স্কুল-কলেজ পর্যায়ে শতকরা ৬ ভাগ ছাত্র মাদকাসক্ত

0
143

শিশু বিকাশ জনিত মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা সমাধান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘শিশু বিকাশ ও আগামী প্রজন্ম’র এবারের বিষয়- ‘মাদকাসক্তি (পর্ব-১)’। ২৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত ১০ টায় মনের খবর টিভিতে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে। এই বিষয়ে কথা বলতে উপস্থিত থাকবেন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ  অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল. (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ডা. সুস্মিতা সরকার।

শিশু-কিশোরদের মাদকসেবনের পেছনে নানা ধরনের ফ্যাক্টর থাকতে পারে। প্রথমবার শিশু-কিশোররা মাদকের সঙ্গে পরিচিত হয় সাধারণত কোনো সোশ্যাল সেটিংসে, যেখানে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা রয়েছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ শিশু-কিশোরের মাদকসেবনে হাতেখড়ি ঘটে সাধারণত স্কুলে কিংবা পাড়া-মহল্লায় সমবয়সী বন্ধু-বান্ধবের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে।

চলতি বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টার বিভাগের বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘মাদকাসক্তি সমস্যা বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয় যে, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে শতকরা ৬ ভাগ ছাত্র মাদকাসক্ত এবং কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও মাদকাসক্তির প্রবণতা বেড়ে চলেছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্যের সঙ্গে প্রথম পরিচয় প্রধানত হয়ে থাকে সাধারণত ধূমপানের মাধ্যমে, কেননা সিগারেট এদেশে অত্যন্ত সহজলভ্য, এবং শিশু-কিশোররাও বড়দের নাম করে খুব সহজেই দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে পারে।

সিগারেট খাওয়াকে অনেকে মাদকাসক্তি হিসেবে স্বীকার করতে না চাইলেও, এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মাদকাসক্তদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগই ধূমপায়ী। অবস্থাটা এমন যে, অন্য কোনো মাদকের প্রতি আকৃষ্ট না হলেও সিগারেটের মাধ্যমে ধূমপান করে থাকে অনেকে, এবং যারা অন্যান্য মাদকসেবন করে, তারা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই ধূমপায়ী হয়ে থাকে। তাই কেউ যদি ধূমপায়ী হয়, তাহলে একজন অধূমপায়ীর চেয়ে তার অন্যান্য মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

শিশু-কিশোরদের নিয়মিত ধূমপান বা অন্যান্য মাদকসেবন হতে পারে মূলত অনিরাপত্তাবোধ থেকে, কিংবা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা লাভের আকাঙ্ক্ষার ফলে। অনেকে মাদকসেবনকে ‘বয়সের দোষ’ হিসেবেও অভিহিত করে থাকে। আদতেই, এই বয়সে শিশু-কিশোররা হয় অনেক বেশি বেপরোয়া, এবং যেকোনো কাজে তারা পরিণামের কথা চিন্তা না করেই অংশগ্রহণ করে ফেলে। এই অপরিণামদর্শিতাই শিশু-কিশোরদের মাদকের অপব্যবহারের দিকে ঠেলে দেয়।

দেশ জুড়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে পরামর্শ পেতে আপনিও যুক্ত হতে পারেন। চোখ রাখতে হবে মনের খবর টিভির ফেসবুক https://www.facebook.com/monerkhabortv/live/ ও ইউটিউবের https://www.youtube.com/channel/UCXd-n7yDt4q_DB6YzLQZF7A মাধ্যমে।

পালিম্যাক্স ইআর, সিটালাম, কিউম্যাক্স এবং ট্রিকাল্ম এর সৌজন্যে অনুষ্ঠানটির সায়েন্টিফিক এসিআই লিমিটেড। মিডিয়া পার্টনার মনের খবর টিভি।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

 

Previous articleশিশুদের প্যানিক ডিজঅর্ডারঃ অভিভাবকের করণীয়
Next articleমানসিক যন্ত্রণার চূড়ান্ত পর্যায় সন্দেহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here