১. আবেগের টান
শিশুর মনোজগতে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও আত্মকেন্দ্রিক মনোবৃত্তি আসতেই পারে। এতে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং ধৈর্য ধরে কিভাবে তা দূর করা যায় সে জন্য মনোযোগী হতে হবে। এ জন্য বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগকে চালিত করতে হবে। শিশুর সঙ্গে আলোচনায় থাকতে হবে সহানুভূতি, সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি এবং নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার বিষয়গুলো।
২. উষ্ণ সম্পর্ক গড়ুন
সন্তানের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা থাকলে চলবে না, থাকতে হবে উষ্ণ ও আন্তরিক সম্পর্ক। এ জন্য শিশুর সঙ্গে সঠিকভাবে নানা বিষয়ে আলোচনা ও পারস্পরিক মনোভাব আদান-প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তা নয় বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে হবে।
৩. ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
শুধু ‘প্লিজ’ এবং ‘থ্যাংক ইউ’ বলাই ভালো ব্যবহার নয়, আরো বহু বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি শিশুর সঙ্গে যে ব্যবহার করবেন তাই শিশু আপনাকে ফেরত দেবে। এ ছাড়া রয়েছে তার বন্ধুদের কাছ থেকে শেখা ব্যবহার। এ ক্ষেত্রে শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে যেন সেও অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে। কথা বলার সময় তার সব কথাই উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।
৪. তাড়াতাড়ি শুরু করুন
শিশুর সামাজিকতা শেখানোর কাজটি খুব ছোটবেলা থেকেই শুরু করতে হবে। কিছুটা বড় হয়ে গেলে শিশুকে বিষয়গুলো শেখাতে অনেক বেশি শ্রম দিতে হবে। শিশুদের সঙ্গে শিশুকে খেলতে দিন। শিশু যখন অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলবে তখন তাকে কোনো খেলনা দখল করে রাখতে দেবেন না। তাকে অন্যদের খেলনা দেওয়া-নেওয়া করা শেখান।
৫. নজর রাখুন, নিয়ন্ত্রণ নয়
সন্তানকে যদি নানা ধরনের শাস্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয় তখন সন্তানের সঙ্গে বাবা-মার বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয় এবং সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। এ কারণে শিশুকে সর্বদা নিজের মতো করে বন্ধু ও খেলার সাথীদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে ও মিশতে দিন। এ ক্ষেত্রে বড়দের ভূমিকা হবে সহায়তাকারীর, নিয়ন্ত্রণকারী নয়। এ ছাড়া বেশি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ থাকলে তা বন্ধুত্ব তৈরিতে সমস্যা করতে পারে। তাই সম্ভব হলে প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলতে হবে।