Close Menu
    What's Hot

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Thursday, July 3
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম July 2, 2025

      বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

      Recent

      বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর May 3, 2025

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      Recent

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

      রাতে ঘুমাতে পারি না, সবসময় এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করি

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      দিনের চিঠি April 28, 2025

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      Recent

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      জীবনের ফাঁদে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, কায়দা করেও আর যেন বাঁচতে পারছি না!

      মা আর নিজেকে চেনেন না — ঘুম নেই, স্মৃতি নেই, পরিচ্ছন্নতাও নেই!

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      ফিচার December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » অটিজম শিশুদের চিকিৎসায় ভাষা বিজ্ঞানের ভূমিকা
    ফিচার

    অটিজম শিশুদের চিকিৎসায় ভাষা বিজ্ঞানের ভূমিকা

    ডা. ফাহমিদা ফেরদৌসBy ডা. ফাহমিদা ফেরদৌসApril 2, 2020No Comments6 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    অটিজম শিশুদের চিকিৎসায় ভাষা বিজ্ঞানের ভূমিকা
    অটিজম শিশুদের চিকিৎসায় ভাষা বিজ্ঞানের ভূমিকা
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    যে কোন ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া, ইত্যাদি দিয়ে যেকোন মানুষই যেকোন বয়সে যেমন শারিরীক ভাবে রোগাক্রান্ত হতে পারে, ব্যহত হতে পারে সেই মানুষটির দৈনন্দিন কার্যকলাপ, ঠিক তেমনিভাবে যে কোন বয়সে যে কোন মানুষেরই বিভিন্ন কারণে তার মনের বিকাশ হঠাৎ করে থেমে যেতে পারে অথবা মনোরোগ/ মানসিক রোগ তৈরী হতে পারে। এই রোগের কারণে তৈরী হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক অথবা সামাজিক পর্যায়ে বৈকল্য ,ব্যহত হতে পারে সেই মানুষটির দৈনন্দিন কার্যকলাপ। আমাদের সমাজে আমরা শারিরীক অসুস্থতাকে খুব সাদরে গ্রহণ করতে পারি, হোক তা ডায়াবেটিক, ডেঙ্গুজ্বর, যৌনরোগ অথবা ক্যান্সারের মত মরণ ব্যাধি। কিন্তু যদি কোন মানুষের মনোরোগ/মানিসক রোগ দেখা দেয় তখন আমাদের সমাজের, সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে শারিরীক রোগের মত মনোরোগকে সাদরে গ্রহণ করতে পারিনা ।
    আজ যদি আমরা বর্তমান বিশ্বে একটু দৃষ্টিপাত করি এবং গভীর ভাবে অনুধাবনকরি তাহলে বুঝতে পারব যে, ”শিশুদের বিকাশ জনিত সমস্যা” আজকের পৃথিবীর এক অনিবার্য বাস্তবতা। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার, শিশুরা তাদের মধ্যে অন্যতম।
    আজ ২রা এপ্রিল “অটিজম সচেতনতা দিবস”। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের অনেক দেশই এই দিনটিকে অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশেও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। সরকারী পর্যায়ে বাংলাদেশে কার্যকলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। কারণ আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত হোক সে অটিস্টিক অথবা বিশেষ শিশু (স্পেশিয়াল চাইল্ড)।
