অটিজম বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে করণীয়

অটিজম এর বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে কি করবেন সে বিষয়ক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ। নির্দেশিকাগুলি হল: ১. শিশুর অভিভাবক/বাবা-মা নিজেরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি সমূহ ( হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মানা, ঘরবন্দী থাকা ইত্যাদি ) মেনে চলবেন। ২. অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু অন্য কোন সূত্র থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য পাবার আগেই আপনি তার বয়স ও সক্ষমতা অনুযায়ী বিষয়টি তাকে জানাবেন। হয়তো সকলে একইরকম ভাবে বুঝবে না, সেজন্য শিশুর সক্ষমতা বিবেচনা করে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। অন্তত এটি যে একটি বিপদ সেটি বোঝাতে হবে। ৩. সে যে মাধ্যমে বুঝতে পারে তাকে সচেতন করার জন্য সে মাধ্যমটি ব্যবহার করবেন। কারো জন্য ছবির কার্ড, কারো জন্য অভিনয় করে দেখানো, কারো জন্য মুখে বলা বা কারো জন্য অডিয়ো ভিজুয়াল পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। গল্পের আকারে ’ফ্লু স্টোরি’ বলতে পারেন। ৪. শিশুকে হাত-ধোয়া, জীবাণুনাশক ব্যবহার, টিস্যু ব্যবহার, কাশি শিষ্টাচার বোঝাতে গান, ছবির কার্ড, ভিডিও, গল্প-বলা, ইশারা ভাষা ইত্যাদির সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, শিশুকে সব কিছু আপনি করে দিলে সে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তাকে নিজে নিজে করতে সাহায্য করুন। ৫. তাদেরকে বিষয়টি বোঝার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন। অটিজম এর বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের অনেকে একটু ধীরে শেখে। তাই তাড়াহুড়ো করবেন না। তাদেরকে নিজের মত করে বিষয়টির ব্যাখা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। ৬. শিশুর স্কুল, বিশেষায়িত শিক্ষক, চিকিৎসক এবং যারা বিপদে সাহায্য করতে পারে তাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজনে আপনার অনুপস্থিতিতে শিশুর জন্য বিকল্প যত্নকারীকে প্রস্তুত করতে থাকুন। ৭.ঘরবন্দী এবং অন্যান্য কারণে এসময় অন্য সকলের মত শিশুর দৈনন্দিন রুটিন এলোমেলো হয়ে যাবে। যা তাকে উদ্বিগ্ন আর অস্থির করে তুলবে। বিষয়টি মাথায় রেখে অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর জন্য এসময় একটু বাড়তি মনোযোগ দিন। ৮. এসময় শিশুর সব ধরণের শারীরিক নিরাপত্তার দিকে গুরুত্ব দিন। শিশুর আচরণের পরিবর্তনগুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। শিশু হঠাৎ রেগে গেলে, কান্নাকাটি করলে, বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার পর আবার শুরু হলে, ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠলে, মা-বাবাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইলে, অন্য কোন আচরণের হঠাৎ পরিবর্তন হলে সতর্ক হোন। ৯. শিশুকে মুঠোফোনে, টিভিতে বা ছবি এঁকে প্রতিরক্ষামূলক পোষাক (পি.পি.ই.) পরা স্বাস্থ্যকর্মীর ছবি দেখান। যাতে কোন জরুরী প্রয়োজনে এই ধরণের স্বাস্থ্যকর্মীর সান্নিধ্যে যেতে শিশু ভীত হয়ে না পারে। ১০. শিশুটি যদি স্কুলে যেত তাহলে বাড়িতে স্কুলের আদলে তাকে সংক্ষিপ্ত ভাবে স্কুলের কাজগুলো করতে উৎসাহিত করুন। কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে তাকে স্কুলের পোশাক পড়িয়ে বাসায় স্কুলের কাজ দিতে পারেন। ১১. সে যেন বাড়িতে সবসময় শুয়ে বসে না থাকে সেটি নিশ্চিন্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমান শারীরিক কাজকে উৎসাহিত করুন। শিশুকে তার সক্ষমতা অনুযায়ী ঘরের ছোটখাটো কাজগুলো করতে বলুন। সবসময় যেন সে ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত না থাকে। ১২. শিশুর যদি সক্ষমতা থাকে তবে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে অথবা টেলিফোনে শিশুর শিক্ষক বা থেরাপিস্ট এর সাথে শিশুর যোগাযোগ করিয়ে দিন। ১৩. ঘরবন্দী থাকাকালীন নিয়ম করে শিশুকে দিনের বেলা ঘরের বারান্দা/জানালার কাছে বসতে উৎসাহিত করুন। ১৪. ঘরবন্দী থাকাকালীন সময়ে শিশুর সাথে ঘরোয়া খেলা খেলুন। পুরো সপ্তাহের জন্য একটি পারিবারিক রুটিন তৈরি করুন। রুটিন তৈরি ও তা পালনে অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর অংশগ্রহণ নিশ্চিন্ত করুন। ১৫. শিশু যদি কোন ধরণের এসিসটিভ ডিভাইস ( সহায়ক উপকরণ ) ব্যবহার করে যেমন: হুইল চেয়ার, চশমা, লাঠি ইত্যাদিকে জীবাণুমুক্ত রাখুন। শিশুর যেসব জিনিস বেশি স্পর্শ করার অভ্যাস আছে সেগুলোও জীবাণুমুক্ত রাখুন। ১৬. পরিবারের কোন সদস্যের মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে তাকে শিশু থেকে অবশ্যই দূরে আলাদা ঘরে থাকতে বলুন। ১৭. শিশুর অভিভাবক/বাবা-মা নিজেরা নিজেদের মানসিক চাপ মোকাবেলা করুন। শ্বাসের ব্যায়াম, রিলাক্সেশন, মেডিটেশন চর্চা করুন। পরিমিত ঘুমান। অযথা রাত জাগবেন না। বিশেষ শিশুর যত্ন নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে নিজের শরীরের ও মনের যত্ন নিন।
অটিজম এর বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে কি করবেন সে বিষয়ক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ। নির্দেশিকাগুলি হল: ১. শিশুর অভিভাবক/বাবা-মা নিজেরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি সমূহ ( হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মানা, ঘরবন্দী থাকা ইত্যাদি ) মেনে চলবেন। ২. অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু অন্য কোন সূত্র থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য পাবার আগেই আপনি তার বয়স ও সক্ষমতা অনুযায়ী বিষয়টি তাকে জানাবেন। হয়তো সকলে একইরকম ভাবে বুঝবে না, সেজন্য শিশুর সক্ষমতা বিবেচনা করে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। অন্তত এটি যে একটি বিপদ সেটি বোঝাতে হবে। ৩. সে যে মাধ্যমে বুঝতে পারে তাকে সচেতন করার জন্য সে মাধ্যমটি ব্যবহার করবেন। কারো জন্য ছবির কার্ড, কারো জন্য অভিনয় করে দেখানো, কারো জন্য মুখে বলা বা কারো জন্য অডিয়ো ভিজুয়াল পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। গল্পের আকারে ’ফ্লু স্টোরি’ বলতে পারেন। ৪. শিশুকে হাত-ধোয়া, জীবাণুনাশক ব্যবহার, টিস্যু ব্যবহার, কাশি শিষ্টাচার বোঝাতে গান, ছবির কার্ড, ভিডিও, গল্প-বলা, ইশারা ভাষা ইত্যাদির সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, শিশুকে সব কিছু আপনি করে দিলে সে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তাকে নিজে নিজে করতে সাহায্য করুন। ৫. তাদেরকে বিষয়টি বোঝার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন। অটিজম এর বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের অনেকে একটু ধীরে শেখে। তাই তাড়াহুড়ো করবেন না। তাদেরকে নিজের মত করে বিষয়টির ব্যাখা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। ৬. শিশুর স্কুল, বিশেষায়িত শিক্ষক, চিকিৎসক এবং যারা বিপদে সাহায্য করতে পারে তাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজনে আপনার অনুপস্থিতিতে শিশুর জন্য বিকল্প যত্নকারীকে প্রস্তুত করতে থাকুন। ৭.ঘরবন্দী এবং অন্যান্য কারণে এসময় অন্য সকলের মত শিশুর দৈনন্দিন রুটিন এলোমেলো হয়ে যাবে। যা তাকে উদ্বিগ্ন আর অস্থির করে তুলবে। বিষয়টি মাথায় রেখে অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর জন্য এসময় একটু বাড়তি মনোযোগ দিন। ৮. এসময় শিশুর সব ধরণের শারীরিক নিরাপত্তার দিকে গুরুত্ব দিন। শিশুর আচরণের পরিবর্তনগুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। শিশু হঠাৎ রেগে গেলে, কান্নাকাটি করলে, বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার পর আবার শুরু হলে, ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠলে, মা-বাবাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইলে, অন্য কোন আচরণের হঠাৎ পরিবর্তন হলে সতর্ক হোন। ৯. শিশুকে মুঠোফোনে, টিভিতে বা ছবি এঁকে প্রতিরক্ষামূলক পোষাক (পি.