আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। রাজধানীর গুলশানস্থ স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ২৭ -২৮ অক্টোবর ‘প্রিভেনশন সুইসাইড : এ রিসোর্স ফর মিডিয়া প্রোফেশনালস’-শীর্ষক দুই দিনব্যপী কর্মশালায় বুধবার উদ্বোধনী দিনে বিশেষজ্ঞরা এ মতামত ব্যক্ত করেন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশন বা প্রচারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা অবলম্বন করা হলে আত্মহত্যার পরিমাণ কমে যায় তাই সহায়ক নীতিমালা অনুসরণ করলে সাংবাদিকগণ আত্মহত্যা প্রতিরোধে আরো র্কাযকর ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)-র আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত অসংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইসস্টিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন, অসংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন। কর্মশালার সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, ডাব্লিউএইচও-র মেন্টাল হেলথ সাবসটেন্স অ্যাবিউজ-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অসংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যেনো মিডিয়ার খোরাক না যোগান। এ ধরণের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে গবেষণা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি ডিডিও ও ব্রেকিং ম্যাথোড পরিহারে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে উপস্থিত রিসোর্স পারসনরা আলাপ আলোচনা করে আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এক সহায়ক নির্দেশনামালা গঠন করেন।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে আত্মহত্যা একটি বিশেষ গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। তবে সমন্বিত প্রচেষ্টায় আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা গড়ে তোলা। সমাজের সবাইকে নিয়ে কাজ করে ও সঠিক তথ্য প্রদান করে এর প্রতিরোধে আমরা অগ্রসর হতে পারি।
তারা আরো বলেন, সাংবাদিক সমাজ দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেকবান অংশ যারা দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে আত্মহত্যা প্রতিরোধ একটি অন্যতম লক্ষ্য যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সহায়ক নীতিমালার উদ্দেশ্য যাতে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মীগণ আত্মহত্যা প্রতিরোধে তারা আরো র্কাযকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ)-র অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাওসার বিপ্লব, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ডা. জালাল উদ্দিন, জাতীয় গণযোগাযোগ ইনসটিটিউট-এর ডেপুটি ডিরেকটর শাহিদা সুলতানা, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, আত্মহত্যা প্রতিরোধমূলক সংগঠন ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন (বিটিএফ)-র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয়শ্রী জামান, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (ডিজিএইচএস)-র ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মারুফ আহমেদ খান ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহানাজ পারভেজ, ঢাবি ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান জোবেদা খাতুন, কাউন্সেলিং সাইকোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাফিয়া ফেরদৌসী এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের অ্যাসিটেন্ট কোঅর্ডিনেটর সালোয়া সালাম শাওলী।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে