আয়ু কমানোর দিক থেকে ধূপমান আর স্থূলতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে নিঃসঙ্গতা। বিশেষত, বয়স্কদের ক্ষেত্রে মারাত্বক হুমকি হিসেবে দেখে দিয়েছে বলে দাবি করছেন গবেষকরা। বৃদ্ধাশ্রমে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে পৃথিবী সব দেশেই। আর তাই বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসকারীদের মধ্যে যারা একাকী অনুভব করেন তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো সনাক্ত করার চেষ্টা করেন গবেষকরা।
‘এইজিং অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। গবেষণায় দেখা যায়, নিঃসঙ্গতা নিয়ে একজন মানুষের বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতা নির্ভর করে কয়েকটি ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক বিষয়ের ওপর। বার্ধক্যজনীত ক্ষয় আর অপর্যাপ্ত সামাজিকতা নিঃসঙ্গ জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ সায়কিয়াট্রি’র ‘রিসার্চ ফেলো’ আলেহান্দ্রো পারেদস বলেন, “বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসকারীদের কিছু অংশ বলেন জীবনসঙ্গী, ভাইবোন, বন্ধুদের হারানোই তাদের নিঃসঙ্গতার কারণ। অন্যরা বলেন, বৃদ্ধাশ্রমে নতুন বন্ধুত্ব গড়ে উঠলেও তার দিকের হারানো বন্ধু, যাদের সঙ্গে জীবনের লম্বা সময় পার হয়েছে, তাদের অভাব তো পূরণ করা সম্ভব নয়। এই নিঃসঙ্গতা অনুভুতির কারণে অনেকেই বেঁচে থাকার আগ্রহ হারান।”
নিঃসঙ্গতা কাটানোর ক্ষেত্রে জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, অপরের প্রতি সহানুভূতি ইত্যাদি উপকারী ভূমিকা রাখে বলে দেখেন গবেষকরা। এছাড়াও বার্ধক্যকে মেনে নেওয়া এবং একাকী জীবনের মাঝেও সুখ খুঁজে নেওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানো সম্ভব হয়।
এই গবেষণার জন্য ৬৭ থেকে ৯২ বছর বয়সি মোট ৩০ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেন গবেষকরা। স্যান ডিয়েগোর বৃদ্ধাশ্রমে বাসকারী একশ জন প্রবীণদের নিয়ে তাদের শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানীয় বিষয় নিয়ে চলমান গবেষণার অংশ হিসেবে এই গবেষণা করা হয়।
গবেষণার প্রধান, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যারিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের ‘সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড নিউরোসায়েন্স’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক দিলিপ ভি. জেস্টি বলেন, “প্রবীণদের নিজেদের বিচারে তাদের একাকিত্বের কারণ কি সেটা জানা জরুরি। যাতে আমরা সেই কারণ দূর করতে পারি এবং তার সার্বিক স্বাস্থ্যে উন্নতি করা সম্ভব হয়।”
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ সায়কিয়াট্রি’র ‘রিসার্চ ফেলো’ আলেহান্দ্রো পারেদস বলেন, “বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসকারীদের কিছু অংশ বলেন জীবনসঙ্গী, ভাইবোন, বন্ধুদের হারানোই তাদের নিঃসঙ্গতার কারণ। অন্যরা বলেন, বৃদ্ধাশ্রমে নতুন বন্ধুত্ব গড়ে উঠলেও তার দিকের হারানো বন্ধু, যাদের সঙ্গে জীবনের লম্বা সময় পার হয়েছে, তাদের অভাব তো পূরণ করা সম্ভব নয়। এই নিঃসঙ্গতা অনুভুতির কারণে অনেকেই বেঁচে থাকার আগ্রহ হারান।”
নিঃসঙ্গতা কাটানোর ক্ষেত্রে জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, অপরের প্রতি সহানুভূতি ইত্যাদি উপকারী ভূমিকা রাখে বলে দেখেন গবেষকরা। এছাড়াও বার্ধক্যকে মেনে নেওয়া এবং একাকী জীবনের মাঝেও সুখ খুঁজে নেওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানো সম্ভব হয়।
এই গবেষণার জন্য ৬৭ থেকে ৯২ বছর বয়সি মোট ৩০ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেন গবেষকরা। স্যান ডিয়েগোর বৃদ্ধাশ্রমে বাসকারী একশ জন প্রবীণদের নিয়ে তাদের শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানীয় বিষয় নিয়ে চলমান গবেষণার অংশ হিসেবে এই গবেষণা করা হয়।
গবেষণার প্রধান, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যারিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের ‘সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড নিউরোসায়েন্স’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক দিলিপ ভি. জেস্টি বলেন, “প্রবীণদের নিজেদের বিচারে তাদের একাকিত্বের কারণ কি সেটা জানা জরুরি। যাতে আমরা সেই কারণ দূর করতে পারি এবং তার সার্বিক স্বাস্থ্যে উন্নতি করা সম্ভব হয়।”