অতি-চঞ্চল শিশুর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সহজ ও সহায়ক হতে হবে

0
100

আমি একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট। আমার পেশাগত জীবনে দেখেছি অতি চঞ্চল বাচ্চা প্রায়ই আমাদের সেবা নিতে আসে। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলছে।

এ ধরনের বাচ্চাদের চঞ্চলতা স্বাভাবিক বাচ্চাদের তুলনায় বেশি। এই বাচ্চারা কোন কাজে বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারেনা। এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসেনা। তুলনামূলকভাবে বেশি হাত-পা নাড়ায়। বেশি কথা বলে। অযথা ভুল করে ও ভুলে যায়। জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলে ও কোন কাজ গুছিয়ে করতে পারেনা ইত্যাদি।

আমার ব্যক্তিগতভাবে এই বাচ্চাদের জন্য কষ্ট হয়। এটা অবশ্যই একটা রোগ। বাচ্চাগুলো রোগের কারণেই এধরনের আচরণ করে।

আমাদের সেশনে বাচ্চা ও অভিভাবকদের কাছ থেকে যা জানতে পারি ক্লাসের অন্য বাচ্চারা এই বাচ্চাদের উক্তক্ত করে, ছোট করে কথা বলে, হেয় প্রতিপন্ন করে অথবা এড়িয়ে চলে। একইভাবে স্কুল কতৃপক্ষ তাদের সাথে সহায়তামূলক আচরণ করেনা। যা এই বাচ্চাগুলোর মানসিকতায় বিরূপ প্রভাব ফেলে।

আমি মনে করি এদের জন্য পারিপার্শ্বিক পরিবেশ হতে হবে সহজ ও সহায়ক। শান্ত পরিবেশ খুব প্রয়োজন যেন বাচ্চারা সহজে অন্যদিকে মনোযোগ না দেয়। এদের বিদ্রুপ না করে সহায়তামূলক আচরণ করতে হবে যেন ওরা মানসিকভাবে চাপ অনুভব না করে। নিজেকে অসহায় ও বোঝা মনে না করে।

এই বাচ্চাদের চারপাশের সবাইকে এই রোগ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। এদের বিদ্যালয়ে ও খেলায় নিয়মিত নিয়োজিত রাখতে হবে। পাশপাশি ধৈর্যের সাথে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা দিতে হবে।

রাজিয়া সুলতানা
অকুপেশনাল থেরাপিষ্ট

করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

Previous articleঅতি-চঞ্চল অমনোযোগী শিশু; ভবিষ্যত কি?
Next articleঅতিরিক্ত খাবার গ্রহনও একটি ব্যাধি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here