গুরুত্বপূর্ণ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে কোভিড ১৯ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি

কোভিড ১৯ এবং মানসিক স্বাস্থ্য” বিষয়ক কমিটি
কোভিড ১৯ এবং মানসিক স্বাস্থ্য” বিষয়ক কমিটি

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় ঠিক করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক গঠিত কোভিড ১৯ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি বেশ কিছু নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
গতকাল (১ জুলাই) কমিটির সভায় এসকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানান  কোভিড ১৯ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউ এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খান।
কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে কোভিড ১৯ পজেটিভ রোগীদের ডায়গনসিস চলছে এরকম হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলিতে করোনা আক্রান্তদেরকে মানসিকভাবে শক্তিশালী রাখার জন্য সাইকোসোশ্যাল এবং মেন্টাল হেলথ কাওন্সেলিং সেশন রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে মনের খবরকে জানান ডা. খান।
এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য করোনা ডেটিকেটেড হাসপাতাল ক্লিনিকগুলিতে যখন রোগীদের পজেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয় সেসময়ে চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন কাওন্সেলর উপস্থিত থেকে রোগীদেরকে সরাসরি কাওন্সেলিং করানো, অডিও বার্তার মাধ্যমে তাদেরকে মানসিক ‍সুস্থতার নির্দেশনা প্রদান এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসকদের যে টিম করোনা মোবাইলে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ফলোআপ করে থাকেন; তাদের মাধ্যমেও এই সব রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে মতামত তুলে ধরা হয় বলে জানান ডা. খান।

 কোভিড ১৯ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি কমিটির সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • লকডাউনের আগে এবং পরে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের মানসিক অবস্থার কি ধরনের পরিবর্তন ঘটে সেবিষয়ে একটি গবেষণা বাস্তবায়ন।
  • স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অংশহগ্রহণে সাধারণ মানুষের জন্য অনলাইনে নিয়মিত লাইভ পরমার্শ সভার আয়োজ্ন।
  • করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মানসিক সুস্থ সুরক্ষায় এ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন।
  • টেলিভিশন ও রেডিও‘তে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বার্তা প্রচার।

এই কমিটির উপদেষ্টা এবং করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল ভিডিও বার্তা তৈরি করে দিবেন এবং তিনি ইমোশন ফোকাসড মেথড এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যক্তিগত ও টেকিনিক্যাল সমস্যা সমাধানের পরমার্শ দিয়েছেন বলে জানান ডা. খান।
এছাড়া রেজিষ্টার্ড সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোলজিস্টদের বাইরে ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান বা অদক্ষ সাইকোলজিস্টদের কাছ থেকে কাওন্সেলিং গ্রহণ না করতে জনসাধারণকে সচতেন করার বিষয়টি নিয়ে কমিটির সদস্যারা আলোচনা করেন। এবং  গুরুতর মানসিক রোগীদের কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে তাদের কিভাবে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা যায় সেবিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খান।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

Previous articleকরোনার আঘাতে পরিবর্তিত সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ
Next articleজুলাইয়ে প্রথম দুইদিনে ৪ জন’সহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে ৬০ চিকিৎসকের মৃত্যু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here