সমস্যা: আমার নাম ফারজানা বেগম। বয়স ৩৫ বছর। গৃহিনী। আমার সমস্যা হলো ভুলে যাওয়া , আমি কিছুই মনে রাখতে পারি না। কোনো কিছু করলে সেটা খেয়াল থাকে না। কোনো জিনিস জায়গা মতোই রাখি কিন্তু কোথায় রাখছি তা মনে করতে পারি না। এমনকি চুলায় রান্না বসালেও আমি ভুলে যাই। এভাবে প্রায়ই ভাত তরকারি পুড়ে যায়। দিন দিন আমার ভুলে যাওয়া সমস্যা বেড়েই যাচ্ছে। একারণে সংসারে অশান্তি লেগে আছে। এখন আমি কী করলে এই ভুলে যাওয়া থেকে মুক্তি পাব। আমি আপনাদের কাছে সু-পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি।
পরার্মশ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মহাদেব চন্দ্র মন্ডল : আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। শুধু দুটো তথ্য দিয়েছেন। একটা বয়স ৩৫ বছর এবং সমস্যা একটি তা হলো কিছুই মনে রাখতে পারেন না। এরসঙ্গে আরো কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন। যেমন কতদিন ধরে মনে রাখতে পারেন না? ছোটবেলা থেকে এই সমস্যা আছে কিনা? সংসারে অশান্তির কারণে টেনশনে আছেন কিনা? আপনার অ্যাংজাইটি বা বিষণ্ণতা আছে কিনা? কোনো মাদক ব্যবহার করেন কিনা? একই সময়ে একাধিক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন কিনা? ছেলেমেয়ে কত জন? পরিবারে বা বংশে এরকম সমস্যা কারো আছে কিনা? প্রতিটা প্রশ্নের সাথেই এই সমস্যা জড়িত থাকতে পারে। এজন্য এগুলো জানা প্রয়োজন।
যা হোক আপনার এই বয়সে নিম্নলিখিত যে কোনোটা হতে পারে। যেমন : Stress,Anxiety, Depression, Substance Abuse, Vitamin Deficiency (Like Vit
B1, B12, Folate), Hypothyroidism, Side effects of medicine, (Sedatives anticonvulsant, Anti psychotics, Tranquilizers) Any physical head injury, Trauma, Stock, Brain tumor, Infection, (Urinary Respiratory tract infection) etc.উক্ত সমস্যাগুলোর যেকোনোটায় ভুগতে পারেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন Elaborate history taking, assessment, physical, & psychological examination, investigation, then diagnosis. চিকিৎসা হবে রোগ নির্ণয় অনুযায়ী এবং অনুরূপ সু-পরামর্শ। তবে আপনার জন্য ভালো হবে এই লাইনের অভিজ্ঞ একজন ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা অর্থাৎ মনোচিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া। তিনি আপনার সমস্যা অনুযায়ী পরামর্শ এবং চিকিৎসা দেবেন।
স্যার, আমি লিটন সরকার। বয়স ২৫ বছর। আমি একজন ছাত্র। সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে বিএসসি করছি।
আমার প্রথম যেটা হয়, ২০১৭ সালের মাঝের দিকে একদিন বিকালে প্রচুর খাড়াপ লাগতে শুরু করে। এতটাই খাড়াপ লাগতে শুরু করে যে আমি দাড়িয়ে পর্যন্ত থাকতে পারছিলামনা। আমার হাত-পায়ে কোন বল-শক্তি পাচ্ছিলামনা এবং ছিলওনা। তখন আমি বিছানায় শুয়ে পড়ি। আমার হাত-পা ঘামতে শুরু করে। মাথার ভিতরে ঝিম-ঝিম শুরু হয় এমন মনে হয় যেন স্ট্রোক করে ফেলব। গলা শুকিয়ে যায়। চোখ দেখা যাচ্ছিলোনা কারন চোখে শুধু রক্ত আর রক্ত উঠেছিল। আমি শুধু জল খেতে থাকি আর অনেক ভয় পেয়ে যাই চোখের এত রক্ত ওঠা দেখে। বুকের ভিতর ধড়ফড় শুরু করে, আর এতটাই খাড়াপ লাগতে থাকে মনে হয় আমি স্ট্রোক করব আর বোধ হয় বাঁচব না। তবে সে দিন ঈশ্বরের কৃপায় বেঁচে যাই। আর সেই থেকেই শুরু হয় আমার শরীরের সমস্যা। তার পরের থেকে বুক শুধু ধড়ফড় করে, মাথা সবসময় মনে হয় পাথর হয়ে থাকে অর্থাৎ প্রচন্ড ধরে থাকে। ঘাড়ে সবসময় ব্যাথা অনুভব হয়। শুধু মৃত্যুভয় মনের ভিতর দেখা দেয়। এমনকি কোন মৃত্যুর খবর পর্যন্ত শুনতে পারিনা। রক্তের চাপ সবসময় অনেক বেশি থাকে।১৪০/১০০ মাঝে মাঝে তো ১৬০/১০০ হইতো। এরপর আমি প্রথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর একজন কার্ডিওলজি ডাক্তার দেখাই ডাক্তার অনেক পরিক্ষা করার পর কোন সমস্যা পায়না, কিন্তু ঔষধ দেয় খেয়েও কোন কাজে আসেনা। কিছুদিনপর অন্য একজন কার্ডিওলজি দেখাই কিন্তু একই অবস্তা। তখন আমার ডাক্তার পালাটানো একটা নেশা হয়ে ওঠে। এরপর আমি একজন নিউরোলজিস্ট এর কাছে যাই অনেক পরিক্ষা করার পর কোন সমস্যা ধরাপরে না। এভাবে অনেক দিন ঔষধ খেতে থাকি কিন্তু সম্যার কোন পরিবর্তন নেই। ছয় মাস পরে আমি সাইক্রিয়েটি একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বলি পরে তিনি সব শোনার পর ঔষধ দেয় সেই ঔষধ খেয়ে এখন ভাল আছি। তবে ঔষধ বন্ধ করলে আবার সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
এখন এটার কি কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই।
আমি যে ঔষধ খাচ্ছিলাম,
Repose 100 mg
1+0+0
Clonatil 0.5
0+0+1
Sergel 20
1+0+1