এবার বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার কথা বললেন ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। অ্যাডিলেডে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ক্রিকেটারদের মনোবিদের সহযোগীতার কথা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের এক সময়ের এই সফল প্রধান কোচ।
এর আগে ‘বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন কিংবদন্তি পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরাম।
সংশ্লিষ্ট সংবাদ
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মনোবিদ দেখানো দরকার : ওয়াসিম আকরাম
জেমি সিডন্স বলেছেন, আমাদের খেলোয়াড়রার চাপের কাছে হেরে যায়। এই সমস্যাটা শুধু কোচিং করিয়ে দূর করা যাবে না। এরজন্য মানসিকতা অনেক বড় ব্যাপার। ভালো ফলাফলের জন্য মানসিকতার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রেলিয়ান এ কোচ বলেন, আমাদের বিশ্বকাপ মিশন যেভাবে শেষ হয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট নই। তবে আমি বোলিং নিয়ে খুশি। আমরা দেখালাম আমাদের ম্যাচ জেতানোর মতো একটা বোলিং আক্রমণ আছে। যেটার অভাব রয়ে গেছে, সেটা ব্যাটিংয়ে। আমরা যেভাবে ভেঙে পড়েছি, তা ভালো লাগেনি। আমি মনে করি না এটা টেকনিক বা দক্ষতার অভাবে হয়েছে। এটা হয়েছে শুধু চাপের কারণে। ম্যাচ জেতার চাপ।
- ‘এই চাপ থেকে বের হতে মানসিক সাপোর্ট দরকার। মনোবিদের সহযোগীতা নিয়েই এই চাপ মোকাবেলা সম্ভব। যখন আমাদের চার হলেও চলে, তখন ওরা ছয় মারতে গেছে। ম্যাচ জেতার অতিরিক্ত চাপ থেকে এমনটা হয়েছে। ছোট ছোট সব ভুলে আমরা হেরে গেছি। প্রয়োজনের সময় চাপ মোকাবেলার জন্য মানসিক দৃঢ়তা দরকার’ বলেন সিডন্স।
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আলোচিত নানা ঘটনা সম্পর্কে সিডন্স বলেন, ভারতের সাথে বৃষ্টির আগে এবং পরেও যে পরিস্থিতি ছিল তাতে সেদিন আমাদেরই জেতা উচিত ছিল। খুব বাজেভাবে লিটন রানআউট হলো। সে–ই পারত ম্যাচ বের করে নিতে। কিন্তু তার এই আউট হওয়াটা অন্যদের ওপর প্রভাব ফেলে। পরবর্তীরা এসে চাপের কাছে হেরে যায়। ফলে সহজ ম্যাচ আমাদের হাত থেকে বের হয়ে যায়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিবের আউটটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল উল্লেখ্য করে সিডন্স বলেন, টেলিভিশন রিপ্লেতেও দেখা গেছে। সেদিন সবাই বলেছে কোনোভাবেই ওটা আউট ছিল না। তারপরও তাকে আউট দেওয়া হয়েছে। সাকিবের ওই অনাকাঙ্খিত ঘটনাই দলকে পিছিয়ে দিয়েছে। এরপর আমরা আর সংগঠিত হতে পারিনি। তরুণ খেলোয়াড়েরা এসে চাপ নিয়ে নেয় আর হুড়মুড় করে উইকেট বিলিয়ে দেয়।
তাছাড়া এবার গোটা সিরিজে সাকিবের রান না করা দলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এবার আসলেই ও কিছু করতে পারেনি। এটা দল এবং তার জন্যও হতাশার।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ দলের সঙ্গেই জেমি সিডন্স অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে অ্যাডিলেডে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন সমাপ্ত হলে অ্যাডিলেডে নিজের বাড়িতে ছুটিতে থেকে যান সিডন্স। সেখানেই বাংলাদেশী গণমাধ্যম প্রথম আলোকে সাক্ষাতকার দেন জেমি সিডন্স।
/এসএস/মনেরখবর/