বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৩ মার্চ ২০২৩, সোমবার। এই সমাবর্তনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী সনদ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে স্ব স্ব বিভাগে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩৫জন।
সাইকিয়াট্রি বিভাগ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩জন। তারা হলেন, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক, ডা. ওয়ালিউল হাসনাত সজিব (২০১৮), জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর শিশু ও কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিয়া আফরিন (২০২২) এবং ডা. ইয়াসির আরাফাত (২০১৯)। তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মো. আবদুল হামিদের হাত থেকে স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
প্রত্যেকেই মেডিসিন অনুষদের সাইকিয়াট্রি বিভাগ থেকে এমডি কোর্সে (২০১৮, ১৯, ২২) সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদ গ্রহণ করে নিজেদের ভালো লাগা জানিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মনের খবরের সঙ্গে। মনের খবরকে ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ, অসাধারণ লাগছে। আমি আমার শিক্ষক এবং পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ।’’
ডা. ওয়ালিউল হাসনাত সজিব বলেন, ‘‘এর আগেও আমি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গোল্ড মেডেল নিয়েছিলাম। এবার নিলাম রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডেল। স্বভাবতই আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশি। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। জীবনে এটা একটা অর্জন। এই প্রাপ্তিটা আসলে আমার মা-বাবা, শিক্ষক এবং সহপাঠী বন্ধুদের। অবশ্যই আমার শিক্ষকদের ভূমিকা ছাড়া এটা অর্জন করতে পারতাম না। আর আমার পরিবার সব সময় আমাকে উৎসাহ, সাপোর্ট ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করেছে বলেই ওই সময় পরীক্ষায় ভালো করতে পেরেছিলাম। আমি সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞ।’’
উল্লেখ্য, চতুর্থ সমাবর্তনে অংশ নিতে সোমবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উপস্থিত হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত যারা পিএইচডি, এমডি, এমএস, এমফিল, এমএমএড, এমটিএম, এমপিএইচ, ডিপ্লোমা, বিএসসি ইন নার্সিং এবং এমএসসি নার্সিং ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তারা এ সমাবর্তনে অংশ নেন।
সমাবর্তনে মেডিসিন অনুষদে প্রায় ৮০০ জন, সার্জারি অনুষদে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন, শিশু অনুষদে প্রায় ৩০০ জন, বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল অনুষদে পাঁচ শতাধিক, প্রিভেনটিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদে প্রায় ৩০০ জন, ডেন্টাল অনুষদে শতাধিক স্নাতকোত্তর চিকিৎসক এবং নার্সিং অনুষদে শতাধিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সেবিকা সনদ গ্রহণ করেন।
/এসএস/মনেরখবর/