মানুষের মধ্যে কম-বেশি মৃত্যুভয় থাকতেই পারে কিন্তু তাই বলে কথায় কথায় অহেতুক মৃত্যুভীতি স্বাভাবিক নয়। অনেক লোক আছে যারা মৃত্যুভীতির কারণে লাশ, অ্যাম্বুলেন্স, লাশের ছবি, এমনকি লাশ রাখার খাট দেখলে একদমই সহ্য করতে পারে না, ভিতরে কেঁপে ওঠে, অস্থির হয়ে ওঠে দম আটকে আসে। মনে হয় এখনই দম বেরিয়ে যাবে। এ কারণে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম, চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটে, এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত দেখতে পারে না। এ ধরনের রোগীরা একটার পর একটা ইসিজি আর ইকোকার্ডিওগ্রাম করতে করতে তার চিকিৎসা ফাইল অনেক বড় করে ফেলেন।
কীভাবে বুঝবেন :
১. হঠাৎ করে বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা।
২. দম বন্ধ হয়ে আসা, বড় বড়করে হাঁপানি রোগীর মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া।
৩. হাত-পা অবশ হয়ে আসা। শরীরের কাঁপুনি হওয়া।
৪. বুকের মধ্যে চাপ লাগা এবং ব্যথা অনুভব করা।
৫. এমনও দেখা গেছে, কোনো কোনো রোগী বলে হঠাৎ পেটের মধ্যে একটা মোচড় দেয়, তারপর ওপর দিকে উঠে বুক ধড়ফড় শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। আর কথা বলতে পারে না।
৬. বমি বমি ভাব লাগে। পেটের মধ্যে অস্বস্তিবোধ লাগা ও গলা শুকিয়ে আসা।
৭. পেটের মধ্যে গ্যাস ওঠে, খালি গ্যাস গ্যাস ওঠে এবং বুকে চাপ দেয়।
৮. দুশ্চিন্তা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। কোনো কোনো রোগী বুকে ব্যথা ও হাত-পায়ের ঝিমঝিমকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ মনে করে প্রায়ই ছুটে যান হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার দেখাতে।
৯. মনে হয় যেন এখনই মরে যাবেন।