শীতকালের সাথে মানসিক ভারসম্যহীনতার কোন সম্পর্ক আছে?

0
527
ফেইল করার ভয়ে পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিই

[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”black” css=”.vc_custom_1609045076880{border-radius: 35px !important;}”]আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা,দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আমাদের আজকের প্রশ্ন পাঠিয়েছেন – শারমীন (ছদ্মনাম)-[/vc_message]
[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”sky” icon_fontawesome=”fas fa-question” css=”.vc_custom_1609045095485{border-radius: 35px !important;}”]আমার এক নিকট আত্মীয় বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় এক-দুই মাস মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলে। এবং সেটা শীতকালের দিকে বেশি হয়। এসময়ে তাকে বন্দী করে না রাখলে গালাগালি, মারামারি করে। সে লেখপড়া না জানলেও ওই সময়ে ইংরেজি ও আরবীতে কথা বলে যার বেশিরভাগই সঠিক। কিন্তু আপনাআপনি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ওই সময়ের কথা উনি আর কিছু মনে করতে পারেন না। ওনার মা এবং নানীরও একই সমস্যা ছিল। আমার প্রশ্ন হল- মানসিক সমস্যা কি বংশগত হয়? শীতকালের সাথে ভারসম্যহীনতার কি সম্পর্ক আর উনি ওই সময়ে কিভাবে শুদ্ধ ইংরজি ও আরবী বলতে পারেন?[/vc_message][vc_message style=”square” message_box_color=”white” icon_fontawesome=”fas fa-envelope-open-text” css=”.vc_custom_1609045336791{border-radius: 35px !important;}”]সব মানসিক রোগের ক্ষেত্রে না হলেও কিছুকিছু রোগের ক্ষেত্রে বংশগতির প্রভাব আছে। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আপানার আত্মীয় ‘ বাইপোলার ডিজঅর্ডার’ রোগে ভুগছেন। এই রোগটির দুটি দিক থাকে। এক সময় বেশ উত্তেজিত থাকে, প্রচুর কথা বলে, শক্তি বেড়ে যায়, নিজেকে অনেক বড় মনে করে, ঘুম দরকার নাই, খাওয়া দরকার নাই, মানুষের জন্য সব করবে, সব দিয়ে দিবে এমন একটা ব্যাপার হয়। এই অবস্থাকে বলে – ‘ম্যানিক অবস্থা’। ম্যানিক এই অবস্থা ফিরে ফিরে আসতে পারে। প্রতিবছর হতে পারে, বছরে কয়েকবারও হতে পারে আবার কয়েক বছর পরপরও হতে পারে। শীতের সময় বা গরমের সময় হবে এমন নির্দিষ্ট কোনো কথা নেই। গবেষণায় এবিষয়ে সঠিক তেমন কোনো তথ্য প্রমান মেলেনি। তবে পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন অভিযোগ আছে যে, শীতে বা গরমে বা বসন্তে ম্যানিক অবস্থা ফিরে আসে। ইলেটেড বা এক্সপানসিভ মুড বলতে কিছু কথা আছে। যেখানে মন অনেক উৎফুল্ল বা উত্তেজিত থাকে এবং তখন তারা ইংরেজি, আরবী বা নিজের গুরুত্ব বাড়ানো যায় এমন করে কথা বলেন। তবে সেটা তার জানার ভিতরই হবে। অজানা বিষয় বা না জানা বিষয়ে নির্ভুল ভাবে বলবেন না। শুদ্ধ ভাবে না জানা থাকলে তখন নির্ভুল ভাবে বলতে পারার কথা নয়।

এই রোগেরই আর একটি দিক হল বিষণ্ণতা। সেটাও চিকিৎসা না করালে কয়েক মাস থাকতে পারে। বিষণ্ণ অবস্থায় উল্টোটা হয়, কথা বলেনা, চুপচাপ থাকে, কিছুই ভালো লাগেনা, এমনকি মরে যেতে মন চায়।

বাইপোলার রোগের একটা দিক হলো চিকিৎসা না করালেও একসময় এমনিতেই ভালো হতে পারে। কিন্তু ভোগান্তি হয় অনেক। সুতরাং বেঁধে না রেখে দ্রুত চিকিৎসার ব্যাবস্থা নিন বা নিতে বলেন। তাতে এতো জটিল আকার ধারণ করবেনা। এইরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ভালো ফল দেয়। আপানার আত্মীয়কে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখান। আরো ভালো করে বোঝার জন্য নিচে এই রোগ নিয়ে লেখা একটি লিংক দেয়া হলো ।

লিংক: https://monerkhabor.com/featured/2016/10/08/7608/[/vc_message]

ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব

চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর।

Previous articleসন্দেহপ্রবণ মানুষের আয়ু কম হয়: গবেষণা
Next articleশৈশবে মানসিক আঘাতপ্রাপ্তরা বেশি সহানুভূতিশীল হন:গবেষণা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here