মাদকাসক্তদের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সুস্থতার অন্তরায় : পাবিপ্রবি

মাদকাসক্ত ব্যক্তির প্রতি সামাজিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস তার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অন্তরায়। এজন্য মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নিন্দা না করে, মানসিক সাপোর্ট দিয়ে তাকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসায় সহযোগীতা করতে হবে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের এক গবেষণায় এসব কথা উঠে এসেছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে’ মোট তিনটি গবেষণা প্রকল্পের ওপরে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তায় এবং ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক আশীষ কুমার সরকার, মনিরুল ইসলাম ও মোছা: রেশমা আক্তার এর তত্বাবধানে পরিচালিত তিনটি গবেষণা প্রকল্পের ওপরে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশীষ কুমার সরকার “Exploration of awareness, attitude and practice of youngs’ of Pabna district concerning drug addiction”  শীর্ষক গবেষণা উপস্থাপন করেন।

এসময় তিনি বলেন, এই গবেষণা প্রকল্পের জরিপে ৬০০ জন সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৫০ জনের বেশি মানুষের মাদকাসক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন। এছাড়াও প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, নারীদের তুলনায় পুরুষের মাদকাসক্তির সংশ্লিষ্টতা অধিক(প্রায় ৯৫ শতাংশ)।

এ গবেষণায় তিনি, সমাজে মাদকাসক্ত নাগরিকদের নিয়ে মানুষের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাসকে মাদকাসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে না পারার অন্যতম বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

তবে মাদক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, মাদকের দাম বৃদ্ধি ও আইনের কঠোর বাস্তবায়নে মাদকাসক্তি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি জানিয়েছেন।

একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর “Human health risks evaluation by assessing the microbiological and physiochemical quality of drinking water of student residences of Pabna University Of Science and Technology,Bangladesh” শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।

গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সুস্থ থাকতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। জরিপে দেখা যায়, যারা প্রাত্যহিক জীবনে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করেন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও আনুষাঙ্গিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চলেন তাদের অসুস্থতার হার অনেকাংশেই কম।

এছাড়াও ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছা: রেশমা আক্তার প্রসূতি মায়েদের নিয়ে “Current status of adoption of pregnancy and nature of its major complications experienced among women of urban and rural area in Bangladesh” শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থান করেন। গবেষণার আলোকে তিনি, গর্ভবতী মায়েদের সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, সুষম খাদ্যগ্রহণ, শারীরিক ব্যায়াম ও মানসিক চাপমুক্ত থাকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

/এসএস/মনেরখবর/

Previous article‘প্রয়োজন ছাড়া কখনো মুঠোফোন ব্যবহার করা উচিত নয়’ অধ্যাপক ডা. কাওসার
Next article‘দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, এখনই নজর দিতে হবে’ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here