শারীরিক এবং মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকার জন্য শিশুর সবচেয়ে জরুরি যথাযথ ঘুমের। এমনটাই বলে এসেছে গবেষকরা। সম্প্রতি ২০১৮ সালে আমেরিকা একাডেমিতে জাতীয় শিশু চিকিৎসাকেন্দ্র সভা ও প্রদর্শনীতে গবেষকরা জানান, বাবা মায়েদের আহত হবার মতন ঘটনা যখন ঘটে, এটি শিশুদের মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে, যা ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে।
নতুন এ গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুর পিতামাতার দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক বৈকল্যের প্রভাব পড়ে শিশুর দৈনন্দিন কার্যক্রমে। ঘুম কমে যেয়ে বাবা মায়ের অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করাটা তারা অনুভব করে থাকে। বাবা মায়ের সঙ্গে শিশুরও সার্কাডিয়ান রিদম ব্যাধি, অতিরিক্ত ঘুম, ইনোসোমিয়া, আচ্ছন্ন হয়ে পড়া, ঘুমের মাঝে হাঁটা, ঘুমের সময় শ্বাসকষ্টসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক সমস্যা পিতামাতার শারীরিক আহতের পাশাপাশি শিশু ও পিতামাতা উভয়ের মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাবা মায়ের দুর্ঘটনার ফলে শিশুর ঘুমের সমস্যা ৪৮ শতাংশ বেড়ে যায়।
ন্যাশনাল মিলিটারী মেডিকেল সেন্টারের শিশুতোষ চিকিৎসক ডাক্তার সায়রা আহমেদ বলেন, ‘আহত ব্যক্তির পাশাপাশি তার পরিবারের অন্যদের মানসিক অবস্থা কেমন, এ বিষয় খোঁজ নেয়া জরুরি। বিশেষ করে শিশুদের ব্যাপারে। এতে করে উক্ত সময় চিকিৎসা করে শিশুর মানসিক বিকাশে যেনো ক্ষতি না হয় সেদিকটাও লক্ষণীয় থাকে।’
মিলিটারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পূর্ববর্তী রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭২,২১১ জন আহত পিতামাতার প্রায় ৪৮৫,০০২ টি শিশু অসুস্থতার শিকার হয়েছে। তাদের বাবামায়ের অসুস্থতা কোনো না কোনোভাবে তাদের মানসিক সমস্যার উপর প্রভাব ফেলে থাকে, যার ফলে তাদের ঘুমের ব্যঘাত ঘটিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। টিন এজ ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেড়ে যায় আরও ৩৭ শতাংশ।
ডা. সায়রা আহমেদ আরও বলেন, ‘আহত পিতামাতার সঙ্গে তাদের শিশুদের সঙ্গে কথা বলাটাও জরুরী। ঘুমের খোঁজ নিয়ে মেডিটেশানের সাজেশনের পাশাপাশি যথাযথ চিকিৎসা করা উচিত’।
অনুবাদ করেছেন :
ইফ্ফাত আরা মুনিয়া
সূত্র :ইউরেকা এলার্ট
https://www.eurekalert.org/pub_releases/2018-11/aaop-ita102318.php
google animal porn