গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ

0
12

সন্তানসম্ভবা একজন মহিলা যদি কোনও মানসিক রোগের শিকার হন, তাহলে তা সব সময়ে এক বিরাট সমস্যা হিসেবে মনে করা ঠিক নয়। গর্ভবতী মহিলারা যদি মানসিক সমস্যা এবং গর্ভধারণ সংক্রান্ত কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হন, তাহলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন ধাত্রীবিদ্যা বিশারদ  (অব্‌স্টিত্রিশিয়ান)-এর সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেন। আর যথাযথ চিকিৎসায় মন ও শরীর— দুই-ই সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকতে পারে।
যখন একজন প্রসূতি মহিলা তাঁর চিকিৎসকের সঙ্গে অসুখের বিষয়ে আলোচনা করবেন তখন দুটি তথ্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞকে জানাতে হবে—
১. মহিলার মানসিক সমস্যার খুঁটিনাটি তথ্য বা ইতিহাস।
২. কী ধরনের ওষুধ তিনি খাচ্ছেন তা জানানো অবশ্যই জরুরি।
এই ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে, উপরের তথ্যগুলি জানার পরে সাইকিয়াত্রিস্ট যেন একজন ধাত্রীবিদ্যা বিশারদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন। এইভাবে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞও রোগীর প্রকৃত সমস্যা বুঝে প্রয়োজন মতো সঠিক চিকিৎসা করতে সক্ষম হবেন।
এই অবস্থায় কেউ যদি চান তাহলে তিনি ধাত্রীবিদ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

  • একজন সন্তানসম্ভবা মহিলা মানসিক সমস্যার জন্য ঠিক কী ধরনের ওষুধ খাচ্ছেন, তা অবশ্যই ধাত্রীবিদ্যা বিশারদকে জানাতে হবে। কারণ এর মধ্য দিয়েই তিনি বোঝার চেষ্টা করবেন যে মা এবং শিশু সুস্থ রয়েছে কি না।
  • পরিকল্পনাহীন গর্ভধারণের ক্ষেত্রে যদি হবু মা কোনও ওষুধ খান তা-ও চিকিৎসককে জানানো জরুরি। কারণ এই তথ্য জানতে পারলে বাচ্চার বিকাশ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না বা মা একটি সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম দিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে ডাক্তার নিশ্চিত হতে পারবেন। প্রয়োজনে সঠিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে সমর্থ হবেন।
  • ডায়াবেটিসের জন্যও কাউকে ওষুধ খেতে হয়। সে ক্ষেত্রে সঠিক ওষুধ না খেলে ব্লাড সুগার লেভেল ওঠা-নামা করে। এই তথ্য জানা থাকলে চিকিৎসক রোগীর সুগার লেভেল প্রতিনিয়ত নজরে রেখে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং আগাম সতর্ক হতে পারেন।

এইভাবে বাচ্চা জন্মানোর আগে ও পরে মায়ের যদি কোনও মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা সাইকিয়াত্রিস্ট এবং ধাত্রীবিদ্যা বিশারদের (অব্‌স্টিত্রিশিয়ান) সুপরামর্শের সাহায্যে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় আর মা-ও একটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হন।

মানসিক স্বাস্থ্যের সব খবর নিয়ে ‘মনের খবর’ জানুয়ারি সংখ্যা এখন সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। আজই সংগ্রহ করে নিন আপনার কপিটি।

Previous articleশিশুর দেরিতে কথা বলার বড় কারণ জানাচ্ছে গবেষণা
Next articleমানসিক রোগ চিকিৎসায় রোহিঙ্গাদের কুসংস্কার ছাড়াতে হিমশিম স্বাস্থ্যকর্মীরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here