পি.ই.) পরা স্বাস্থ্যকর্মীর ছবি দেখান। যাতে কোন জরুরী প্রয়োজনে এই ধরণের স্বাস্থ্যকর্মীর সান্নিধ্যে যেতে শিশু ভীত হয়ে না পারে। ১০. শিশুটি যদি স্কুলে যেত তাহলে বাড়িতে স্কুলের আদলে তাকে সংক্ষিপ্ত ভাবে স্কুলের কাজগুলো করতে উৎসাহিত করুন। কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে তাকে স্কুলের পোশাক পড়িয়ে বাসায় স্কুলের কাজ দিতে পারেন। ১১. সে যেন বাড়িতে সবসময় শুয়ে বসে না থাকে সেটি নিশ্চিন্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমান শারীরিক কাজকে উৎসাহিত করুন। শিশুকে তার সক্ষমতা অনুযায়ী ঘরের ছোটখাটো কাজগুলো করতে বলুন। সবসময় যেন সে ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত না থাকে। ১২. শিশুর যদি সক্ষমতা থাকে তবে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে অথবা টেলিফোনে শিশুর শিক্ষক বা থেরাপিস্ট এর সাথে শিশুর যোগাযোগ করিয়ে দিন। ১৩. ঘরবন্দী থাকাকালীন নিয়ম করে শিশুকে দিনের বেলা ঘরের বারান্দা/জানালার কাছে বসতে উৎসাহিত করুন। ১৪. ঘরবন্দী থাকাকালীন সময়ে শিশুর সাথে ঘরোয়া খেলা খেলুন। পুরো সপ্তাহের জন্য একটি পারিবারিক রুটিন তৈরি করুন। রুটিন তৈরি ও তা পালনে অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর অংশগ্রহণ নিশ্চিন্ত করুন। ১৫. শিশু যদি কোন ধরণের এসিসটিভ ডিভাইস ( সহায়ক উপকরণ ) ব্যবহার করে যেমন: হুইল চেয়ার, চশমা, লাঠি ইত্যাদিকে জীবাণুমুক্ত রাখুন। শিশুর যেসব জিনিস বেশি স্পর্শ করার অভ্যাস আছে সেগুলোও জীবাণুমুক্ত রাখুন। ১৬. পরিবারের কোন সদস্যের মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে তাকে শিশু থেকে অবশ্যই দূরে আলাদা ঘরে থাকতে বলুন। ১৭. শিশুর অভিভাবক/বাবা-মা নিজেরা নিজেদের মানসিক চাপ মোকাবেলা করুন। শ্বাসের ব্যায়াম, রিলাক্সেশন, মেডিটেশন চর্চা করুন। পরিমিত ঘুমান। অযথা রাত জাগবেন না। বিশেষ শিশুর যত্ন নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে নিজের শরীরের ও মনের যত্ন নিন।

অটিজম এর বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে কি করবেন সে বিষয়ক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ। নির্দেশিকাগুলি হল:
১. শিশুর অভিভাবক/বাবা-মা নিজেরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি সমূহ ( হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মানা, ঘরবন্দী থাকা ইত্যাদি ) মেনে চলবেন।
২. অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু অন্য কোন সূত্র থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য পাবার আগেই আপনি তার বয়স ও সক্ষমতা অনুযায়ী বিষয়টি তাকে জানাবেন। হয়তো সকলে একইরকম ভাবে বুঝবে না, সেজন্য শিশুর সক্ষমতা বিবেচনা করে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। অন্তত এটি যে একটি বিপদ সেটি বোঝাতে হবে।
৩. সে যে মাধ্যমে বুঝতে পারে তাকে সচেতন করার জন্য সে মাধ্যমটি ব্যবহার করবেন। কারো জন্য ছবির কার্ড, কারো জন্য অভিনয় করে দেখানো, কারো জন্য মুখে বলা বা কারো জন্য অডিয়ো ভিজুয়াল পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। গল্পের আকারে ’ফ্লু স্টোরি’ বলতে পারেন।
৪. শিশুকে হাত-ধোয়া, জীবাণুনাশক ব্যবহার, টিস্যু ব্যবহার, কাশি শিষ্টাচার বোঝাতে গান, ছবির কার্ড, ভিডিও, গল্প-বলা, ইশারা ভাষা ইত্যাদির সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, শিশুকে সব কিছু আপনি করে দিলে সে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তাকে নিজে নিজে করতে সাহায্য করুন।
