কিভাবে নিজেই হতে পারেন নিজের সব থেকে ভালো বন্ধু?

0
52
কিভাবে নিজেই হতে পারেন নিজের সব থেকে ভালো বন্ধু? ছবিঃ ইন্টারনেট

অন্যদেরকে নিজের থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করে এবার নিজের প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠুন।

আমাদের প্রায় সবার জীবনেই কাছের বন্ধু রয়েছে। তাদেরকে আমরা ভালো মন্দ উপদেশ দেই, তাদের ভালো চাই এবং তাদেরকে অনেক গুরুত্বও প্রদান করি। তারা আমাদের জীবনের সব থেকে বিশেষ স্থানটি দখল করে থাকে। কিন্তু এই একই সাথে আমরা প্রায়ই এটা ভুলে যাই যে, আমাদের নিজেদেরও একটা গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের সেই সত্ত্বারও যত্ন প্রয়োজন, ভালোবাসা এবং মনোযোগের প্রয়োজন। বন্ধুদের সাথে যেমন সব সময় যোগাযোগ রাখা দরকার তেমনি নিজের সাথেও নিজের একটি সুসম্পর্ক ও আত্মিক যোগাযোগের প্রয়োজন রয়েছে।

সাধারণত আমাদের বন্ধুরা আমাদের মানসিক শক্তি বাড়ায়। যেমন- ধরুন, যে কাজে আপনার ভয় করবে, নিজেকে মনে হবে সেই কাজের অযোগ্য, সেই সময়ে সেই কাজে আপনার একজন ভালো বন্ধু আপনাকে মানসিক শক্তি যোগাবে এবং আপনার মনোবল বাড়াতে সহায়তা করবে যে আপনি ঐ কাজের জন্য যোগ্য এবং আপনি পারবেন। অর্থাৎ বন্ধুত্ব এমন একটি সম্পর্ক যেটি আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যত্নশীল হয় এবং সব কাজে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়।  তাহলে এই আস্থাপূর্ণ সম্পর্কটি কি নিজের সাথে নিজের হতে পারেনা? মনস্তত্ত্ববিদগণ বলেছেন, সব থেকে ভালো বন্ধুত্ব নিজের সাথে নিজেরই হতে পারে যে বন্ধু কখনো মিথ্যে আশ্বাস দেয়না এবং সর্বদা নিজের সব থেকে বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে পাশে থাকে, মনোবল বাড়ায়।

নিচে এরকম কিছু কৌশল তুলে ধরা হল যার মাধ্যমে আপনি নিজের সাথে নিজের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।

নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক ধারণা ত্যাগ করুন

আপনি পারেন না বা আপনার যোগ্যতা নেই। এ ধরণের চিন্তা ভাবনা থেকে বিরত থাকুন। আপনি যেমন আপনার সব থেকে ভালো বন্ধুকে এবং আপনার বন্ধু যেমন আপনাকে সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে, আপনিও নিজেকে ঠিক সেভাবে দেখুন।

নিজেকে ঠিক নিজের সব থেকে কাছের বন্ধুর মতো করে প্রস্তুত করুন

সব সময় সব কাজে এটা ভাবুন যে আপনার বন্ধু হলে কী করতো, কী ভাবতো বা কী বলতো। সেভাবেই নিজের স্বত্বাকে প্রস্তুত করুন এবং অনুকরণ করুন সেই আচরণ গুলি। নিজের সাথে নিজের আত্মিক যোগাযোগ বাড়ান।

নিজেকে নিজের মনের মতো ভাবুন

আপনি আপনার বন্ধুর মধ্যে যেসব গুণাবলী পছন্দ করেন, যেগুলি আপনার মনের মতো হয় সেগুলোই নিজের মধ্যে গড়ে তোলার প্রয়াস করুন। তাহলে নিজেকে ঠিক নিজের বন্ধুর মতো করে ভাবতে পারবেন।

নিজের উপর ভরসা এবং আস্থা রাখুন

বন্ধুর সাথে যেমন মনোমালিন্য হয়, ঝগড়া হয় তেমনি নিজের সাথেও নিজের লড়াই হবে। সব সময় মন এবং মস্তিষ্ক একই কথা বলবেনা। এই বিরোধের সময় নিজের উপর আস্থা এবং ভরসা রাখুন। এটা বিশ্বাস করুন যে, আপনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন সেটি আপনার ভালোর জন্যই হবে।

বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে যেমন সময়ের প্রয়োজন তেমনি নিজেকে নিজের সব থেকে ভালো বন্ধু হিসেবে গড়ে তুলতেও সময় এবং প্রচেষ্টা উভয়ই প্রয়োজন। আপনাকে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে এবং নিজের সহায়তায় সেগুলি বাস্তবায়নও করতে হবে। উপরের এই কৌশল গুলি অনুসরণ করে আপনি নিজের সাথে নিজের একটি অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন যে সম্পর্কটি হবে সব থেকে মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে    

 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleএলার্জি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক কী?
Next articleমানসিক সমস্যা নিরসনে ভেষজ উদ্ভিদের ভূমিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here