    প্রকৃতির এক অপার সৃষ্টি মানুষ। বিপুল বিস্ময় রয়েছে মানুষের দেহে। প্রকৃতির সহজাত নিয়মেই মানুষ বেড়ে ওঠে মাতৃগর্ভে। অতি ক্ষুদ্র ভ্রুন হতে ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পরিপূর্ণ ও পরিপক্ক হয়ে তৈরী হয় মানব দেহ। আপাতদৃষ্টিতে নয় মাসের গর্ভধারনের সময়টি খুব ছোট হলেও এই সময়টিতে ঘটতে থাকে বিস্ময়কর পরিবর্তন । একটি সুস্থ মানব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য গর্ভকালীন মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা অর্থাৎ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    মন মস্তিষ্কের অংশ, যার প্রারম্ভিক বিকাশ শুরু হয় মাতৃগর্ভে, অর্থাৎ শুক্রানু ও ডিম্বানু নিষেকের পর, ভ্রুন অবস্থায় মাতৃগর্ভে আসার প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যে মস্তিস্ক তথা স্নায়ুততন্ত্র গঠন প্রক্রিয়ার সাথে সাথে/ একটি সুস্থ মানব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য গর্ভকালীন মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা অর্থাৎ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    জন্মের পর প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী মন সক্রিয় হয়ে উঠে। শারীরিক বৃদ্ধির সাথে সাথে বিকশিত হতে শুরু করে মন-ও। একটি শিশু তার চারপাশের মানুষ সমন্ধে ধারণা লাভ করে। বস্তু সম্পর্কে শেখে, নতুন কৌশল আয়ত্তে এনে চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে ভাষার মাধ্যমে বাচনিক এবং অবাচনিক উপায়ে যোগাযোগ স্থাপিত করে অনেক তথ্য, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লাভ করে যা তার চিন্তা চেতনা আবেগ, অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, যার মাধ্যমে কোন কিছু সনাক্ত করতে, জানতে এবং বুঝতে পাওে এবং মস্তিষ্কের শব্দ ভান্ডারের ধারণার প্রায়োগিক কাঠামোতে জমা হতে থাকে।  তাই কেবল জন্মগতভাবে প্রাপ্ত “জিন” ই নয়, শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম আর তা নিশ্চিত করতে পারে তার চারপাশের সুস্থ ঐর্শ্বয্যময় ভাষা সমৃদ্ধ পরিবেশ। । যদি কোন শিশুর শারীরিক, স্নায়ুগত ও মানসিক/মনোরোগের সমস্যা না হয়ে থাকে তবে এই ধারাবাহিকতাকে স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া হয় এবং একটি শিশু ৫ বছরের মধ্যেই মাতৃভাষার প্রয়োজনীয় সব নিয়ম কানুন আয়ত্ত করে ফেলে। কখনও কখনও স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রমও হয়ে থাকে। পৃথিবীর সবকিছু সবসময় আপন নিয়মে চলে না। আজ যদি আমরা বর্তমান বিশ্বে একটু দৃষ্টিপাত করি এবং গভীর ভাবে অনুধাবনকরি তাহলে বুঝতে পারব যে, ”শিশুদের মনের বিকাশ জনিত সমস্যা” আজকের পৃথিবীর এক অনিবার্য বাস্তবতা। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুরা তাদের মধ্যে অন্যতম।
    অটিজম হচ্ছে মস্তিষ্ক / মনের বিকাশের একটি অসম্পূর্ণ অবস্থা এ সমস্যায় একটি শিশু পরিবার ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উদ্দিপনা ,ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক আবেগ ভাষার মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করতে অর্থাৎ মৌলিক আবেগ আকাঙ্খা অথবা মনোগত অবস্থাকে যেমন- চিন্তা, অভিপ্রায়, কামনা, অভিলাষ, স্বপ্ন, কল্পনা এবং ছলনা ইত্যাদি অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে না,এবং অন্যের মনেও যে এগুলির অস্তিত্ব আছে তা বুঝতে পারে না । যার দরুন অটিষ্টিক শিশুদের যোগাযোগ এবং সামাজিকতা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অর্থবোধক হয় না।
    ভাষা বিকাশের এবং প্রকাশের অসম্পূর্ণতা কারণে, অটিষ্টিক শিশুরা :-
