্রম আরো উন্নত করা যায় বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে। এখানে স্ক্রিন টাইম বলতে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ভিডিও গেম ইত্যাদির ব্যবহারকে বোঝানো হয়েছে।
আট থেকে এগারো বছর বয়সী সাড়ে চার হাজার শিশুদের নিয়ে দ্যা ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলোসেন্ট হেলথ নামে একটি আমেরিকান সংস্থা এই গবেষণাটি করে। গবেষণায় শিশুস্বাস্থ্যের জাতীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী শিশুদের ঘুমের সময়সূচি, ব্যায়াম এবং স্ক্রিন টাইমের তুলনা করেন গবেষকরা। নির্দেশিকা অনুযায়ী এই বয়সী শিশুদের স্ক্রিনের সামনে দিনে দু’ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করা উচিত নয়। এ ছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমানো এবং অন্তত ১ ঘণ্টা শারীরিক কার্যকলাপ (খেলা, ব্যায়াম ইত্যাদি) করা উচিত।
গবেষকরা জানান, সাড়ে চার হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ শিশু এই নির্দেশিকা অনুসরণ করতে সক্ষম হয়েছে। কেবল ৫১ শতাংশ শিশু সুপারিশকৃত সময় ঘুমিয়েছে, ৩৭ শতাংশ শিশু সুপারিশকৃত স্ক্রিন টাইম অনুসরণ করেছে এবং মাত্র ১৮ শতাংশ শিশু দৈনিক ১ ঘণ্টার শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নিয়েছে।
যেসব শিশুরা প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্র পূরণ করেছে তাদের বৈশ্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং ভাষাগত উৎকর্ষতা সাধিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন গবেষকরা।
প্রধান গবেষক জেরেমি ওয়ালশ জানান, এই গবেষণায় শিশুদের ঘুম, স্ক্রিণ টাইম এবং ব্যায়ামের সামগ্রিক প্রভাব সম্পর্কে আমাদের অবগত করেছে।
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা সিএনএনকে তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শারীরিক কর্মকাণ্ড, ঘুম এবং স্ক্রিন টাইম শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশে স্বাধীনভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। যদিও এই আচরণের সমন্বয় কখনই বিবেচনা করা হতো না। আমেরিকান শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশে এই নির্দেশিকাসমূহ কতোটা গুরুত্ব বহন করে তা আমরা এই গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
তথ্যসূত্র: টাইম ডট কম।
অনুবাদটি করেছেন তৌহিদ সোহান।