আমাদের দেশে জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। এই জনগোষ্ঠির প্রায় ১৬.১ শতাংশ লোক মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি বেসরকারি মিলে সাড়ে তিনশ’র মত ক্লিনিক্যিাল সাইকোলজিস্ট রয়েছে। যেটা অপর্যাপ্ত। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি কোন নীতিমালা এখনও আমাদের দেশে নেই। যে যার ইচ্ছামত কাজ করে যাচ্ছে। ইদানিং বেশ কিছূ সেরকারি প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে যারা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়ে সেবা ও পাঠদান করাচ্ছে। এসব কিছুর জন্য একটা নীতিমালা থাকা প্রয়োজন্। বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এবিষয়ক আইনের জন্য একটা খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অচিরেই এটি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে আইন হিসেবে প্রণয়নের জন্য পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির এর কার্যনির্বাহি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিশেষ্জ্ঞ ডা. জহির উদ্দিন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি এর কার্যনির্বাহি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিউট এর সহকারি অধ্যাপক ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিশেষ্জ্ঞ ডা. জহির উদ্দিন।
নতুন এ দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি মনের খবরকে বলেন, এটা আসলে খুব বড় একটা দায়িত্ব। আমি চেষ্টা করব বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির কাজকে আরো গতিশীল করার যাতে করে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আরো বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে।
সংগঠনের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা মানুষকে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করি। এবিষয়ে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি চালু রয়েছে। আমাদের একটি কর্মসূচি রয়েছে যেখানে আমরা প্রফেশনাল মেন্টাল সাপোর্ট দিয়ে থাকি।
দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির যেসমস্ত কর্মসুচি রয়েছে সেগুলোকে চালিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে আরো নতুন কিছু করার ইচ্ছা রয়েছে যাতে করে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়টি আরো বেশি সুসংগঠিত হয় বলেও জানান তিনি।