Close Menu
    What's Hot

    ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

    নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

    সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম আর নেই

    নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Friday, October 24
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 23, 2025

      ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

      Recent

      ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

      নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

      সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব
    মানসিক স্বাস্থ্য

    মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব

    প্রতিবেদক, মনের খবরBy প্রতিবেদক, মনের খবরJune 30, 2021No Comments7 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই পুরোনো প্রবাদ বাক্যটি যে কতটা সত্যি তা আমরা সকলেই জানি এবং অনুধাবন করি। আর অসুস্থ হলে এই কথাটিকে শতভাগের ওপর খাঁটি ভাবি।

    কিন্তু স্বাস্থ্যের এক অবিচ্ছেদ্য এবং অবিচ্ছিন্ন অংশের নাম মানসিক স্বাস্থ্য তা বুঝি না বা বোঝার চেষ্টা করি না। শরীর মনের একাত্মতা আমরা আসলে মানতে চাই না বা উপেক্ষা করি। মানসিক সুস্থতা ছাড়া যে কোনো সুস্থতা সম্ভব নয় তা-ও বুঝতে চেষ্টা করি না।

    বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ১৭ থেকে ১৮ জন মানুষ কোনো না কোনো মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ছয়ভাগের এক ভাগ মানুষ মানসিক রোগে ভোগেন। অর্থাৎ ১৬ কোটি মানুষের এই প্রিয় মাতৃভূমিতে আড়াই কোটি মানুষ মানসিক রোগে ভুগছে।

    প্রায় অর্ধকোটি যুবক-যুবতী মাদকাসক্তির করাল গ্রাসে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে যারা কিন্তু দেশের সমাজের মেরুদণ্ড। শতকরা ২ থেকে ৩ ভাগ শিশু-কিশোর বুদ্ধি প্রতিবন্ধিত্ব অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধিতায় ভুগছে। এই ভয়াবহ বাস্তবতা আমরা একদম হিসেবের মধ্যে ধরতে চাই না।

    মানসিক স্বাস্থ্যের এই চিত্রের উল্টো দিকে রয়েছে আরো করুণ চিত্র। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চিরকালই থেকেছে অবহেলিত। দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের ০.৫% এর কম অর্থ মানসিক স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হয়।

    সারাদেশে মাত্র তিনশত জন মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞ এই জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত আছেন। তার থেকেও কম সংখ্যক সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিক নার্স এবং সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার এই সেবায় সম্পৃক্ত হয়ে আছেন।

    সুতরাং এ থেকে সহজেই অনুমেয়, এই স্বল্প সংখ্যক মনোচিকিৎসক, সাইকিয়াট্রিস্ট, সাইকোলজিস্ট, নার্স, কোনো অর্থেই সঠিকভাবে এই সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন না।

    মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের চিত্রটিও মোটেও সুখকর নয়। একমাত্র রাজধানী ঢাকা শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

    ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সীমিত পরিসরে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা চলমান রয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে প্রায় সকল সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু আছে।

    অত্যন্ত অনুতাপের বিষয় এই যে, প্রায় সকল জেলা হাসপাতাল এবং অনেক প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার কোনো ইউনিট/ব্যবস্থা নেই। তবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু আছে সামরিক বাহিনীতে প্রায় সকল বড় হাসপাতালে। আন্তঃবিভাগে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য এখনো একটি হাসপাতাল বেড নিশ্চিত হয়নি।

    সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে কিছু হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ক্লিনিকে মানসিক রোগ ও মাদকাসক্তির চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু তার মান নিয়ে অনেক কথা রয়ে গিয়েছে। উপজেলা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে, গ্রামে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা একেবারে নেই বললেই চলে।

    তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ঝাঁড়ফুক, লাঠি, চুল কাটা, শেকল পরানো, মরিচ পুড়িয়ে চোখে-মুখে-নাকে দেওয়াই মানসিক রোগের চিকিৎসা। এসব অপচিকিৎসা আরো মানসিক বিপর্যয় ঘটানোর পাশাপাশি মানবিকতা ভূলণ্ঠিত করে।

    মানসিক স্বাস্থ্য সেবার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো ট্রিটমেন্ট গ্যাপ। বাংলাদেশে শতকরা বিরানব্বই ভাগ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেন না। অর্থাৎ বিরানব্বই ভাগ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে জানেন না, চিকিৎসকের কাছে যান না বা চিকিৎসা নেন না।

    বাংলাশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রতিকূলতা

    মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও গ্রহণে অনেক প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

    কুসংস্কার: মানসিক অসুস্থতা নিয়ে কুসংস্কারের শেষ নেই। এখনো গ্রামাঞ্চলে মানসিক অসুস্থতাকে জ্বিনে ধরা, পেত্নি ভর করা, কালীতে ধরা, আলগা বাতাস লাগা, শয়তানের আচড়ঁ বলে মনে করা হয়।

    স্বভাবতই এসব কারণে রোগী বা আত্মীয়-স্বজন এসবকে মানসিক রোগ হিসেবে ভাবেন না। আর এ কারণেই এদেশে ট্রিটমেন্ট গ্যাপ হয়। কুসংস্কারের কারণে অনেক সময় রোগীকে নিগৃহীত হতে হয়। সমাজে একঘরে হতে হয়। চাকুরি দেয়া হয় না, চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়, এমনকি পারিবারিকভাবেও নিগৃহীত হতে হয়

    সচেতনতার অভাব:

    শিক্ষিত লোক থেকে শুরু করে আমজনতার মধ্যে মানসিক রোগ বিষয়ে সচেতনতার বড় অভাব। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

    বৈজ্ঞানিক সচেতনতা এবং বিশ্লেষণের অভাব: অন্য দশটি রোগ নিয়ে কতরকম বৈজ্ঞানিক আলোচনা হয়। এমনকি গ্রামের চা-স্টলে লোকদের মধ্যেও রোগ বিষয়ক আলোচনা হয়। কিন্তু মানসিক রোগের বেলায় আলোচনা তো দূরের কথা, উল্টো প্রায় ক্ষেত্রেই তা লুকিয়ে রাখা হয়। এমনকি নিকটাত্মীয়, সন্তান-সন্ততি, মা-বাবাকে শেকল পরিয়ে দেয়া হয়।

    বৈজ্ঞানিক সচেতনতার অভাব শিক্ষিত এমনকি চিকিৎসক সমাজেও কম নয়। মনোরোগের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সাধারণ চিকিৎসকরাও তেমনভাবে জানেন না বা গ্রহণ করেন না। সচেতনতার উল্টো দিকে অবৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ, উপস্থাপন। এগুলো মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিশেষ অন্তরায়।

    কিছু কিছু মানসিক রোগী নিজেও মনে করেন না তিনি কোনো রোগে ভুগছেন। সুতরাং চিকিৎসা নেবেন কেন? মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এই স্বাস্থ্য সেবাকে পিছিয়ে দেয়ার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

    অর্থনৈতিক কারণ:

    সাধারণত মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল থাকে। মানসিক স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বাজেটও অনবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হয়। কিন্তু সকল কিছুর উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত। আর স্বভাবতই এই কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় এটাও গুরুত্বপূর্ণ অন্তরায়।

    মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে স্বাস্থ্য সেবার অন্য অংশ থেকে পৃথক করে দেখাও এই স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ ও প্রদানে একটি বাধা। মাদকাসক্ত শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি ভিন্নভাবে চিহ্নিত করে আমলে না নেয়া। প্রতিকুলতা হোক বা প্রতিবন্ধকতা হোক তা সবক্ষেত্রেই থাকবে। তবে আমাদেরকে এগুতে হবে।

    মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রতিকুলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিম্নে কিছু বিষয় উপস্থাপিত করা হলো:

    সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। এই সচেতনতা বাড়াতে হবে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে। মানসিক স্বাস্থ্যের বৈজ্ঞানিক ভিত্তিগুলো সাধারণ্যে প্রচার করতে হবে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রমে মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করে এ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে।

    গ্রাম্য মাতবর, স্কুল শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ সকলকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা হতে পারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    কুসংস্কার দূর করতে হবে। এজন্যও প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো। কুসংস্কার দূর করা না হলে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ তো হবেই না, অধিকন্তু অপচিকিৎসার মাধ্যমে মানবিকতা ও সামাজিক সম্প্রীতি ভূলন্ঠিতি হবে। কুসংস্কার দূর করতে না পারলে হাতের কাছে সেবা থাকলেও তা ভয়ে, সংকোচে, একঘরে হওয়ার ঝুঁকির কারণে, সমাজে অবহেলিত, নিগৃহীত হওয়ার ভয়ে সেবা গ্রহণের হার বৃদ্ধি পাবে না।

    ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া খুবই শক্তিশালী। রেডিও, টিভি, পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কুসংস্কার দূর করা সম্ভব।

    রাষ্ট্রযন্ত্র বিশেষ করে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যশিক্ষা, শিক্ষায় তথ্য, নারী ও শিশু, স্বরাষ্ট্র, সমবায় মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে কুসংস্কার দূরীকরণে জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারে।

    স্বাস্থ্য সেবার প্রতিষ্ঠানসমূহকে মানসিক স্বাস্থ্য বান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে বাস্তবসম্মতভাবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ নবায়ন করে তাতে বাহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগ চালু করতে হবে।

    সকল সরকারি/বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা আন্তঃ ও বহির্বিভাগে স্থাপন এবং প্রসারণ করতে হবে। প্রতি বিভাগে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষায়িত হাসপাতাল/প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব সহকারে সকল পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

    অটিজমসহ সকল শিশু-কিশোর প্রতিবন্ধীদের বিশেষ প্রতিষ্ঠান/পুনর্বাসন করার ব্যবস্থা করতে হবে। মাদকাসক্তিকে মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে একীভূত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, মাদকাসক্তি এক প্রকার মানসিক রোগ।

    শিক্ষণ/ প্রশিক্ষণ

    প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসা সহকারী, নার্স, কমিউনিটি চিকিৎসকসহ সকল পর্যায়ে চিকিৎসা সহকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় স্বল্প ও বিভিন্ন মেয়াদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এতে সম্পৃক্ত করতে হবে। মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট কারিকুলামে মানসিক স্বাস্থ্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তাকে একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

    মনে রাখতে হবে গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরাই স্বাস্থ্য সেবার মেরুদণ্ড। তাদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার জ্ঞানের অপর্যাপ্ততা, অসচেতনতা মানে হলো ১/৬ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা বঞ্চনা।

    পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে মানসকি রোগ বিশেষজ্ঞ:

    শিশু-কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিক, সোশ্যাল ওয়ার্কার তৈরি করতে হবে দেশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে। সেজন্য প্রয়োজন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউসহ অন্যান্য পোস্ট গ্র্যাজুয়োট প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব ও মর্যাদা দেয়া।

    অর্থনৈতিক সমৃদ্ধকরণ

    মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়ানো রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য। সেইসঙ্গে বিভিন্ন এনজিও, ব্যক্তি মালিকাধীন হাসপাতাল/প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। মানব সেবার ব্রতই যদি হয় অঙ্গীকার তবে এনজিও ও বেসরকারি হাসপাতালসমূহ যেন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আলাদা ওয়ার্ড/বিভাগ চালু করে।

    পরিতাপের বিষয় এই যে, বাংলাদেশের প্রায় সকল বড় বড় হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বহির্বিভাগ চালু নেই বললেই চলে। মানসিক স্বাস্থ্য সেবার হতাশার চিত্রটি বড় দেখালেও তরুণ প্রজন্মের সাইকিয়াট্রি নেতৃবৃন্দ কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে বলেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

    বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মানসিক স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন, প্রসারণ ও বিকাশে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছেন। যা আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক এবং আশাপ্রদ। নিশ্চয়ই অদূর ভবিষ্যতে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বাংলাদেশের সকলের কাছে পৌছঁবে এবং তা একটি সুস্থ্য, সুন্দর পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

     

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. আজিজুল ইসলাম

    প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, সিএমএইচ, ঢাকা।

    মানসিক মানসিক চাপ মানসিক রোগ মানসিক সমস্যা মানসিক স্বাস্থ্য
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleহস্ত‌মৈথুনে লিঙ্গ উত্থান হয় না
    Next Article শিশুর মানসিক বিকাশে পরিবারের দায়িত্ব
    প্রতিবেদক, মনের খবর

    Related Posts

    মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতায় ঢাকায় হাফ ম্যারাথন আয়োজিত

    October 11, 2025

    মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার না দিলে একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন সম্ভব নয়

    October 11, 2025

    পেশাগত জীবনে অলসতা কাটানোর উপায়

    September 13, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 23, 2025

    ২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট-এ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সেমিনার

    ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (ডিআরএমসি) ম্যাথ ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “২য় ডিআরএমসি ন্যাশনাল ম্যাথ সামিট…

    নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

    সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম আর নেই

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.