ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলা একটা অব্যাসগত ব্যাপার। তবে এ অভ্যাসের কারণে সবার সামনে অনেক সময়ই আপনি হাঁসির রসদও হয়ে ওঠেন৷ এই সমস্যায় মূলত শিশুরা বেশি ভোগে৷ তবে যেকোনও বয়সের মহিলা অথবা পুরুষও ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যায় ভুগতে পারেন৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক ও শারীরিক একাধিক সমস্যার উপসর্গ হতে পারে ঘুমের মধ্যে কথা বলা৷ অনিদ্রা, জ্বর, অতিরিক্ত মদ্যপান, মানসিক চাপ, উদ্বিগ্নতা, অবসাদ, ক্লান্তি ভাবের জেরে ঘুমের মধ্যে বকবক করেন অনেকেই৷ আবার অনেক সময় নানা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও ঘুমের মধ্যে কথা বলেন কেউ কেউ৷ তাই এই সমস্যাকে অবহেলা করবেন না৷ ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা রইল আপনার জন্য৷
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোন: প্রতিদিনের কাজের চাপ৷ অফিস, বাড়ির কাজ সামলাতে গিয়ে ক্রমশই কমছে ঘুমের সময়৷ সারাদিনে কখনও চার-পাঁচ ঘণ্টা বা খুব বেশি হলে ছয় ঘণ্টা ঘুমোন অনেকেই৷ কিন্তু মনে রাখবেন ঘুম ঠিকমতো না হলে নানা রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে৷ ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যায় ভোগারও মূল কারণ হতে পারে এটি৷ ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে ঘুমোন৷ চেষ্টা করুন ঘড়ি ধরে রাতে একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার৷ মেপে মেপে আট ঘণ্টা করে ঘুমোনোর পরই সকালে উঠুন৷
মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন: অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তাই চেষ্টা করুন মদ্যপানের অভ্যাসের বদল করার৷ অতিরিক্ত চা বা কফিও কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে আপনার৷ ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন৷
মানসিক চাপ: বর্তমান জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ প্রত্যেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী৷ ঘুমের মধ্যে কথা বলারও মূল কারণ হতেই পারে এই মানসিক চাপ৷ তাই আগে মানসিক চাপ কাটাতে দু’দিনের জন্য বরং কোথাও বেড়িয়ে আসুন৷ মন ভাল করতে বই পড়ুন, গান শুনুন৷ প্রতিদিন সকালে উঠে শরীরচর্চা করলেও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: ঘরোয়া টোটকায় কাজ না হলে, পরামর্শ নিন চিকিৎসকের৷ ভুলে যাবেন না ভাল ঘুমই কিন্তু সুস্থতার চাবিকাঠি৷