৫. তাদেরকে বিষয়টি বোঝার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন। অটিজম এর বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের অনেকে একটু ধীরে শেখে। তাই তাড়াহুড়ো করবেন না। তাদেরকে নিজের মত করে বিষয়টির ব্যাখা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন।
৬. শিশুর স্কুল, বিশেষায়িত শিক্ষক, চিকিৎসক এবং যারা বিপদে সাহায্য করতে পারে তাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজনে আপনার অনুপস্থিতিতে শিশুর জন্য বিকল্প যত্নকারীকে প্রস্তুত করতে থাকুন।
৭.ঘরবন্দী এবং অন্যান্য কারণে এসময় অন্য সকলের মত শিশুর দৈনন্দিন রুটিন এলোমেলো হয়ে যাবে। যা তাকে উদ্বিগ্ন আর অস্থির করে তুলবে। বিষয়টি মাথায় রেখে অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর জন্য এসময় একটু বাড়তি মনোযোগ দিন।
৮. এসময় শিশুর সব ধরণের শারীরিক নিরাপত্তার দিকে গুরুত্ব দিন। শিশুর আচরণের পরিবর্তনগুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। শিশু হঠাৎ রেগে গেলে, কান্নাকাটি করলে, বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার পর আবার শুরু হলে, ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠলে, মা-বাবাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইলে, অন্য কোন আচরণের হঠাৎ পরিবর্তন হলে সতর্ক হোন।
৯. শিশুকে মুঠোফোনে, টিভিতে বা ছবি এঁকে প্রতিরক্ষামূলক পোষাক (পি.পি.ই.) পরা স্বাস্থ্যকর্মীর ছবি দেখান। যাতে কোন জরুরী প্রয়োজনে এই ধরণের স্বাস্থ্যকর্মীর সান্নিধ্যে যেতে শিশু ভীত হয়ে না পারে।
১০. শিশুটি যদি স্কুলে যেত তাহলে বাড়িতে স্কুলের আদলে তাকে সংক্ষিপ্ত ভাবে স্কুলের কাজগুলো করতে উৎসাহিত করুন। কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে তাকে স্কুলের পোশাক পড়িয়ে বাসায় স্কুলের কাজ দিতে পারেন।
১১. সে যেন বাড়িতে সবসময় শুয়ে বসে না থাকে সেটি নিশ্চিন্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমান শারীরিক কাজকে উৎসাহিত করুন। শিশুকে তার সক্ষমতা অনুযায়ী ঘরের ছোটখাটো কাজগুলো করতে বলুন। সবসময় যেন সে ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত না থাকে।
১২. শিশুর যদি সক্ষমতা থাকে তবে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে অথবা টেলিফোনে শিশুর শিক্ষক বা থেরাপিস্ট এর সাথে শিশুর যোগাযোগ করিয়ে দিন।
১৩. ঘরবন্দী থাকাকালীন নিয়ম করে শিশুকে দিনের বেলা ঘরের বারান্দা/জানালার কাছে বসতে উৎসাহিত করুন।
১৪. ঘরবন্দী থাকাকালীন সময়ে শিশুর সাথে ঘরোয়া খেলা খেলুন। পুরো সপ্তাহের জন্য একটি পারিবারিক রুটিন তৈরি করুন। রুটিন তৈরি ও তা পালনে অটিজম এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর অংশগ্রহণ নিশ্চিন্ত করুন।
১৫. শিশু যদি কোন ধরণের এসিসটিভ ডিভাইস ( সহায়ক উপকরণ ) ব্যবহার করে যেমন: হুইল চেয়ার, চশমা, লাঠি ইত্যাদিকে জীবাণুমুক্ত রাখুন। শিশুর যেসব জিনিস বেশি স্পর্শ করার অভ্যাস আছে সেগুলোও জীবাণুমুক্ত রাখুন।
১৬. পরিবারের কোন সদস্যের মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে তাকে শিশু থেকে অবশ্যই দূরে আলাদা ঘরে থাকতে বলুন।
১৭. শিশুর অভিভাবক/বাবা-মা নিজেরা নিজেদের মানসিক চাপ মোকাবেলা করুন। শ্বাসের ব্যায়াম, রিলাক্সেশন, মেডিটেশন চর্চা করুন। পরিমিত ঘুমান। অযথা রাত জাগবেন না। বিশেষ শিশুর যত্ন নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে নিজের শরীরের ও মনের যত্ন নিন।

Previous articleবিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: সেবিকা ও ধাত্রীদের সহায়তা করুন
Next articleকরোনা আক্রান্ত রোগীর পরিচর্যা করবেন যেভাবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here