বাইরের উদ্দীপনা থেকে মাথায় মেমোরি তৈরি হয়ে জমা থাকে, যে পর্যন্ত না আমরা সেটা ব্যবহার করি। ব্যবহারের জন্য যখন প্রয়োজন মনে করি তখন আমরা সেটা ব্যবহার করতে পারি। এই প্রক্রিয়াকে Memory Retrieval/ স্মৃতি পুনরুদ্ধার বলে। গবেষণায় দেখা গেছে কয়েকটা বিষয় দ্বারা স্মৃতি পুনরুদ্ধার প্রভাবিত হয়। এই বিষয়গুলোই আজ আমাদের আলোচ্য বিষয়।
Organization/ সাজানো:
গবেষণায় দেখা গেছে যখন মেমোরি জমা রাখা হয়, তখন যদি সেটা বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে রাখা যায় তাহলে সহজে মনে করা যায়। যেমন কেউ যদি পঞ্চাশটি জিনিসের নাম মনে রাখতে চান, তাহলে সেটা একবারে মুখস্ত করলে মনে করতে যতো সুবিধা হবে তার চেয়ে সহজে মনে করা যাবে যদি সেগুলো ভাগ ভাগ করে যেমন, পাঁচটা ফল, দশটা গাছ, দশটা ফুল, দশটা পাখি ইত্যাদি, এভাবে মনে আলাদা করে সাজিয়ে রেখে মনে করলে। এই প্রক্রিয়াকে Organization বা সাজানো বলে।
Retrieval cues / স্মৃতি পুনরুদ্ধার সংকেত:
মেমোরি যখন জমা রাখা হয়, তখন মনে করার জন্য কোনো সংকেত যুক্ত করে রাখলে পরে মনে করতে সুবিধা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে Retrieval cues এর মাধ্যমে মেমোরি পুনরায় মনে করতে সুবিধা হয়। যেমন, কোনো বইয়ের একটা প্রশ্নের দশটা পয়েন্ট কোনো কবিতা বা গান দিয়ে মনে মনে ট্যাগ করে রাখলে সেটা মনে করতে বেশ সুবিধা হয় বলে দেখা গেছে। আবার কোনো একটা প্রশ্নের পয়েন্ট শুধু আদ্যাক্ষর মনে রাখার মাধ্যমে মনে রাখলে মনে করতে সুবিধা হয় বলে দেখা গেছে।
Context & Retrieval / ঘটনা ও স্মৃতি পুনরুদ্ধার:
কোনো কোনো সময় অনেক স্মৃতি আমাদের প্রতিদিনের খুব পরিচিত ঘটনার সাথে যুক্ত করে আমরা মনে রাখতে পারি এবং সে ক্ষেত্রে মেমোরি পুনরুদ্ধার এবং ওই স্মৃতির সুন্দর ব্যবস্থাপনা সম্ভব।
Construction & Distortion during recall / স্মৃতি মনে করার সময় পরিবর্তন:
অনেক সময় স্মৃতি পুনরুদ্ধার করার সময় আসল ঘটনা থেকে কিছু পরিবর্তন ঘটে। এর কারণ হিসাবে চিন্তা করা হয়ে থাকে কিছু বিষয়, যেমন- যিনি মনে করছেন উনার মনের প্রতিক্রিতি বা Schema, মানসিক অবস্থা, পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর।
এখানে বর্ণিত তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিদিন আমরা আমাদের স্মৃতি শক্তির উন্নত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি। আমরা একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে হয়ত বুঝতে পারব যে আমরা এগুলা মেনে চলি কিনা আর মেনে চললে কোনো সুবিধা আমরা পেয়েছি কিনা।
স্মৃতিশক্তি ১ম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
স্মৃতিশক্তি ২য় পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।