আমাদের অনেকের বাসাতেই কুকুর,বিড়াল সহ বিভিন্ন পোষ্য রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যাদের বাসায় পোষ্য রয়েছে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অন্যান্যদের তুলনার অধিক সুস্থ থাকেন।
বাসায় ফিরে আপনার প্রিয় পোষ্য কুকুরের স্বাদর অভ্যর্থনা কিংবা বিড়ালের আদর মাখা ডাক, আপনার সারা দিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে আপনার মনকে প্রফুল্ল করে দেবে যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কুকুর, বিড়াল, পাখি এমনকি গিনিপিগ লালনপালন করেন এমন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা তাদের পোষ্যকে খুবই ভালবাসেন এবং তাদের পোষ্যও তাদেরকে অত্যন্ত ভালবাসে। বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন গবেষণায়ও দেখা গেছে যে পোষ্য তার হোস্টকে অত্যন্ত ভালবাসে এবং তাদের উপস্থিতি হোস্টের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে।
পোষ্য থাকলে মানুষ যে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে এর পেছনে শুধু মনস্তাত্ত্বিক নয়,বরং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোষ্যের সাথে ভাব বিনিময় রক্ত চাপ কমাতে সহায়তা করে, হৃদস্পন্দণের হার কমায়, এবং শরীরে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন যেমন, করটিসল এবং ডোপামিনের মত হরমোনের কাজের উপর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।
পোষ্য তার হোস্টকে নিঃশর্ত ভালবাসা প্রদান করে। পোষ্যের সাথে যোগাযোগ একজন মানুষের শরীরে অক্সিটোসিন নাম হরমোনের মাত্রা বাড়ায় যা “ভালবাসার হরমোন” নামে সুপরিচিত। অক্সিটোসিন মানুষের মাঝে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং মানসিক চাপ এবং উদ্বিগ্নতা দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই হরমোন মানুষের মাঝে সহনশীলতা বৃদ্ধিতে সহয়তা করে।
সম্পর্কের মাঝে সহনশীলতার অভাব, সামাজিক দূরত্ব এবং একাকীত্ব মানুষের দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা এবং, মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে। যদিও পোষ্য কখনো মানুষের স্থান পূরণ করতে পারেনা, তবুও তাদের অসীম এবং নিঃস্বার্থ ভালবাসা এবং বিশ্বস্ততা একজন মানুষের জীবনে যথার্থ সঙ্গীর মত পাশে থাকে, মনস্তাত্বিক যোগাযোগ বাড়াতে সহায়তা করে এবং জীবনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়। এই অনুভূতিগুলো একজন মানুষের মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এবং একাকীত্ব লাঘবে ভূমিকা রাখে।
তাই বলা যায়, পোষ্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে পোষ্য নেই এমন মানুষের তুলনায় একজন পোষ্য আছে এমন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য অধিক ভাল থাকে এবং তারা দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, এবং মানসিক অবসাদ থেকে দূরে থাকে। তাই বাসায় পোষ্য রাখলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি অন্যদের তুলনায় অধিক ভাল সময় পার করবেন এবং একটি তুলনামূলক কম মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এবং উদ্বিগ্নতা মুক্ত জীবন উপভোগ করতে পারবেন।
সূত্র: https://www.psychologytoday.com/us/blog/the-parenting-paradox-aligning-values-the-drive-achieve/202006/the-health-benefits-pet-love অনুবাদ করেছেন: প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন