Close Menu
    What's Hot

    ভুতে ধরা নাকি মানসিক রোগ?

    কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ

    পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    স্কুল–কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: দায় কার?

    মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক চিকিৎসা

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Monday, October 6
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম September 20, 2025

      সব সমস্যার সমাধান আছে, আত্মহত্যা কখনোই সমাধান নয়

      Recent

      সব সমস্যার সমাধান আছে, আত্মহত্যা কখনোই সমাধান নয়

      বর্ষিয়ান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে এম কামরুজ্জামান আর নেই

      গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজে আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে বিশেষ আয়োজন

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      মন প্রতিদিন September 23, 2025

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      Recent

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

      মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বাড়ছে সচেতনতা- ডা. নুর আহমেদ গিয়াসউদ্দিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      মনস্তত্ত্ব December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » প্রিকগনিশন বা দিব্যদৃষ্টি: মনোবিজ্ঞানের রহস্যময় অধ্যায়
    ফিচার

    প্রিকগনিশন বা দিব্যদৃষ্টি: মনোবিজ্ঞানের রহস্যময় অধ্যায়

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কJanuary 28, 2021No Comments7 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email
    ১৮৬৫ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তখন আব্রাহাম লিঙ্কন। এক রাতে সমুদ্রে অবকাশযাপনের সময় ‘রিভার কুইন’ নামে এক নৌযানে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। এমনই অবস্থায় একটি দুঃস্বপ্ন দেখে বসলেন। দেখলেন, তিনি নিজের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউজেই আছেন, আর একদল লোক সেখানে তুমুল বিলাপ করছে। তাদের দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা এমন করছো কেন?” উত্তরে তারা বলল, “আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন!”
    স্বপ্নটি দেখে ভয় পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন লিঙ্কন। তাঁর স্ত্রী ও দেহরক্ষীর সঙ্গে শেয়ার করলেন স্বপ্নের ঘটনা। তারা অবশ্য আশ্বাস দিলেন, স্বপ্ন নিছকই স্বপ্ন।
    কিন্তু না, এটি কিন্তু লিঙ্কনের নিছক কোনো দুঃস্বপ্ন ছিলো না! এ স্বপ্ন দেখার ১০ দিনের মাথায় ১৮৬৫ সালের ১৫ এপ্রিল জন উইলকিস বুথের হাতে তিনি নিহত হন।
    ইতিহাসের পাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কয়েকটি প্রিকগনিশন (Precognition) বা প্রিমোনিশনের (Premonition) মধ্যে আব্রাহাম লিঙ্কনের এ-কাহিনী একটি।
    প্রিকগনিশনকে বাংলায় দিব্যদৃষ্টি বা ভবিষ্যতদৃষ্টিও বলা হয়। এটি এক ধরনের অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি বা এক্সট্রা সেন্সরি পারসেপশান (ই.এস.পি.)। প্রিকগনিশনের মাধ্যমে মানুষ ভবিষ্যতে-ঘটবে-এরকম-কিছু সম্বন্ধে তথ্য পায়, যা সাধারণ নিয়মে কখনও পাওয়ার কথা  নয়। প্রিমোনিশন প্রিকগনিশনেরই আরেকটি রূপ, যা মাতৃ বা পিতৃহৃদয়ে বা সবচে’ ঘনিষ্টজনের মনে আসন্ন ঘটনার আগাম ধারণা দেয়। বলা বাহুল্য, এটি মনোবিজ্ঞানের বহুল আলোচিত ও অমীমাংসিত একটি অধ্যায়।
    শুরুতেই প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে কিংবা কোন পরিস্থিতিতে প্রিকগনিশন ঘটে থাকে?
    উত্তর হলো,  প্রিকগনিশনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় বা ক্ষেত্র নেই। যখন তখন যে কেউ এটি পেতে পারেন। তা হতে পারে কোনো অনুভূতি বা দুঃস্বপ্ন।