    ১)সরাসরি বক্তার দিকে মুখ তুলে চোখে চোখে তাকায় না ।
    ২) ভাষা অনুধাবনের ক্ষেত্রে এবং মানসিক ও আবেগগত বহিঃপ্রকাশে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয় কারন ভাষার প্রত্যেকটি শব্দই কোন না কোন বক্তব্যকে ধারন করে যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে নানা অর্থগত ব্যঞ্জনা। মূলত শব্দ উচ্চরনের দ্বারাই যে কোন শিশু তার কাঙ্খিত মনের বক্তব্যকে অন্যের কাছে তুলে ধরে এবং অন্যের কাছ থেকে ব্যক্ত কোন শব্দ হতে অর্থ খুজে বের করে। সামাজিকতার জন্য যোগাযোগ কর্মটি সাধিত করে। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুর মধ্যে ভাষিক বক্তব্য বলতে এবং বুঝতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয় ।
    ৩) সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা। অর্থাৎ ভাষার যৌথ মনোযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করে অন্যের মনোগত অবস্থাকে যেমন বুঝতে পারে না তেমনিভাবে নিজের মনোগত অবস্থাকে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে না অথবা বিলম্ব ঘটে।
    ৪)শিশুর আয়ত্তকৃত শব্দের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বিশেষ করে, ‘যাই’, ‘করি’, ‘খাই’ ইত্যাদি পরিচিত ক্রিয়াপদ ব্যতীত বৈচিত্র্যময় ক্রিয়াপদের সংখ্যা নেই বললেই চলে এবং কিছু স্বরের পুনঃপুন অনুকরন করে ।
    ৫)সমবয়সীদের সাথে অন্তরঙ্গ হতে সমস্যা।প্রতীকি খেলা এবং অর্থবহ খেলা খেলতে অসামর্থ্য।
    ৬)শিশুরা বয়স বারার সাথে সাথে শব্দাবলী ও বিভিন্ন ভাষিক উপাদান আয়ত্ত করে তখন এসব ভাষাগত উপাদানের সাহায্যে সে পরিবার সমবয়সী শিক্ষক ও সমাজের অন্যান্য সবার সঙ্গে যোগাযোগের যোগ্যতা অর্জন করে । যোগাযোগের এই যোগ্যতার সারকথা হচ্ছে বিভিন্ন সমাজিক প্রতিবেশে ভাষা বিচিত্র ভাষিক উপাদানের সঠিক ও কৌশলগত ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করা। মানুষ সামাজিক প্রয়োজনে ভাষা ব্যবহার করতে শিখলেও কিছু কিছু সামাজিক ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের জন্য যোগাযোগের যোগ্যতার আবশ্যকতা রয়েছে। বিশেষ করে প্রশ্ন করতে শেখা, কাউকে অনুরোধ বা আদেশ করা কিছু প্রত্যাখান করা, অসম্মতি প্রকাশ, ক্ষমা চাওয়া, প্রশংসা করা, নমনীয়তার গুন অর্জন করা ইত্যাদি আরো অনেক সামাজিক দক্ষতা যা যোগাযোগে তাৎপর্য পূর্ন ভ’মিকা পালন করে। নির্দিষ্ট পরিবেশ বা প্রতিবেশ অনুযায়ী ভাষা ব্যবহারের এই দক্ষতাকে প্রায়োগিক দক্ষতা নামেও অভিহিত করা হয়। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুদের মধ্যে প্রায়োগিক দক্ষতার তাৎপর্যপূর্ণভাবে সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয় ।
    ৭) অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুর ভাষার যৌথ মনোযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করে অনের মনোগত অবস্থাকে যেমন বুঝতে পারে না তেমনিভাবে নিজের মনোগত অবস্থাকে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে না অথবা বিলম্ব ঘটে। এর ফলে অটিষ্টিক শিশুদের মধ্যে কিছু অকার্যকর বা অনুপোযোগী আচরণ যেমন- বার বার একই আচরণের পুনরাবৃত্তি, আত্মঘাতমূলক, আগ্রাসনমূলক এবং ধ্বংসাত্মক আচরণ পরিলক্ষিত হয়।
    অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের ভাষাবিকাশ ও প্রকাশে লক্ষনীয় সীমাবদ্ধতার কারনে আচরণগত সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। যা তার দৈনন্দিন জীবন প্রবাহে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। এই ধরনের সমস্যা একটি শিশুর নির্বাহী নিয়ন্ত্রনের সক্ষমতা থেকে শুরু করে তার সামাজিক দক্ষতা ও বুদ্ধিদীপ্ততার সার্বিক বিচ্যুতি বা বিকার পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে। আর তার মাত্রাভেদ হয়ে থাকে ভিন্ন ভিন্ন। যা নির্ভর করে একটি শিশুর ভাষা আয়ত্ত¡করনের উপাত্তগুলো, অর্থাৎ-ধ্বনি, শব্দ, বাক্য ও অর্থ তার উপর। কারন এই উপাত্তগুলো নিয়ে একটি শিশুর জন্মগ্রহন করলেই হবে না উপাত্তগুলোকে বিশ্বব্যাকরনের ধারনা কার্যে উপযোগী করতে হবে আর তা করতে হলে একটি শিশুকে পারিপার্শ্বিক উপাত্ত হতে “ইনপুট” প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপাত্তগুলোকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক ভাবসত্তা ও বস্তুসত্তা চিনে তা তার নিজের প্রজ্ঞান কাঠামোতে ধারন করতে হবে আর এই সহজাত কার্যটি একটি অটিস্টিক শিশুর মধ্যে অবর্তমান থাকে।কোন শিশুর চিকিৎসা শুরুর পূর্বে প্রয়োজন রোগ নির্নয়। অর্থাৎ শিশুটি অটিস্টিক কিনা তা নির্নয় করতে হবে এবং স্পীচ ল্যাংগুয়েজ থেরাপী নেওয়ার উপযোগী কিনা অর্থাৎ হাইপার একটিভিটি আছে কিনা সেটাও নির্নয় করতে হবে। আর তা নির্নয় করবেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রয়োজনে ঔষধ ও প্রদান করবেন।একজন চিকিৎসা ভাষাবিদ্, একটি শিশুর মধ্যে ভাষার উপাত্তগুলোর মধ্যে কোনটি কতটুকু আক্রান্ত হয়েছে তা খুজে বের করেন এবং সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে থাকেন, যাকে বলা হয় “স্পীচ ল্যাংগুয়েজ থেরাপী”। যত তাড়াতাড়ি একটি শিশুর এই উপাত্তগুলোকে খুজে বের করে চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে তত তাড়াতাড়ি একটি শিশুর আচরনগত অবস্থার উন্নতি হবে। কারন বয়স বাড়ার সাথে এই উপাত্তগুলোর কার্যক্ষমতা প্রজ্ঞা কাঠামোতে ধারনের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
    আমাদের উদ্দেশ্য একটি অটিস্টিক শিশুকে “অর্থবহ জীবন” প্রদান করা। যাতে সে পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বোঝা না হয়ে যায়।

    অটিজম
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleকোভিড ১৯: প্যারেন্টিং গাইডলাইন
    Next Article করোনায় চিকিৎসকদের মানসিক চাপে ভোগার সম্ভাবনা :অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম
    ডা. ফাহমিদা ফেরদৌস

    চিকিৎসা ভাষাবিদ এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক (মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ) জেড,এইচ, সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

    Related Posts

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    July 1, 2025

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    May 4, 2025

    পরার্থপরতায় সমাজের উন্নতি

    April 30, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025259 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025173 Views

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 202155 Views

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    May 4, 202528 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম July 2, 2025

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    বিশ্বব্যাপী মনোরোগ চিকিৎসার অগ্রগতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ, বাংলাদেশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমাইয়া বিনতে জলিল…

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.