নারীদের বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি দেয় ক্ষমাশীলতা

ছোট ছোট বিষয়ে আমরা সব সময়ই অন্যকে ক্ষমা করে থাকি। কিন্তু বন্ধু বা সঙ্গী যখন আমাদের বিশ্বাস ভেঙে ফেলে, তখন?
নতুন একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ক্ষমাশীলতা আমাদের বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষত নারীদের।
সম্প্রতি একটি জার্নালে দ্য ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি তাদের করা এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা পরবর্তী সময় নির্দিষ্টভাবে ক্ষমাশীলতা কীভাবে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে এবং বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি দেয়, তা নিশ্চিত হতে দ্বিতীয়বারের মতো গবেষণা চালানো হয়।
এ দফায় ধর্ম, বয়স, স্বাস্থ্যগত তথ্য বিবেচনা করে ৬৭ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী ১ হাজার জনকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বিশেষত বেশি বয়সী নারী যারা ক্ষমাশীল, তারা অন্যদের চেয়ে বেশি লাভবান হন বলে দেখা যায়।
তবে পুরুষের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই ‌উপযোগী নয়। তাদের ক্ষেত্রে অন্যের কাছে দায়ী হয়ে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যক্তির কাছে একজন পুরুষ দোষী এবং ওই ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করছে না, এমন অবস্থা হলে পুরুষরা অতিমাত্রায় বিষণ্ণতায় ভোগেন। গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব উন্নয়ন ও পরিবার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টিন। তিনি বলেন, যদিও এটা খুবই ছোট গবেষণা, তারপরও বিষণ্ণতার চিকিৎসায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অতীতেও দেখা গেছে, ক্ষমা শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই ভালো। ২০১৪ সালের আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, যে ব্যক্তি ক্ষমা পান তিনি পরবর্তীতে ভালো কাজের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
অনেক সময় চিকিৎসক যখন নিজেকে ক্ষমা করতে বলেন, এর অর্থ কেবল ক্ষমা করাই না, বিষণ্নতা দূর করার একটি মাধ্যমও বটে। আবার এটি যে সবসময় বিষণ্ণতা থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে ব্যাপারটা তেমনও নয়, যোগ করেন ক্রিস্টিন।

Previous articleমন ভালো রাখবে পোষা প্রাণী
Next articleসিজোফ্রেনিয়া প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে মাছের তেল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here