ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়ার্কশপ

0
83

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে প্রথমবারের মত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র-উপদেষ্টাদের নিয়ে “Mental Health and Well-being” শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. সিফাত-ই সাইয়েদ।

“Mental Health and Well-being” শীর্ষক এই কর্মশালায় কিভাবে ভালো থাকা যায়, মনের যত্ন কিভাবে নেয়া যায়, এছাড়া কর্মক্ষেত্রে মনের যত্ন এবং তরুণদের মনের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ছাত্র-উপদেষ্টাগণের উপস্থিতিতে ওয়ার্কশপটি সম্পন্ন হয়।

মানসিক চাপ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার পাশাপাশি ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ কিভাবে মানসিক চাপকে যথাযথভাবে শনাক্তকরণের মাধ্যমে সেগুলোকে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি সমাজে মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে উদাসীনতা রয়েছে সেগুলো দূর করার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার প্রতি আলোকপাত করেন।

তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. সিফাত-ই সাইয়েদ বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন আশেপাশের বন্ধুদের যাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজন আছে, তাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে। পিতা-মাতার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেয়ার বিষয়ে তিনি জোর দেন। পাশাপাশি কখনো প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেয়ার বিষয়েও শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন।

ওয়ার্কশপের একাংশ

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় সমাজে দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনুষদভিত্তিক শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিন্তার প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জীবনের নেতিবাচক সময়কে নিয়ে বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। সময় পরিবর্তন হলে সমস্যার সমাধানও হয়। এক্ষেত্রে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোজন ক্ষমতা ও সহপাঠীদের প্রতি দায়িত্ববোধের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে পরিবার থেকে দূরে থেকেও তারা অসহায়ত্ববোধ করেন না। তাই শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের পারস্পরিক হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে খারাপ সময় অতিক্রম করার শক্তি জোগাবে। সাম্প্রতিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে তা থেকে উত্তরণের উপর এ ধরনের কর্মশালা সকলের জন্য কার্যকরী বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি কর্মশালার সভাপতির বক্তব্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ কর্তৃক প্রথমবারের মতো আয়োজিত শিক্ষার্থী ও ছাত্র-উপদেষ্টাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালায় সকলকে স্বাগত জানান। 

তিনি বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বহুমাত্রিক বিভাগ রয়েছে এবং বিশ্বায়নের যুগে বাজার অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী চলতে গিয়ে আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নানাবিধ মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়ছে বা উত্তরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, এরকম কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
বলে তিনি মনে করেন। 

MK4C-এর সেবা নিতে এখানে ক্লিক করুন

মনের খবর টিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রোগ্রাম দেখতে ক্লিক করুন

Previous articleমনের যত্নে আরও সচেতন হতে হবে তরুণদের
Next articleট্রাইকোটিলোম্যানিয়া বা চুল তোলা রোগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here