    আধুনিক বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত একে ব্যাখ্যা করতে পারেনি। বিজ্ঞানীদের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কোনো গবেষণাগারে ইচ্ছানুযায়ী প্রিকগনিশনের অনুভাব সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। আবার প্রিকগনিশনকে কেউ পুরোপুরি মিথ্যা বলেও প্রমাণ করতে পারেননি।
    তাই একে মনোবিজ্ঞানের মূল শাখা থেকে সরিয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে অতিপ্রাকৃত মনোবিজ্ঞান বা প্যারাসাইকোলজির অধীনে। আমরা সাধারণ মানুষরা অনেক সময়ই প্রিকগনিশনের পরিবর্তে ‘ভাগ্য’ শব্দটি ব্যবহার করি। প্রিকগনিশন আসলে ভাগ্যের কোনো ব্যাখ্যা নয়। তবে হ্যাঁ, ভাগ্যের সাথে এর দূরতম সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
    প্রিকগনিশন সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা বেশ কিছু মতবাদ দিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে মূল সমস্যাটি হলো, এটি পদার্থবিজ্ঞানের কার্যকারণ (কজ অ্যান্ড ইফেক্ট) সূত্র মেনে চলে না, যার ফলে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের শাখায় এ মতবাদগুলো স্থান পায়নি। তারপরও প্রিকগনিশনের ব্যাখ্যা হিসেবে এ মতবাদগুলোই প্রচলিত রয়েছে; মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও এগুলোই অধ্যয়ন করে থাকেন।
    প্রিকগনিশনের ব্যাখ্যা হিসেবে প্রচলিত মতবাদগুলো হলো:
    সিলেকশন বায়াস: প্রত্যেকের মস্তিষ্কেই স্বকীয় কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, যা অবচেতনভাবে তাদের চরিত্রের স্বকীয় দিকগুলো গড়ে তোলে। এদের বলা হয় কগনিটিভ বায়াস। ১৯৭২ সালে অ্যামোস ভার্স্কি ও ড্যানিয়েল কানম্যান একে প্রথমবারের মতো বৈজ্ঞানিক কম্যুনিটিতে তুলে ধরেন। এ বায়াসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো সিলেকশন বায়াস।
    সিলেকশন বায়াস অনুসারে, মানুষের মস্তিস্ক ভুল সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত ভুলে যায় ও সঠিক সিদ্ধান্তগুলো মনে রাখে। আরও মনে রাখে কো-ইন্সিডেন্স বা কাকতালীয় ঘটনাগুলো। এছাড়া কোনো একটি ব্যাপারে আন্দাজ বা অনুমান করলে সেটি যদি ফলে যায়, তাহলে মস্তিষ্ক সেই স্মৃতিও যত্ন করে মনে রাখে। এভাবে পর্যায়ক্রমে কারও কারও ক্ষেত্রে আন্দাজে দক্ষ হয়ে ওঠে মস্তিষ্ক। পারিপার্শ্বিক বিবেচনা করে অবচেতনভাবেই অনেক সূক্ষ্ম ঘটনা আঁচ করতে পারে।
    মাঝে মাঝে দেখা যায়, কোনো পরিচিত ব্যক্তি ফোন দেওয়ার আগে আমাদের মনে হয়, সে এখন ফোন দিতে পারে। এটি বেশ কমন একটি প্রিকগনিশন। সিলেকশন বায়াসের তত্ত্ব অনুসারে, মস্তিষ্ক আগে থেকেই ঐ ব্যক্তির ফোন করার প্যাটার্ন টুকে রেখেছিল। যার কারণে মস্তিষ্ক আমাদের অবচেতন মনে আগেই থেকেই তথ্যটি জানিয়ে দিয়েছে।
    অবচেতন উপলব্ধি: আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে প্রতি মুহূর্তে যে পরিমাণ তথ্য অধিগ্রহণ করি, তার খুবই ক্ষুদ্র অংশ মন দিয়ে খেয়াল করে। কিন্তু অবচেতন মন এসব তথ্য প্রতিনিয়ত যাচাই-বাছাই করে মস্তিষ্কে রেখে দেয়।
    এসব তথ্য গণনা করে মস্তিষ্ক আমাদের অজান্তেই অনবরত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করতে থাকে। এগুলোর মধ্যে কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ সচেতন মনকে জানিয়ে দেয়, যা প্রিকগনিশান হিসেবে কাজ করে। গণনার জন্য মস্তিষ্ক গণিতের সম্ভাব্যতার (Probability) সূত্রকে কাজে লাগায়।
    আত্মনির্ভর দৈববাণী: মানুষের কগনিটিভ বায়াসের আরেকটি উদাহরণ এটি। মাঝে মাঝে অনেক ভালো ছাত্রকেও পরীক্ষার আগেই বলতে শোনা যায়, “এবার বোধহয় পরীক্ষায় খারাপ করব!”
    দেখা যায়, পরে ঐ ছাত্র পরীক্ষায় ঠিকই খারাপ করেছে। তখন পরিচিতজনরা দোষারোপ করেন, তার নিয়তই খারাপ ছিলো, কিংবা ভালো করার ইচ্ছাই ছিল না।
