করোনা মহামারী নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে বরং করোনা মোকাবেলায় যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেই করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।
বর্তমানে করোনা মহামারী পৃথিবীর সব প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়েছে। কার্যকরী প্রতিষেধক না থাকায় আক্রান্তের হার বা মৃত্যু কোনটিই কাঙ্ক্ষিত ভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় নিজের ও কাছের মানুষদের সুরক্ষা নিয়ে আমরা সবাই আতঙ্কিত এবং চিন্তিত। কি করবো এবং কি করবো না এসব ভেবেই আমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে আছি।
এমন মানসিক অবস্থায় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা একদমই সম্ভব নয়। তাই করোনা মোকাবেলায় সর্ব প্রথম বুঝতে হবে আমাদের কি করণীয় এবং কি করনীয় নয়। অর্থাৎ এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঠিক সময়, আমরা আতঙ্কিত হয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে থাকবো নাকি ভীতিমুক্ত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
মনস্তত্ত্ববিদ গণ বলেন, একজন আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ সাধারণত সব সময় ভুল সিদ্ধান্তই গ্রহণ করে। তাছাড়া কোন কিছু নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লে কখনোই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার পথ খুঁজে পাওয়া যায় না। করোনা মহামারীর এই দুঃসময়ে আমরা যদি শুধু আতঙ্কিত হয়েই সময় পার করি তাহলে করোনা মুক্ত থাকার যথাযথ উপায় কখনোই অনুসরণ করতে পারবো না।
এটা ঠিক যে, ভয় থেকেই মানুষ সতর্ক হবার অনুপ্রেরণা পায়। কিন্তু আতঙ্ক যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে সেটি আমাদের মাঝে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাঁধা প্রদান করে, তাহলে সেটি অবশ্যই আমাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠবে। তাই, আতঙ্কিত না হয়ে বরং স্থির হয়ে এটা ভাবতে হবে যে, আমরা কিভাবে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারি।
অর্থাৎ, কি কি সতর্কতা গ্রহণ করলে করোনা মুক্ত থাকার প্রচেষ্টা করা সম্ভব হবে সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। সুতরাং আতঙ্কিত না হয়ে বরং সতর্কতা অবলম্বন করলেই করোনা থেকে আমরা নিজেদের ও আমাদের কাছের মানুষদের দূরে রাখতে পারবো।
করোনা মোকাবেলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে করনীয় কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম হল মুখে মাস্ক পরিধান করা। বাইরে গেলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরতে হবে। তাছাড়া ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে এবং অন্য একজন ব্যক্তি থেকে কম পক্ষে পাঁচ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিছু সময় পর পর সাবান বা স্যানিটাইজার দ্বারা হাত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া চলবে না এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জীবন যাপন করতে হবে। করোনা মোকাবেলায় অবশ্য পালনীয় সতর্কতামূলক কাজ গুলোর মধ্যে এগুলো অন্যতম। এগুলো পালন না করে আমরা যদি আতঙ্কিত হয়েই আমাদের মানসিক ও শারীরিক শক্তির অপচয় করি তাহলে করোনা মুক্ত থাকা কখনোই সম্ভব হবে না।
তাই প্রথমে আমাদের এটা অনুধাবন করতে হবে যে আমাদের মূল করনীয় কি। আমরা কি করোনাকে ভয় পেয়ে করোনার কাছে হেরে যাবো নাকি দৃঢ় মনোবল নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই গ্রহণ করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখনই সঠিক সময়।