শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা ও বিশেষ ঝুঁকিতে থাকা যৌনপল্লি কিংবা পথে বসবাসরত শিশুদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা ও বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধিরা এসব সুপারিশ উপস্থাপন করেন। জাতীয় বাজেট (২০১৯-২০) সামনে রেখে শিশু সুরক্ষা ও উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি এসব সুপারিশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর জাতীয় বাজেট ঘোষণা হয়েছিল এমন পরিস্থিতিতে, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবঞ্চিত ৫৫ লাখ শিশু, শিক্ষার নিম্নমান, শিশুদের উচ্চ মৃত্যুহার, প্রতিবন্ধী শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক সেবাগুলো না পাওয়া, শিশুর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা প্রভৃতি সমস্যা বিরাজমান। বাজেটে এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগও প্রতিফলিত হয়েছিল। যেমন স্কুলের জন্য বরাদ্দ, প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো তৈরি, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো প্রভৃতি। তবে একই সঙ্গে দেখা গেছে, সামাজিক সুরক্ষা খাতে সামগ্রিকভাবে অপ্রতুল বরাদ্দ, যার মধ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ সামগ্রিক বাজেটের অংশ হিসেবে কমে যাওয়াটা উদ্বেগজনক।
প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, শিশু অধিকারের প্রেক্ষাপট এই এক বছরে তেমন বদলায়নি। তবে এ পরিস্থিতি উন্নয়নে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যা গতবারের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আসন্ন জাতীয় বাজেটে থাকা চাই সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও দিকনির্দেশনা।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের সুপারিশ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের উপপরিচালক, গভর্ন্যান্স ও পাবলিক ফাইন্যান্স আশিক ইকবাল। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের পরিচালক আবদুল্লা আল মামুন, সিনিয়র ম্যানেজার খালেদা আকতার, ম্যানেজার সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি রাশেদা আক্তার, ম্যানেজার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি শেখ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।