হ্যাপিনেস বা সুখ বলতে মানসিক সুস্থতার একটি অবস্থাকে বোঝায় যা একজন ব্যক্তি অনুভব করেন, যখন একটি নির্দিষ্ট মুহুর্তে ভালো জিনিস ঘটে। এটিকে উপলব্ধি করা যায় একজনের জীবন এবং সামগ্রিক অর্জনের ইতিবাচক মূল্যায়ন হিসাবে।
আমরা যখন নিজেকে সুখী মনে করি বা সুখী হিসেবে উপলব্ধি করি, তখন আমাদের চিন্তা চেতনায় ইতিবাচক বা পজিটিভ প্রভাব ফেলে। যা মানবজীবন সার্থক এবং সুখী করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
জীবনে ইতিবাচক চিন্তা ছড়িয়ে সুখময় জীবন গঠনের লক্ষে যৌথভাবে ‘পজিটিভিটি এন্ড হ্যাপিনেস’ ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে আঁচল ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অপটিমিস্টিক সোসাইটি (DUOS)।
ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের জন্য আজই রেজিস্ট্রেশনের শেষদিন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনভর রেজিস্ট্রশন চলবে ঢাবির কলাভবনস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে।
এছাড়া ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওয়ার্কশপের কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসিন।
তানসিন বলেন, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক চিন্তাভাবনাগুরুত্বপূর্ণ। কেনন, ইতিবাচক চিন্তা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকলে স্ট্রেসের সাথে আরো ভালভাবে মোকাবেলা করা যায়।
তিনি বলেন, সুখ এবং ইতিবাচক চিন্তা একটির সাথে অপরটি সম্পৃক্ত। এজন্যই আমাদের এবারে আয়োজিত ওয়ার্কশপের বিষয় হচ্ছে ‘পজিটিভিটি এন্ড হ্যাপিনেস।’
‘পজিটিভিটি এন্ড হ্যাপিনেস’ ওয়ার্কশপের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অপটিমিস্টিক সোসাইটি (DUOS) এর প্রতিষ্ঠাতা মাহিন রহমান। তিনে বলেন, এই ওয়ার্কশপ অংশগ্রহণকারীকে আত্মবিশ্বাসী, সাহসী, পরিশ্রমী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও ব্যক্তি নিজের ইমিউনিটি সিস্টেমকে বিল্ডআপ করে ব্যক্তিত্ত্বের অধিকারী হতে পারবেন।
তিনি বলেন, এ ধরণের ওয়ার্কশপ মানসিক দক্ষতা বাড়িয়ে স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে। জীবনে লক্ষ অর্জন এবং ব্যক্তিগত জীবনে সুখী হতে মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং দৃড়তা অর্জনে সহয়তা করবে।
মাহিন রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে তরুণদের মধ্যে প্রচুর হতাশা কাজ করে। তরুণদের হতাশা দূর করতেই আমাদের এই আয়োজন।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন লিংক : চমৎকার এ ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করতে চাইলে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে অনলাইনেও। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলে ক্লিক করুন এখানে :
আরো বিস্তারিত জানতে ইভেন্ট লিংকে দেখুন