নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, এই কথাটি সবার মনেই মাঝে মাঝে বলে ওঠে। কখনও হয়তোবা মনে হয় অন্যের কারণে নিজেকে পরিবর্তনটা করতে হবে। কখনও বা নিজের উপর জিদ উঠে এমন কথা মনে আনে অনেকে। নিজের জন্য হোক বা অন্যের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনটাতে খারাপের কিছু নেই।
পরিবর্তনের বিষয়টা নির্ধারণ করুন: একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। ঠিক যে বিষয়টাতে নিজের পরিবর্তন দেখতে চান সেটা লিখে ফেলুন। হুট করেই কাল সকালেই আপনি ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজের পরিবর্তন দেখতে পারবেন না। তাই পরিকল্পনা করুণ এবং সে মোতাবেক প্রতিদিনই কাজ করে যান।
সারা দিন গুছিয়ে নিন: জীবনের একটি বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাইলে আপনার পুরো দিনকেই সেভাবে সাজাতে হবে। আপনি হয়তো সকালে ঘুম থেকে ওঠেন কিন্তু সারা দিন কোনো রকমেই হাঁটাচলা না করে পার করে দেন। এমনটা করবেন না, একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।
ইতিবাচক মনের মানুষদের খুঁজে বের করুন: একা একা নিজেকে পরিবর্তন করা বেশ কঠিন একটি কাজ। সমমনা মনের মানুষ বা বন্ধুদের খুঁজে বের করুন। তাঁদের সহায়তা নিন। যাঁরা নেতিবাচক কথা বলেন, তাঁদের এড়িয়ে চলুন।
আগ্রহের জায়গায় সময় দিন: আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেখানে সময় দিন। কাজের গুণগত মান উন্নয়নে সময় দিন। কীভাবে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন নিজেকে ১ ভাগ করে ছাপিয়ে গেলে ছয় মাস পরেই নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
শিখুন: প্রতিদিন নিজের শেখার পরিবেশে রাখুন। চারপাশ থেকে শিখুন। নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না। ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। পুরোনোকে নতুন করে শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখুন।
Previous Articleশিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন
Next Article স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্ক সুন্দর রাখতে করণীয়