হরেক মানুষের হরেকরকম শখ। কারো শখ পাহাড়-সাগর ভ্রমণ, কারো আবার বনাঞ্চল ঘুরে ঘুরে প্রকৃতি দেখা, পাখির ডাক শোনা। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিজেকে সময় দেয়া, শখের কাজ করা সবসময়ই স্বস্তিদায়ক হয়। এবার গবেষণাও তাই বলছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পাখির ডাক বিশেষ ভূমিকা রাখে।
পাখি দেখা ও পাখির গান শোনা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দারুণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে বলে এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায়।
যুক্তরাজ্যে রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রোটেকশন অব বার্ডস’র উদ্যোগে খ্যাতনামা জরিপ প্রতিষ্ঠান ইউগভ পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, পাখির গান অন্তত ৯০ শতাংশ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দ্য গার্ডিয়ান।
জানা যায়, যুক্তরাজ্যের পূর্ণ বয়স্ক ৮৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, ঘরের বাইরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’। ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা বিষয়টাকে ‘বেশ গুরুত্বপূর্ণ’ বলেছেন।
অন্যদিকে ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, ঘরের বাইরে গিয়ে পাখি দেখা ও গান শোনা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজের এক গবেষণায় প্রায় একই তথ্য উঠে আসে। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, সকালের ঘুম যদি সমধুর কণ্ঠের পাখির গানে ভাঙে, তবে দিনের পুরো সময় বেশ ভালো কাটে।
গবেষকদের মতে, পাখির গান শুনলে অন্তত ৮ ঘণ্টা খুব ভালো কাটে। পাশাপাশি পাখি দেখলেও আসে মানসিক প্রশান্তি।
/এসএস/মনেরখবর/