মানসিক চাপে ভুগছেন অনেকেই। খুঁজে পাচ্ছেন না বের হওয়ার উপায়। কিন্তু মানসিক চাপ ও হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পাঁচটি পন্থাই যথেষ্ট। মানসিকস্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
হতাশাগ্রস্ত ?- তাহলে কাজ করুন: যদি কখনও খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাহলে নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন, শারীরিক পরিশ্রম করুন। এর ফলে শরীর অনেক বেশি ঘামে যা প্রকৃত পক্ষেই হতাশা ও বিষাদের অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
কাজ করলে শরীর ও মন দুটোই ব্যস্ত থাকে এবং এই ব্যস্ততা সকল নেতিবাচক চিন্তা ও অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে। তবে এর জন্য ব্যায়ামাগারে যাওয়ার দরকার নেই। প্রতিদিন সকালে জগিং করা অথবা বারবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করলেও কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়।
ঠিক মতো খান ও ঘুমান: অধিক খাওয়া ও ঘুম চাপ কমায় এটি সম্পুর্ণ ভুল ধারণা। বরং অধিক খাবার খাওয়া শরীরের ক্ষতি করে দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেয়। বেশি খাওয়া হলে ওজন বৃদ্ধি পায়, আলসতা বাড়ে। এছাড়াও নানা রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
হতাশা ও ক্লান্তি দূর করার জন্য ঘুম বেশ কার্যকর। তবে জোর করে তো আর ঘুমানো যায় না। যদিও বা ঘুমানো যায় তা কখনও আরামদক ঘুম হয় না। সেক্ষেত্রে ধ্যান, গান শোনা বা পছন্দের লেখকের বই পড়া যায়। এতে মনোযোগ বিচ্ছন্ন হয় যা হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে মনে স্থিরতা আসে ও রাতে ভালো ঘুম হয়।
বিরতি নেওয়া: হতাশার প্রভাব পড়ে সম্পূর্ণ জীবনযাত্রার উপরেই। যদি খুব বেশি একঘেয়ে লাগে অথবা যদি মনে হয় ‘এভাবে আর চলছে না ‘ তাহলে গতানুগতিক জীবনযাত্রা থেকে খানিকটা বিরতি নিতে পারেন। এর জন্য যেতে পারেন ছোট কোনো ছুটিতে। অথবা একদিনের জন্য ন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটান। চাইলে একা ‘লং ড্রাইভ’য়ে যেতে পারেন অথবা নিজের পছন্দসই কোনো খাবার তৈরি করে খেতে পারেন। যা করতে ভালো লাগে, স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন তা-ই করার চেষ্টা করুন। এটি গতানুগতিক জীবনে আনন্দ দেবে যা হতাশা কমাতে সাহায্য করে।
‘পারফেক্ট’ হতে চাওয়ার দরকার নেই: মানুষের জীবনের অধিকাংশ সমস্যা মানুষ নিজেই তৈরি করে। আমরা নিজেরাই নিজেদের উপর অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করি যা জীবনে ব্যর্থতা ডেকে আনে। যখন সফলতার জন্য অনেক কিছু করা হয় তখন এর পাশাপাশি নিজেকে ব্যর্থতার জন্যও প্রস্তুত রাখতে হয়।
জীবনে ব্যর্থতা এলে তা থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে হয়। মাঝে মাঝে ব্যর্থতা জীবনকে নতুন দিক-নির্দেশনা দিতে ও সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
‘না’ বলুন: আমরা অনেক সময় নিজেদের সীমাবদ্ধতা ভুলে গিয়ে অন্যের মন রাখার জন্য নানা ধরনের কাজ করতে রাজি হই। এই কাজ করা একদমই ঠিক নয় বরং এতে অযথা চাপ সৃষ্টি হয়। তাই যদি কোনো কাজে মন সায় না দেয় অথবা কাজটি করতে আগ্রহী না থাকেন তবে তা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিন। এতে জীবনে হতাশা কম দেখা দেয়। একটি স্পষ্ট ‘না’ অনেক মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে