অধ্যাপক ডা. সুস্মিতা রায়
মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, সিওমেক, সিলেট
মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার একটা অন্যতম অংশ রিলাক্সেশন। রিলাক্সেশনের সব থেকে বেস্ট অপশন হলো খেলাধুলা। খেলাধুলার মধ্যে ইনেডোর-আউটডোর আছে। আউটডোরের খেলাধুলা মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। ইনডোর অনেক খেলাধুলাও আছে যেমন-লুডু, দাবা, ক্যারাম ইত্যাদি মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। ইনডোরের জায়গাটা এখন ডিভাইস দখল করে নিয়েছে। যা বরং বাচ্চাদের জন্য ভয়ংকর রকম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ডিভাইস গেমসের প্রতি আসক্তির কারণে এখন শিশু-কিশোরদের প্রচুর মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। সমস্যাগ্রস্ত শিশু-কিশোরদের স্ট্রেস লেভেল খুব নিম্নমুখী হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে খেলার মাঠের অপর্যাপ্ততা। আউটডোর খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ায় অলস সময়ে শিশু-কিশোররা নানারকম অপরাধেও যুক্ত হয়ে পড়ছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খেলাধুলা ও বিনোদনের যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। আবার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সেটা প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলায় ভালো পারফরমেন্স করতে ভূমিকা রাখে। স্বভাবতই ছোটোবেলা থেকে বাচ্চারা খেলাধুলার সুযোগ পেলে তাদের মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়। সোশ্যাল দক্ষতা ও সামাজিক সম্পর্ক রক্ষায় অন্যান্য শিশুদের থেকে খেলাধুলায় সুযোগ পাওয়া শিশুরা এগিয়ে থাকে। মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকার সুযোগ পায়। তাছাড়া উন্মুক্ত খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক কসরতের কারণে এক্সারসাইজও হয়ে থাকে। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে খেলাধুলার উল্লেখযোগ্যরকম ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এজন্য শিশুদেরকে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস থেকে যতটা সম্ভব দূরে রেখে মাঠের খেলায় উৎসাহী করতে হবে।