আজ ৭ এপ্রিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’। ভয়াবহ ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গোটা বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে, সংকটাপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন, এমনই এক বৈশ্বিক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অনেকটা নীরবে অনাড়ম্বরর্পূণভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে প্রতি বছর যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সেবিকা ও ধাত্রীদের সহায়তা করুন’।
দিবসটিতে এবার সেবিকা ও ধাত্রীদের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানারো মূল কারণ এই দুটি পেশার মানুষ আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সেবিকারা চিকিৎসা সেবায় অপরিহার্য। একজন চিবিৎসক রোগীর রোগ নির্ণয়, তার ওষুধ নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করলেও রোগীর পরিচর্যার ব্যবহারিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন সেবিকারা। রোগীর সাথে সেবিকাদের সরাসরি যোগাযোগ এবং সবচেয়ে বেশি সময় কাটে। অনেক্ষত্রে চিকিৎসকদের পাশাপাশি সমান ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে সেবিকারা। আর করোনার মত সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগীর সেবা করতে গিয়ে সেবিকারাও থাকেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
তবে দায়িত্ব পালনের যথাযথ সম্মানের চেয়ে অসম্মানই বেশি জুটে থাকে আমাদের দেশের সেবিকাদের। তুলনামূলক কম প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়ণের পাশাপাশি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে অপমানের শিকার হতে হয় সেবিকাদের। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত একজন সেবিকা।
একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি বলেন, “আমাদেরকে প্রায়ই র্দীঘসময় দায়িত্ব পালন করতে হয়। যার ফলে বেশিরভাগ সময়ই আমাদের স্ট্রেসে থাকতে হয়। রোগীদের স্বজনদের খারাপ ব্যবহার এই স্ট্রেসের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদের মনোবল ভেঙে দেয়। “
সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতা সবচেয়ে জরুরী বলে মত প্রকাশ করে এই দুইজনই তাদেরকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার জন্য প্রাকিষ্ঠানিক প্রণোদনা, স্বাস্থ্যবীমা এবং রোগী ও তার স্বজনদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহাররে প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেন। মানসিক চাপ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানে সেবিকাদের জন্য কাওন্সেলিং সেবার দাবীও করেন তারা।
একইভাবে প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রসুতি সেবা দিয়ে আসা একজন প্রশিক্ষত ধাত্রী বলেন, প্রসুতি সেবা যেমন আনন্দের তেমন তীব্র মানসিক চাপেরও। আমাএদর সমাজের বেশিরভাগ মানুষ অসেচতন হওয়ায় গর্ভবতীর পূববর্তী অযত্ন বা অবহলোর দায়ে প্রসবকালীন সময়ে শিশুর কোনো ত্রুটি বা মায়ের বোনো ফঅনুবিধার জন্য সরাসরি ধাত্রীকেই দায়ী করা হয়। এবং এই দায়ী করা ব্যাপারটি তাদেরকে র্দীঘদিন মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রাখে।
মাতৃ ও শিশুমৃত্য’ হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামিয়ে আনতে দেশে আরও অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ধাত্রী প্রয়োজন। জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষ ধাত্রীদের মাধ্যমে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব বলে মত দেন তিন। তাই ধাত্রীদেরকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে প্রতি বছর যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সেবিকা ও ধাত্রীদের সহায়তা করুন’।
দিবসটিতে এবার সেবিকা ও ধাত্রীদের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানারো মূল কারণ এই দুটি পেশার মানুষ আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সেবিকারা চিকিৎসা সেবায় অপরিহার্য। একজন চিবিৎসক রোগীর রোগ নির্ণয়, তার ওষুধ নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করলেও রোগীর পরিচর্যার ব্যবহারিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন সেবিকারা। রোগীর সাথে সেবিকাদের সরাসরি যোগাযোগ এবং সবচেয়ে বেশি সময় কাটে। অনেক্ষত্রে চিকিৎসকদের পাশাপাশি সমান ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে সেবিকারা। আর করোনার মত সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগীর সেবা করতে গিয়ে সেবিকারাও থাকেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
তবে দায়িত্ব পালনের যথাযথ সম্মানের চেয়ে অসম্মানই বেশি জুটে থাকে আমাদের দেশের সেবিকাদের। তুলনামূলক কম প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়ণের পাশাপাশি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে অপমানের শিকার হতে হয় সেবিকাদের। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত একজন সেবিকা।
একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি বলেন, “আমাদেরকে প্রায়ই র্দীঘসময় দায়িত্ব পালন করতে হয়। যার ফলে বেশিরভাগ সময়ই আমাদের স্ট্রেসে থাকতে হয়। রোগীদের স্বজনদের খারাপ ব্যবহার এই স্ট্রেসের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদের মনোবল ভেঙে দেয়। “
সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতা সবচেয়ে জরুরী বলে মত প্রকাশ করে এই দুইজনই তাদেরকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার জন্য প্রাকিষ্ঠানিক প্রণোদনা, স্বাস্থ্যবীমা এবং রোগী ও তার স্বজনদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহাররে প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেন। মানসিক চাপ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানে সেবিকাদের জন্য কাওন্সেলিং সেবার দাবীও করেন তারা।
একইভাবে প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রসুতি সেবা দিয়ে আসা একজন প্রশিক্ষত ধাত্রী বলেন, প্রসুতি সেবা যেমন আনন্দের তেমন তীব্র মানসিক চাপেরও। আমাএদর সমাজের বেশিরভাগ মানুষ অসেচতন হওয়ায় গর্ভবতীর পূববর্তী অযত্ন বা অবহলোর দায়ে প্রসবকালীন সময়ে শিশুর কোনো ত্রুটি বা মায়ের বোনো ফঅনুবিধার জন্য সরাসরি ধাত্রীকেই দায়ী করা হয়। এবং এই দায়ী করা ব্যাপারটি তাদেরকে র্দীঘদিন মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রাখে।
মাতৃ ও শিশুমৃত্য’ হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামিয়ে আনতে দেশে আরও অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ধাত্রী প্রয়োজন। জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষ ধাত্রীদের মাধ্যমে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব বলে মত দেন তিন। তাই ধাত্রীদেরকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।