মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পিছিয়ে থাকলেও এখন সামনে এসেছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বর্ধিত ভবন উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। এ উপলক্ষ্যে আজ রোববার (৬ নভেম্বর) এনআইএমএইচে দুটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

রোববার দুপুরে রাজধানী শ্যামলীস্থ ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ‘কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সাথে তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর বর্ধিত ভবন উদ্বোধন করেন।

কর্মশালায় সম্মানিত আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘ মহাসচিবের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা মনোবিজ্ঞানী সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

কর্মশালা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আগে পিছিয়ে থাকলেও এখন সামনে এসেছে। ইনস্টিটিউটও সম্প্রসারিত হয়েছে। এনসিডি কর্ণারে মানসিক স্বাস্থ্যকেও যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ সহজে কাউন্সেলিং পাবেন, চিকিৎসা পাবেন।

  • তবে চিকিৎসায় এখনো পিছিয়ে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, এটি যদি সারাদেশে বিস্তৃত করতে না পারি তাহলে প্রত্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাবে না।

করোনার কারণে গত দুই বছরে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে উল্লেখ্য করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য খাতকে বর্তমানে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্য ১৮ এবং শিশু ১২ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত।

কর্মশালায় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

তিনি বলেন, করোনার কারণে সব অসংক্রামক রোগে আমরা জোর দিতে পারিনি। স্বাস্থ্যে যে বাজেট, তার মধ্যে আবার মানসিক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কম। কিন্তু প্রতি বছর শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিএমডিসি এটাতে জোর দেবে বলে আমরা আশা করছি।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এর সভাপতিত্বে কর্মশালা ও বর্ধিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, এনসিডিসি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম রব্বানী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, কাজী জেবুন্নেছা বেগম, মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।

/এসএস/মনেরখবর/

Previous articleমানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা নিয়ে পুতুলের আক্ষেপ
Next articleশিশুর মোবাইল-টিভি আসক্তি কখন, কীভাবে বুঝবেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here