    মনোবিজ্ঞানীরা একে সেলফ ফুলফিলিং প্রফেসি বা আত্মনির্ভর ভবিষ্যবাণী বলে থাকেন। ঐ ভালো ছাত্রের মনে যে অহেতুক নেতিবাচক ধারণা এসেছিলো, তা তার মস্তিষ্ককে পরীক্ষার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। এর ফলে ছাত্রের প্রস্তুতি ভালো থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার সময় তার মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিশ্লেষণ শক্তি ব্যবহার করেনি। তাই তার ফল খারাপ হয়েছে।
    বলা হয়ে থাকে, শুধু ইচ্ছাশক্তির কারণে মানুষ অনেক অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে। প্রবল ইচ্ছাশক্তিকেও বিশেষ ধরনের প্রিকগনিশন বলা যায়।
    প্যারাসাইকোলজি: প্যারাসাইকোলজির (অতিপ্রাকৃত মনোবিজ্ঞান) গবেষকেরা এর বিভিন্ন তত্ত্ব দিয়ে প্রিকগনিশনের সত্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। তাদের মতে, প্রিকগনিশন এক ধরনের ব্যাখ্যাতীত অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা। এবং এর মূলে রয়েছে মনের গহীনে অবস্থিত সাই( psy) নামে অজ্ঞাত কোনো ধ্রুবক। এবং বিজ্ঞান এখনও এর ব্যাখ্যা দেওয়ার পরিণত হয়নি।
    আবার অতিপ্রাকৃত মনোবিজ্ঞানীদের কেউ কেউ মনে করেন, প্রিকগনিশন একটি বিশেষ ধরনের অনুমান ছাড়া কিছু নয়। আর অনুমান কাকতালীয়ভাবে মিলে যেতেই পারে। তাই এর তেমন বিশেষত্ব নেই।
    যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (এপিএ) সংরক্ষিত প্রিকগনিশন নিয়ে ২০১০ সালের আরেকটি বিখ্যাত ঘটনা পাঠকদের জানাচ্ছি।
    ওয়াশিংটন স্টেটের এক তরুণী-মা আমান্ডা রাত আড়াইটার দিকে এক দুঃস্বপ্ন দেখে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তার দু:স্বপ্ন ছিলো অনেকটা এরকম- পাশের ঘরে তার ঘুমন্ত শিশু সন্তানের দোলনার উপর যে বড় ঝাড়বাতিটি আছে, তা হঠাৎ শিশুর গায়ের উপর ভেঙে পড়েছে। এবং তৎক্ষণাৎ সে মারা গেছে। স্বপ্নেই আমান্ডা ঘড়ি দেখলেন, ৪টা বেজে ৩৫ মিনিট।
    ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর স্বামীকে স্বপ্নের কথা বলতেই তিনি হেসে উড়িয়ে দিলেন। কিন্তু আমান্ডা ভীতসন্ত্রস্ত মায়ের মন, তিনি তর সইতে না পেরে বাচ্চাকে নিজের রুমে নিয়ে এলেন।
    ঘণ্টাদুয়েক পর আমান্ডা ও তার স্বামী দু’জনেরই বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। তারা পাশের ঘরে ছুটে গিয়ে দেখেন, ঝাড়বাতিটি ভেঙে শিশুর দোলনার উপর পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ি দেখলেন আমান্ডা, ৪টা বেজে ৩৫ মিনিট।
    বাংলাদেশে লোকগানে-কবিতায় এমন কিছু চিরায়ত পংক্তি পাওয়া যাবে যা  প্রিমোনিশনের আওতায় পড়ে। যেমন, ‘‘ বিদেশে বিপাকে যার বেটা মারা যায়/ পাড়াপড়শি না জানিলেও আগে জানে মায়।’’
    অনেকেই মাঝে মাঝে বলে থাকেন যে আমি আজ স্বপ্নে আমি এটা দেখেছি, ওটা দেখেছি। পরে দেখা যায় ঐ স্বপ্নগুলোর মধ্যে কিছু কিছু সত্যি সত্যি ঘটে যায়। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সিগমুন্ড ফ্রয়েড তাঁর ‘দ্য ইন্টারপ্রেটেশন অফ ড্রিমজ’ বইয়ে লিখেছেন, চেতন আর অবচেতন যা-ই হোক না কেন, স্বপ্ন আমাদের মনের গভীর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। স্বপ্নের মাধ্যমেই আমাদের অবচেতন মনের অনেক সুপ্ত বাসনা চেতন মন জানতে পারে। এ ঘটনাকে তিনি প্রিকগনিশান বা দৈবদৃষ্টি বলে উল্লেখ করেন।
    মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের (সাইকোঅ্যানালাইসিস) জনক কার্ল য়্যুং (Jung) অবশ্য ফ্রয়েডের এই মতবাদকে শুরুতে প্রত্যাখান করেছিলেন। তবে তিনিও পরে প্রিকগনিশানের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেন। অ্যাডলার, কার্ল রজার্সের মতো মনোবিজ্ঞানীরাও প্রিকগনিশনকে মনোবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে স্থান দিয়েছেন।
    প্রিকগনিশানের গবেষণায় আরেক ব্যক্তির অবদানের কথা স্বীকার করতেই হবে। তিনি হলেন জেমস উইলিয়াম ডান্‌। ১৮৯৮ সালে এই মার্কিন প্রকৌশলীর একবার স্বপ্নের মধ্যে ঘড়িতে সময় দেখে ঘুম ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন, সেখানেও ঠিক একই সময় দেখাচ্ছে।
