গভীর রাতে জিনিসপত্র ভাঙে এবং বউকে মারে

0
395
ফেইল করার ভয়ে পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিই

[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”black” css=”.vc_custom_1611078139770{border-radius: 35px !important;}”]আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা,দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আমাদের আজকের প্রশ্ন পাঠিয়েছেন -রেহনুমা আক্তার (ছদ্মনাম)-[/vc_message]
[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”sky” icon_fontawesome=”fas fa-question” css=”.vc_custom_1611078119764{border-radius: 35px !important;}”]আমার বড় ভাইয়ের বয়স ৩৮ বছর। গত তিন চার বছর সে রাতে ঘুম থেকে উঠে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। তিন চার মাস পরপর এরকম হয়। ভাঙচুরের সময় সে দু একবার স্ত্রীকেও মেরেছে। এসময়গুলোতে তাকে অনেক হিংস্র মনে হয়। ঘটনার পর যতক্ষন জেগে থাকে ততক্ষন এরকম করে। কোনভাবে একবার ঘুমিয়ে গেলে পরে আর সে এগুলো মনে করতে পারে না। ভাঙা জিনিসপত্র দেখালেও বিশ্বাস করে না যে সে এগুলো করেছে। আমরা মফস্বল শহরে থাকি। আত্মীয় স্বজনদের বিশ্বাস তাকে জ্বীনে আছড় করেছে। ডাক্তার দেখালে বিপদ বাড়বে। আর ভাই নিজেও ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। বাসায় বসে কোন চিকিৎিসা করা যাবে কি? আর এটা আসলে কি কোন ধরনের রোগ?[/vc_message][vc_message style=”square” message_box_color=”white” icon_fontawesome=”fas fa-envelope-open-text” css=”.vc_custom_1611078170345{border-radius: 35px !important;}”]দূর থেক এর চিকিৎসা কঠিন। রাতে এমন কিছু করার দুটি কারণ থাকতে পারে। একটিকে বলে নাইট ম্যায়ার, আরেকটিকে বলে নাইট টেরর। দুটিকেই স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয় যতক্ষণ নিজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ হিসেবে না দাঁড়ায়। ক্ষতির ভিতর যেমন, ব্যাথা পেতে পারে বা অন্যের অনেক রকম ক্ষতি করতে পারে। যাইহোক, কোনো কোনো গবেষণা বলে এর পিছনে কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন উদ্বিগ্নতা বা বিষন্নতা জাতীয় রোগও কাজ করতে পারে। শারীরিক কোনো কারণে হয় কিনা সেসবও দেখা উচিত। সুতরাং কারণ থাকলে সেটি খুজে বের করা এবং তার চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা একটি দিক। অন্যদিকে কি কি করলে এই সমস্যার প্রভাব কম পড়বে বা ক্ষতি কম হবে সেটা খেয়াল করা। যেমন ভালো-যথেষ্ট ঘুমের ব্যাবস্থা করা। সারাদিন চিন্তা মুক্ত থেকে যথেষ্ট বিশ্রামের ব্যবস্থা করা, শোবার জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং বিপদ মুক্ত রাখা। সম্ভব হলে, রাতের কোন সময়টা এমন হয় সেটা বোঝে তার আগে আগে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা। যেহেতু তিন-চার মাস পর পর হয় তাই এটা সম্ভব নাও হতে পারে। যতদূর সম্ভব রাতের ঘুম এবং ঘুমের জায়গা বিপদমুক্ত রাখা। সেইসাথে কিছু ওষুধ খেতে পারে। টেবলেট লজিকাম ১ মিগ্রা, রাতে একটা করে ১০ দিন খেতে পারে। অথবা টেবলেট মিরাপ্রো ৭.৫ মিগ্রা এর অর্ধেক, রাতে শোবার আগে খেতে পারেন। কোনো সমস্যা অনুভব না হলে এটা চালাতে পারে। ডাক্তার দেখালে বিপদ বাড়বে, এমন চিন্তা এখনো মানুষ করে, এটা দুঃখজনক। আপনাকে ধন্যবাদ, বিষয়টিকে সামনে আনার জন্য এবং চিকিৎসার কথা ভাবার জন্য। সরাসরি চিকিৎসা না করিয়ে, পরামর্শ শুনে কতটুকু উপকার হবে জানিনা। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন। আবারও ধন্যবাদ, মনের খবর পড়ার জন্য।[/vc_message]

ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব

চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর। চেম্বার তথ্য – ক্লিক করুন

Previous articleডিপ্রেশনঃ ভুল ধারনা এবং বাস্তব
Next articleথাইরয়েডের সমস্যা কি মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here