গবেষণারসহ-লেখক হোজে মোরা-আলমানজা, যিনি কানাডার কোয়ান্টলেন পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটিতে এই গবেষণার কাজ করেছেন, তিনি বলেন, “আমাদের গবেষণাটি ‘বডি কম্পোজিশন মেজারস’ সম্পর্কীত গবেষণার ফলাফলের কিছু অংশের ব্যাখ্যা দেয়। শরীরের মোট চর্বির পরিমাণ ৩৬ শতাংশের বেশি হয়ে গেলে, মানসিক অস্বস্তিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রায় ৭০ শতাংশ।”
গবেষকরা বলেন, “শরীরে চর্বির মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সম্পর্ক আছে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কারও। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক অস্বস্তি আর সংক্রামক রোগের মধ্যেও সম্পর্ক থাকতে পারে। অপরদিকে আমাদের আরেক গবেষণায় জানতে পেরেছি মানসিক অস্বস্তিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় নারীদেরই বেশি।”
এই গবেষণায় ‘কানাডিয়া্ন লংজিটিউডেনল স্টাডি অফ এইজিং’ নামক গবেষণার তথ্য নিয়ে কাজ করেন গবেষকরা। যাতে অংশ নিয়েছিলেন ৪৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সি ২৬,৯৯১ জন নারী ও পুরুষ।
খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক গঠনের পাশাপাশি লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, উপার্যনের মাত্রা, নাগরিকত্বের অবস্থা, বিভিন্ন স্বাস্থ্য-সমস্যা ইত্যাদি মানসিক অস্বস্তিকে প্রভাবিত করে।
প্রতি ১৫ জন পুরুষের মধ্যে একজন মানসিক অস্বস্তিতে আক্রান্ত। অন্যদিকে প্রতি নয়জন নারীর মধ্যে একজন মানসিক অস্বস্তিতে ভুগছেন তীব্র মাত্রায়। আবার যারা একা জীবনযাপন করছেন তাদের ১৩.৯ শতাংশ মানসিক অস্বস্তিতে আক্রান্ত। তবে যারা সঙ্গীর সঙ্গে জীবন পার করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা মাত্র ৭.৮ শতাংশ।
মাসিক আয়ের মাত্রা যাদের কম তাদের মধ্যে মানসিক অস্বস্তিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা সচ্ছল ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি।
এই গবেষণার আরেক সহ-লেখক, কানাডার ম্যাকইওয়ান ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক হংমেই টং বলেন,“দরিদ্রদের মাঝে মানসিক অস্বস্তির উচ্চমাত্রা দেখে আমরা অবাক হইনি। জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতেই যাদের হিমশিম খেতে হয় তাদের মানসিক চাপে থাকাটাই স্বাভাবিক।”