    বিস্ময়ে বিহবল হয়ে এরপর প্রিকগনিশন নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করেন তিনি। নিয়মিত নিজের স্বপ্নগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে রাখা শুরু করেন। পরবর্তীকালে তার দীর্ঘ গবেষণা নিয়ে ‘দ্য এক্সপেরিমেন্ট উইথ টাইম’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন ডান্‌, যা আজও অতিপ্রাকৃতিক মনোবিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
    দৈনন্দিন জীবনেও ছোটখাটো প্রিকগনিশন আমাদের জীবনে ঘটে থাকে। যেমন- শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় এমন হয় যে, ক্লাসে যেতে একেবারেই ইচ্ছে করে না। তারপরও ক্লাসে গিয়ে তারা আবিষ্কার করে, সেদিনের জন্যে ক্লাস বাতিল করা হয়েছে। অনেকে সারাদিনের পরিশ্রমের পর বাসায় ফেরার আগে চিন্তা করেন, হয়তো অমুক মেহমান এসেছে। ঘরে ফিরে দেখতে পান, সত্যি এসেছে।
    এছাড়া আমাদের দেশে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কারের সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে। যেমন- কালো বিড়াল দেখলে যাত্রা অশুভ হওয়া, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় হোঁচট খেলে বিপদের সম্ভাবনা ইত্যাদি প্রিকগনিশনেরই কুসংস্কারাচ্ছন্ন রূপ। কোনো এক কালে হয়তো কোনো ব্যক্তির প্রিকগনিশনের কারণে এমন কিছু ঘটেছিলো, যা যুগের পর যুগ ধরে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে।
    কারও মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি তো অনেক কিছুই দেখি, যার মধ্যে কিছু কিছু সত্যি হয়ে যায়। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, এরকম ঘটনাগুলো একটি ডায়েরিতে টুকে রাখা ভালো। এতে কোনটি সত্যি হয়েছে আর কোনটি মিথ্যা হয়েছে সহজেই যাচাই করে দেখা যাবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ভুল আন্দাজ বা ভুল অনুমানের পরিমাণ কমে আসবে।
    এছাড়া প্রিকগনিশন নিয়ে বিরক্ত হন, এমন বেশ কিছু মানুষেরও দেখা পাওয়া যায়। প্রতি মুহূর্তের এদের মনে হয় এটা ঘটবে, ওটা ঘটবে। অহেতুক দুশ্চিন্তা করতে থাকেন,  কিংবা স্বপ্ন, ‘মন বলছে’ ধরনের ব্যাপার নিয়ে বিপাকে থাকেন। তাদের জন্য একটি পরামর্শ। পরিচিতজনদের সঙ্গে বারবার শেয়ার করতে থাকুন মিথ্যা অনুমানগুলো। কয়দিন পরই দেখবেন, আগের মত আর ‘দেখছেন না’ বা ‘মনে হচ্ছে না’।

     

    মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন ক্রয়ের বিশেষ অফার

    স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
    করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
    মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

    https://youtu.be/WEgGpIiV6V8

     

    দিব্যদৃষ্টি প্রিকগনিশন মনোবিজ্ঞান রহস্য
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleডিপ্রেশন কমাতে ‘মা’
    Next Article সুইস অ্যাম্বাসীর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    ভুতে ধরা নাকি মানসিক রোগ?

    October 4, 2025

    কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ

    September 27, 2025

    স্কুল–কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: দায় কার?

    September 23, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    ফিচার October 4, 2025

    ভুতে ধরা নাকি মানসিক রোগ?

    বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সমাজে ভূত-প্রেত, জ্বিন, কালো যাদু নিয়ে শতাব্দীর পুরোনো লোকবিশ্বাস প্রচলিত। ছোটবেলা থেকেই…

    কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ

    পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    স্কুল–কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: দায় কার?

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.